দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কীজেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী

দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী
দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী

দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী

ক. ফটোফসফোরাইলেশন কি? 

খ. দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে রাতের বেলায় কীভাবে 'A' উৎপন্ন হয়। তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবজগতের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের বিপাকীয় প্রক্রিয়াটি 'y' এর উপর নির্ভরশীল— যুক্তিসহ তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। 

প্রশ্নের উত্তর

. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ADP এর সঙ্গে অজৈব ফসফেট (Pi) যুক্ত হয়ে ATP তৈরির প্রক্রিয়াই হলো ফটোফসফোরাইলেশন।

. সালোকসংশ্লেষণের অন্যতম প্রভাবক হলো সূর্যালোক ও তাপমাত্রা। দুপুরের পর আলোর ঘনত্ব ও তাপমাত্রা উভয়ই হ্রাস পায়। ফলে সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যায়।

. উদ্দীপকের বিক্রিয়া দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং A দ্বারা শর্করাকে (গ্লুকোজ) বোঝানো হয়েছে। রাতের বেলায় সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়ে ক্যালভিন চক্রের মাধ্যমে CO2 বিজারিত হয়ে A তথা শর্করা উৎপন্ন হয়।

এক্ষেত্রে পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে CO2 কোষে প্রবেশের পর তা রাইবুলোজ -১,৫-ডাইফসফেটের সাথে মিলিত হয়ে ৬-কার্বন বিশিষ্ট অস্থায়ী কিটো এসিড তৈরি হয়। এটি সাথে সাথে ভেঙ্গে ৩-কার্বন বিশিষ্ট দুই অণু ৩ ফসফোগ্লিসারিক এসিড (3PGA) উৎপন্ন করে।

পরবর্তীতে আলোক পর্যায়ে উৎপন্ন ATP ও NADPH, ব্যবহার করে 3PGA থেকে ৩-ফসফোগ্লিসারালডিহাইড ও ডাইহাইড্রোক্সি এসিটোন ফসফেট তৈরি হয়। 

ফসফোগ্লিসারালডিহাইড ও ডাইহাইড্রোক্সি এসিটোন ফসফেট থেকে ক্রমাগত বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে একদিকে শর্করা (গ্লুকোজ) ও অপরদিকে রাইবুলোজ ১,৫-ডাইফসফেট তৈরি হতে থাকে। এভাবে আলোর অনুপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন হয় ।

. উদ্দীপকের বিপাকীয় প্রক্রিয়াটি দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং Q দ্বারা সূর্যালোককে বোঝানো হয়েছে।সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলোর গুরুত্ব অপরিসীম। পানি ও CO2 থেকে শর্করা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস আলো। সূর্যালোক ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে।

সূর্যালোকের প্রভাবেই পত্ররন্ধ্র উন্মুক্ত হয়, CO2 পাতার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে এবং খাদ্য প্রস্তুতকরণে অংশগ্রহণ করে। পাতায় যেটুকু আলো পড়ে তার অতি সামান্য অংশই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।

আবার আলোক বর্ণালির লাল, নীল, কমলা ও বেগুনি অংশটুকুতেই সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়।সবুজ ও হলুদ আলোতে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয় না। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আলোর পরিমাণ বাড়লে সালোকসংশ্লেষণের হারও বেড়ে যায়। 

কিন্তু আলোর পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে পাতার অভ্যন্তরস্থ এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়, ক্লোরোফিল উৎপাদন কম হয়।ফলে সালোকসংশ্লেষণের হারও কমে যায়। সাধারণত ৪০০ nm থেকে ৪৮০ nm এবং ৬৮০ nm তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলোতে সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে ভালো হয়। 

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, জীবজগতের ক্ষেত্রে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি আলোর উপর নির্ভরশীল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দুপুরের পর সালোকসংশ্লেষণের গতি কমে যাওয়ার কারণ কীযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ