গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে কী বোঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে

গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে
গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে

(i) কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে এবং আকার, আকৃতি বজায় রাখে

(ii) খাদ্য উৎপাদনকারী অঙ্গ।

ক. নেস্টেড হায়ারার্কি কী?

খ. গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে কী বোঝ? 

গ. (i) নং অঙ্গের গঠন বর্ণনা করো।

ঘ. (i) ও (ii) এর মধ্যে কোন অংশটি জীবজগতের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. জীবজগতের জীবসমূহকে রাজ্য, পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ ও প্রজাতি এভাবে বড় থেকে ছোট ধাপে ধাপে শ্রেণিবিন্যাসের পদ্ধতিই হলো নেস্টেড হায়ারার্কি।

. অবাত শ্বসনের প্রথম ধাপই হলো গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ। এ ধাপে এক অণু গ্লুকোজ থেকে দুই অণু পাইরুভিক এসিড, চার অণু ATP (এর মধ্যে দুই অণু ব্যবহার হয়ে যায়) এবং দুই অণু NADH+H* উৎপন্ন হয়। 

তবে উৎপন্ন পাইরুভিক এসিড পরবর্তী ধাপে বিজারিত হয়ে যায় বলে অবাত শ্বসনে গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ ঘটে।

. উদ্দীপকের (i) নং অঙ্গাণুটি হলো কোষপ্রাচীর। এটি কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে, কোষের আকার ও আকৃতি বজায় রাখে। নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো-

কোষপ্রাচীর মৃত বা জড়বস্তু দিয়ে তৈরি। কোষপ্রাচীরের গঠন বেশ জটিল, এতে সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, লিগনিন, পেকটিন, সুবেরিন নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তবে ব্যাকটেরিয়াতে কোষপ্রাচীর প্রোটিন, লিপিড ও পলিস্যাকারাইড দিয়ে এবং ছত্রাকের কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি। 

প্রাথমিক কোষপ্রাচীর একস্তরবিশিষ্ট। মধ্যপর্দার উপর প্রোটোপ্লাজম থেকে নিঃসৃত কয়েক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য জমা হয়ে ক্রমশ গৌণ প্রাচীর সৃষ্টি করে। এ প্রাচীরের মাঝে মাঝে ছিদ্র থাকে, যাকে কূপ বলে।

. উদ্দীপকের (i) ও (ii) নং অঙ্গাণু দুটি যথাক্রমে কোষপ্রাচীর ও প্লাস্টিড। কোষপ্রাচীর কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে ও আকার, আকৃতি বজায় রাখে এবং প্লাস্টিড খাদ্য উৎপাদন করে। উভয় অঙ্গাণুরই বিশেষ কার্যক্রম থাকলেও জীবজগতের জন্য প্লাস্টিডের গুরুত্ব অধিক। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

কোষপ্রাচীর ও প্লাস্টিড শুধুমাত্র উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায়। কোষপ্রাচীর কোষকে দৃঢ়তা প্রদানের পাশাপাশি প্লাজমোডেজমাটা সৃষ্টির মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। 

অন্যদিকে, প্লাস্টিডের প্রধান কাজ খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদদেহকে বর্ণময় এবং আকর্ষণীয় করে পরাগায়নে সাহায্য করা। প্লাস্টিডের গ্রানা অংশ সূর্যালোককে আবদ্ধ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। 

তাই আবদ্ধ সৌরশক্তি স্ট্রোমাতে অবস্থিত উৎসেচক, CO2 এবং কোষের অভ্যন্তরীণ পানি ব্যবহার করে সরল শর্করা তৈরি করে, যা জীবজগতের সকল প্রাণিকুলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় । 

প্লাস্টিডের অনুপস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে ফলে জীবজগতও টিকে থাকবে না। তাই প্লাস্টিড জীবজগতের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ বলতে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ