স্ক্লেরাইড কি | স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়

স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়
স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়

স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়

ক. কভার স্লিপ কী?

খ. স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়?

গ. উদ্দীপকের চিত্রের 'A' কোষীয় অঙ্গাণু ছাড়া জীবজগত অচল ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্রের 'B' এর গঠন বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. কভার স্লিপ হলো গ্লাস স্লাইডে নমুনার উপর স্থাপিত কাচের একটি খুব পাতলা টুকরা, যা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে পরীক্ষা করা হয় ।

. স্ক্লেরাইড বলতে এক ধরনের স্ক্লেরেনকাইমা জাতীয় কোষকে বোঝায়। এদের স্টোন সেলও বলে। এরা খাটো, সমব্যাসীয়, কখনও লম্বাটে বা কখনও তারকাকার। 

এদের গৌণপ্রাচীর খুব শক্ত অত্যন্ত পুরু ও লিগনিনযুক্ত। পরিণত স্ক্লেরাইড কোষ সাধারণত মৃত। নগ্নবীজী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কর্টেক্স, ফল ও বীজত্বকে স্ক্লেরাইড টিস্যু দেখা যায়।

.উদ্দীপকের চিত্রের 'A' কোষীয় অঙ্গাণুটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। মাইটোকন্ড্রিয়া জীবজগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাইটোকন্ড্রিয়া জীবের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ। করে। আর এ শক্তি আসে শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। 

জীবের এ শ্বসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মাইটোকন্ড্রিয়াতে। এ কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে বলা হয় কোষের শক্তিঘর। মাইটোকন্ড্রিয়াতে শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম ইত্যাদি থাকে। এ কারণে জীবদেহে যদি মাইটোকন্ড্রিয়া না। 

থাকে তবে ATP তথা শক্তি উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে জীবদেহের সকল জৈবিক ক্রিয়াও ধীরে ধীরে থেমে যাবে। আর এর পরিণতিতে জীবদেহ মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে। 

শুধু তাই নয় মাইটোকন্ড্রিয়া জীবের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, মাইটোকন্ড্রিয়ার অনুপস্থিতিতে জীবদেহে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে। 

ফলে জীবের সঠিক বংশবিস্তার ধারা ব্যাহত হবে। আলোচনার শেষে একথা বলা যায় যে, মাইটোকন্ড্রিয়ার অনুপস্থিতি জীবকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। সুতরাং, এ অঙ্গাণুটি ছাড়া জীবজগত অচল ।

. উদ্দীপকের চিত্র-B হলো ক্রোমোসোম। নিচে ক্রোমোসোমের গঠন বিশ্লেষণ করা হলো-ক্রোমোসোম নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজমে বিস্তৃত এবং সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। মানুষের ক্রোমোসোম ডিপ্লয়েড অর্থাৎ দুই সেট ক্রোমোসোম একত্রে অবস্থান করে। 

ক্রোমোসোমের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩.৫ থেকে ৩০.০ মাইক্রন এবং প্রস্থ ০.২ থেকে ২.০ মাইক্রন। ক্রোমোসোমে একটি বাহু গৌণকুঞ্জন, সেন্ট্রোমিয়ার, ক্রোমোনেমা এবং ধাত্র থাকে। আর যে ক্রোমোসোমের সাথে নিউক্লিওলাস লাগানো থাকে তার ঐ অংশটিকে বলা হয় স্যাটেলাইট। 

এর প্রান্তে টেলোমিয়ার থাকে। ক্রোমোসোমের প্রধান উপাদান হলো DNA। DNA অনুসূত্রের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত পৃথক ও রৈখিকভাবে জিনগুলো পরপর সাজানো থাকে। 

ক্রোমোসোমে অবস্থিত জিনগুলো বংশগতির গুণাবলি বহন করে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে নিয়ে যায়। কোনো একটি জীবের ক্রোমোসোম সংখ্যা ঐ জীবের জন্য নির্দিষ্ট। বংশের বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় বহন করাই ক্রোমোসোমের কাজ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্ক্লেরাইড বলতে কী বোঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ