কোষ কঙ্কাল কি | কোষ কঙ্কাল বলতে কি বুঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায়?

কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায়
কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায়

বিভিন্ন প্রকার তন্ত্র মানবদেহে বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকার কোষ স্নায়ু, পেশি, রক্ত, ত্বক ও অস্থির কাজ পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

ক. রাইবোজোম কী?

খ. কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায়?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম ধরনের টিস্যুর গঠনকারী এককের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।

ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত লাইনটি বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বর্তমান এবং আন্তঃপ্লাজমীয় জালিকার গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কণায় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় তাই রাইবোজোম।

. কোষঝিল্লি অতিক্রম করে কোষের ভিতরে ঢুকলে প্রথমেই কোষের চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা যে লম্বা এবং মোটা-চিকন মিলিয়ে অসংখ্য দড়ির মতো বস্তু নজরে পড়ে তাই কোষকঙ্কাল। 

কোষকঙ্কাল ভেতর থেকে কোষটাকে ধরে রাখে। অ্যাকটিন, মায়োসিন, টিউবিউলিন ইত্যাদি প্রোটিন দিয়ে কোষকঙ্কালের বিভিন্ন ধরনের তন্তু নির্মিত হয়।

. উদ্দীপকের প্রথম ধরনের টিস্যু হলো স্নায়ুটিস্যু। স্নায়ুটিস্যুর গঠন একক হলো নিউরন । নিচে একটি নিউরনের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করা হলো—


. উদ্দীপকে উল্লিখিত, পেশি, এবং অস্থি বিভিন্ন ধরনের টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত। আবার একই প্রকৃতির অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে গঠিত হয় টিস্যু। সুতরাং এখানে চায়, পেশি, ত ক এব আজি গঠনে ভিন্ন ভিন্ন টিস্যুর ক্ষেত্রে ভিয়া প্রকৃতির কোষ রয়েছে, যাদের কাজেও রয়েছে ভিন্নতা। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

মানুটিস্যুর কোষ হলো নিউরন। নিউরনের মাধ্যমেই সকল উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশনা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায়। 

সুতরাং স্নায়ুটিস্যু গঠনকারী কোষ নিউরন মূলত উদ্দীপনা পরিবহন করে। ত্বকের ক্ষেত্রে আবরণী টিস্যুর কোষগুলো দেহ আবরণ তৈরি করে দেহকে বাইরের প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা করে। 

পেশিটিস্যুর কোষগুলো বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অঙ্গগুলো সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে। যেমন— ঐচ্ছিক পেশিটিস্যুর কোষগুলো অস্থির সঙ্গে থেকে অস্থি সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে। 

আবার কার্ডিয়াক পেশি হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণে বিশেষভাবে কাজ করে। রক্ত এক ধরনের তরল যোজক টিস্যু। 

এখানে বিভিন্ন ধরনের কোষ রয়েছে। এরা O2, CO2 সরবরাহ করে, আবার এদের মধ্যে কোনো কোষ দেহ প্রতিরক্ষায় কাজ করে। অস্থি গঠনে স্কেলিটাল টিস্যুর কোষগুলো একত্রে অস্থি গঠনের মাধ্যমে দেহের কাঠামো গঠন করে। 

এছাড়া অস্থি দেহাভ্যন্তরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে। সুতরাং সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকে শেষোক্ত লাইনটির সত্যতা রয়েছে, অর্থাৎ স্নায়ু, পেশি, রক্ত, ত্বক এবং অস্থির কাজে বিভিন্ন ধরনের কোষের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কোষকঙ্কাল বলতে কী বোঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ