মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন

মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন
মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন

তথ্য-M : মার্কিন বিজ্ঞানী Watson এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী Crick ১৯৫৩ সালে একটি অণুর দ্বিসূত্রী কাঠামো বর্ণনা করেন এবং এর জন্য তাঁরা নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন ।

তথ্য-N : ২০২০ খ্রিঃ হতে অদ্যাবধি কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রমণে র লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। যার দেহে একটি একক সূত্রের - বংশগত বস্তু বিদ্যমান ।

ক. গার্ড সেল কী?

খ. মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন?

গ. তথ্য-M এ উল্লিখিত রাসায়নিক উপাদানটির গঠন বর্ণনা করো।

ঘ. তথ্য-M ও তথ্য-N এ উল্লিখিত রাসায়নিক উপাদানদ্বয়ের মধ্যে মিল ও অমিল বিদ্যমান যুক্তিসহ উপস্থাপন করো ।

প্রশ্নের উত্তর

. উদ্ভিদের সবুজ বায়বীয় অংশ বিশেষ করে পাতা, কচি কাণ্ড, বৃতি ও ফুলের পাপড়িতে বিদ্যমান পত্ররন্ধ্রকে আবরণকারী কোষই হলো রক্ষীকোষ বা গার্ড সেল ।

. মেরুদন্ডী প্রাণীর ত্বক স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু। এ টিস্যুর কোষগুলো ভিত্তি পর্দার উপর একাধিক স্তরে সজ্জিত। আবার এর কোষ স্তরের সংখ্যা মিনিটের মধ্যে পাল্টে যেতে পারে; কখনো দেখা যায় তিন- চারটি স্তর আবার পরক্ষনেই দেখা যায় সাত-আটটি স্তর। এ কারণেই মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রানজিশনাল আবরণী কলাও বলা হয় ।

. উদ্দীপকের তথ্য-M এ উল্লিখিত রাসায়নিক উপাদানটি হলো দ্বিসূত্রক DNA । নিচে এর রাসায়নিক গঠন বর্ণনা করা হলো- 

DNA দ্বিসূত্রক, দুটি পলিনিউক্লিওটাইড সূত্র পরস্পরের সাথে লোহার সিঁড়ির মতো ডান দিকে প্যাচানো থেকে একটি ডাবল হেলিক্স গঠন করে। এ সিঁড়ির হাতল তৈরি হয় পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট শর্করা (ডি- অক্সিরাইবোজ), 

নাইট্রোজেনঘটিত বেস ও অজৈব ফসফেট দ্বারা। DNA-এর নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, থায়ামিন ও সাইটোসিন। 

একটি সূত্রের এডিনিন অন্য সূত্রের থায়ামিনের সাথে দুটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা (A = T) যুক্ত থাকে। আবার একটি সূত্রের গুয়ানিন অন্য সূত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা

যুক্ত (G = C) থাকে। হেলিক্সের প্রতিটি পূর্ণ ঘূর্ণন ৩৪Å দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট। একটি পূর্ণ ঘূর্ণনের মধ্যে ১০টি নিউক্লিওটাইড থাকে। পার্শ্ববর্তী দুটি নিউক্লিওটাইডের দূরত্ব ৩.৪Å । DNA ডবল হেলিক্সের ব্যাস 20Å।

. উদ্দীপকের তথ্য-M ও তথ্য-N এ উল্লিখিত রাসায়নিক উপাদানটি দুটি হলো DNA ও RNA এরা জীবের ক্রোমোসোমে বিদ্যমান নিউক্লিক এসিড যা বংশগতি বস্তু হিসাবে কাজ করে। গাঠনিক দিক হতে এরা পলিনিউক্লিওটাইডের সূত্রবিশিষ্ট। 

এদের ৫ কার্বনবিশিষ্ট রাইবোজ শর্করা, অজৈব ফসফেট এবং নাইট্রোজেন বেস থাকে। তবে এদের মধ্যে মিল থাকলেও কতিপয় অমিলও রয়েছে। নিচে এদের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো—

i. DNA হলো ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড। অপরদিকে RNA হলো রাইবোনিউক্লিক এসিড।

ii. DNA এর কাঠামো দ্বিসূত্রক, ঘুরানো সিঁড়ির ন্যায়। পক্ষান্তরে অধিকাংশ RNA একসূত্রক।

iii. DNA এর নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন। এতে ইউরাসিল থাকে না। অপরদিকে, RNA-এর নাইট্রোজেন বেস হলো এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল । এতে থাইমিন থাকে না।

iv. DNA বংশগতির ধারক ও বাহক হিসাবে কাজ করে। অপরদিকে, RNA কতিপয় ভাইরাসের বংশগতিবস্তু হিসাবে কাজ করলেও প্রধানত এটি প্রোটিন সংশ্লেষণ করে ।

v. DNA অণুর কোনো প্রকারভেদ নেই। অন্যদিকে, RNA চার প্রকার, যথা- tRNA, rRNA, mRNA ও gRNA.

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বককে ট্রান্সজিশনাল আবরণী কলা বলা হয়, কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ