পরাগায়নের মাধ্যম গুলো কি কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ

পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ
পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ

পরাগরেণু →→→ পুং গ্যামেট (ক) 

স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ →→→ স্ত্রী গ্যামেট (খ) 

ক. গর্ভাবস্থা কী?

খ. পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'খ' এর বর্ধন প্রক্রিয়া চিত্রসহ বর্ণনা করো । 

ঘ. ““ক' এবং 'খ' এর মিলন জীবজগতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে”— বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. জরায়ুর অন্তঃগাত্রে ভ্রূণের সংস্থাপন হওয়ার পর থেকে শিশু ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত সময়ই হলো গর্ভাবস্থা।

. পরাগায়নের সময় যে মাধ্যম পরাগ বহন করে গর্ভমুণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যায়। তাকে পরাগায়নের মাধ্যম বলে। বায়ু, পানি, কীটপতঙ্গ, পাখি, বাদুড়, শামুক এমনকি মানুষও এ ধরনের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে থাকে ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'খ' অর্থাৎ স্ত্রীগ্যামেটের বর্ধন প্রক্রিয়া নিচে চিত্রসহ বর্ণনা করা হলো-

পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝচিত্র: স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া

ফুলের গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে যেখানে ডিম্বক থাকে সেখানে স্ত্রী জনন মাতৃকোষ সৃষ্টি হয়। এ কোষটি মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে চারটি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রী রেণুকোষ সৃষ্টি করে যার তিনটি কোষ নষ্ট হয়ে যায়। 

জীবিত কোষটির নিউক্লিয়াস আট ধাপে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে আটটি নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট একটি ভ্রূণথলি গঠন করে। 

এর দু'মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়ে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস গঠন করে। 

ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে ডিম্বাণুযন্ত্র বলে। ডিম্বাণযন্ত্রের তিনটি নিউক্লিয়াসের মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড় হয় এবং এটিই হলো ডিম্বাণু বা স্ত্রীগ্যামেট।

. উদ্দীপকে 'ক' ও 'খ' যথাক্রমে পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণুকে নির্দেশ করে। পুংগ্যামেট ও ডিম্বাণুর মিলন হলো নিষেক। নিষেক প্রক্রিয়া প্রকৃতিতে জীবজগতের টিকে থাকার নিয়ামক। উদ্ভিদের উপর সমস্ত প্রাণিকুল নির্ভরশীল। 

কারণ পৃথিবীর সকল প্রাণীই খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিতে উদ্ভিদ টিকে না থাকলে প্রাণিকুলের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যাবে। 

আমরা জানি, উদ্ভিদের বিশেষ করে সপুষ্পক উদ্ভিদের টিকে থাকা নির্ভর করে বীজের উপর। নিষেকের পর নিষিক্ত ডিম্বকই ধীরে ধীরে বীজে পরিণত হয় এবং গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়। 

ফলে পরিপক্ক বীজ অঙ্কুরিত হয়ে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয় এবং উদ্ভিদকুলকে রক্ষা করে, এ কারণে পরিবেশে উদ্ভিদকুল টিকে থাকলে প্রাণিকুলও টিকে থাকবে। 

কারণ প্রাণীরা সকল খাদ্য উদ্ভিদের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ফল, বীজ প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহারিত হয়। 

উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পরিবেশে CO2 ও O2-এর ভারসাম্য রক্ষা করে, যা প্রাণিকুলকে রক্ষা করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে । 

সুতরাং এটি বোঝা যায় যে, পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন জীবজগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পরাগায়নের মাধ্যম গুলো কি কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পরা-গায়নের মাধ্যম বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ