গ্লাইকোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো  গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের  গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো

গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো
 গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো

গুপ্তবীজী উদ্ভিদের প্রজননে ফুলের জৈবিক কার্যকলাপ ভূমিকা রাখে । 

ক. এপিক্যাল কোষ কী?

খ. গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো ।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গাণুতে স্ত্রীগ্যামিট তৈরির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো।

ঘ. প্রজনন অঙ্গ হিসেবে উদ্দীপকের উক্তিটি মূল্যায়ন করো ।

প্রশ্নের উত্তর

. জাইগোট বিভাজনের সময় ভ্রূণথলির কেন্দ্রের দিকের কোষটি হলো এপিক্যাল কোষ ৷

. গ্লাইকোলাইসিস শ্বসন ক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এ ধাপে এক অণু গ্লুকোজ ভেঙ্গে দুই অণু পাইরুভিক এসিড তৈরি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে তা থেকে শক্তি তৈরি হয়। উৎপন্ন শক্তি জীবের সকল জৈবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গ্লাইকোলাইসিস না ঘটলে শ্বসন ক্ৰিয়াই বন্ধ থাকত, ফলে শক্তি উৎপন্ন হতো না। বন্ধ হতো জীবের সকল জৈবিক কার্যকলাপ । সুতরাং, গ্লাইকোলাইসিসের গুরুত্ব বা তাৎপর্য অপরিসীম ।

. উদ্দীপকের অঙ্গাণুটি হলো ফুল। ফুলের গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে স্ত্রীগ্যামিট তৈরি হয়।

ফুলের গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে, সেখানে স্ত্রী প্রজনন মাতৃকোষ সৃষ্টি হয়। এই কোষটি মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে ৪টি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রীরেণু কোষ সৃষ্টি করে, যার তিনটি নষ্ট হয়ে যায়। 

জীবিত কোষটির নিউক্লিয়াস তিনটি ধাপে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে ৮টি নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট একটি ভ্রূণথলি গঠন করে। এর দু'মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়ে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস গঠন করে। 

ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে ডিম্বাণুযন্ত্র বলে। ডিম্বাণুযন্ত্রের তিনটি নিউক্লিয়াসের মাঝখানেরটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এটি হলো ডিম্বাণু ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গটি অর্থাৎ ফুল গুপ্তবীজী উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ। ফুলের পরাগরেণুতে পুংগ্যামিট এবং গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বকে স্ত্রী গ্যামিট তথা ডিম্বাণু তৈরি হয়। 

পরাগায়নের পর পরাগনালিকার ভেতর দিয়ে পুংগ্যামিট গর্ভাশয়ের ডিম্বক রন্ধ্রে পৌঁছায় এবং পুং গ্যামিট ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষেক ঘটায়। নিষেকের পর নিষিক্ত ডিম্বক বীজে পরিণত হয় এবং গর্ভাশয় পরিণত হয় ফলে। 

ফলের অভ্যন্তরেই বীজ অবস্থান করে। পরিণত ও পরিপক্ক বীজ অনুকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে শিশু উদ্ভিদের জন্ম দেয়, যা ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদে পরিণত হয় ।

আলোচনা থেকে সহজেই বোঝা যায়, উদ্দীপকের অঙ্গ অর্থাৎ ফুল না থাকলে বীজ তৈরি হতো না। আবার, বীজ তৈরি না হলে গুপ্তবীজী উদ্ভিদের প্রজনন ঘটতো না। সুতরাং, প্রজনন অঙ্গ হিসেবে উদ্দীপকের উক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম  গ্লাই-কোলাইসিসের তাৎপর্য উল্লেখ করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ