প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো  জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো 

প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো
প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো 

জনাব কবির ক্লাসে বংশগতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বিষয় ছিল মেন্ডেলের সূত্র। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সমাধান করতে বললেন যে, যদি F, জনুতে লম্বা মটরশুঁটির সংখ্যা ৬০০০ হয় তাহলে F2 জনুর অনুপাত কত হবে?

ক. পিউরিন কী?

খ. প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো ।

গ. জনাব কবিরের প্রদত্ত সমস্যাটি সমাধান করো।

ঘ. উদ্ভিদ প্রজননে উপরের সূত্রটির প্রয়োগ বিশ্লেষণ করো । 

প্রশ্নের উত্তর

. নাইট্রোজেন বেস এডিনিন ও গুয়ানিনই হলো পিউরিন ।

. প্রাণিপরাগী ফুল মোটামুটি বড় আকারের হয়, তবে ছোট হলে ফুলগুলো পুষ্পমঞ্জরিতে সজ্জিত থাকে। এদের রং আকর্ষণীয় হয়। এসব ফুলে গন্ধ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে, যেমন- কদম, শিমুল, কচু ইত্যাদি।

. উদ্দীপকে জনাব কবির মেন্ডেলের ১ম সূত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

১ম সূত্র অনুসারে F, জনুতে শুধু প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় । উদ্ভিদের লম্বা হওয়ার জন্য দায়ী জিন হলো প্রকট জিন ২মেন্ডেলের 

১ম সূত্র অনুসারে, F, জনুতে শুধু প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হলেও F2 জনুতে প্রকট ও প্রচ্ছন্ন ফিনোটাইপের অনুপাত ৩:১ হয়। 

সুতরাং F, জনুতে লম্বা উদ্ভিদ সংখ্যা ৬০০০ হলে F2 জনুতে লম্বা ও খাটো উদ্ভিদের অনুপাত হবে ৪৫০০ : ১৫০০ তথা ৩ : ১।

. উদ্দীপকে, বংশগতিবিদ্যার জনক গ্রেগর জোহান মেন্ডেলের প্রথম সূত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্ভিদ প্রজননে মেন্ডেলের সূত্রের প্রয়োগ নিচে আলোচনা করা হলো—

মেন্ডেলের এই তত্ত্ব উদ্ভিদ ও প্রাণীর সুপ্রজননে প্রয়োগ করা হয়। কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীদের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত যৌন প্রজনন ঘটিয়ে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বংশধর সৃষ্টি করা হয়। 

এদের মধ্যে থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য বেছে নিয়ে সুপ্রজননের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করা হয়। বর্তমানে উন্নত জাতের শস্য উৎপাদনে এই পদ্ধতি বেশি প্রয়োগ করা হয়।

এছাড়াও আধুনিককালে মানুষের স্বাস্থ্য ও রোগবালাইয়ের সাথে জিনতাত্ত্বিক বৈচিত্রের সম্পর্কে নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো রোগের সাথে জড়িত অজানা জিন খুঁজে বের করার জন্য জেনেটিক লিংকেজ ব্যবহার করা হয়। 

এভাবে বংশগতির সূত্র রোগ নির্ণয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উপর্যুক্ত আলোচনা হতে বোঝা যায়, উদ্ভিদ তথা মানবজীবনে মেন্ডেলের সূত্রের প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো 

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রাণিপরাগী ফুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ