বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো  বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের  বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে

বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে
 বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে
বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে

ক. বংশগতিবিদ্যা কাকে বলে?

খ.  বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে?

গ. চিত্র : ১ এর উপাদানটির অনুলিপন ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. চিত্র : ১ ও চিত্র : ২ এর উপাদান দুটির ভিন্নতা বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. জীববিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখায় জিন ও জীবের বংশগতি ধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে বংশগতিবিদ্যা বলে ।

. ক্রোমোসোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলে। ক্রোমোসোমের কাজ হলো মাতা-পিতা হতে জিন সন্তান-সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। 

মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমোসোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে। এ কারণে ক্রোমোসোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ।

. উদ্দীপকের চিত্র:১ এর উপাদানটি হলো DNA । নিচে এর অনুলিপন ব্যাখ্যা করা হলো-

DNA অনুলিপন প্রক্রিয়ায় একটি DNA অণু থেকে আর একটি নতুন DNA অণু তৈরি হয় বা সংশ্লেষিত হয়। DNA অর্ধ-রক্ষণশীল পদ্ধতিতে অনুলিপিত হয় । 

এই পদ্ধতিতে DNA সূত্র দুটির হাইড্রোজেন বন্ধন ভেঙে গিয়ে আলাদা হয়ে যায় । তখন কোষের ভিতর ভাসমান নিউক্লিওটাইডগুলো থেকে A-এর সাথে T, T এর সাথে A, C এর সাথে G এবং G এর সাথে C যুক্ত হয় এবং সূত্র দুটি তার পরিপূরক নতুন সূত্র সৃষ্টি করে। 

পরে একটি পুরাতন সূত্র ও একটি নতুন সূত্র সংযুক্ত হয়ে নতুন DNA অণুর সৃষ্টি হয়। একটি পুরাতন মাতৃ সূত্রক এবং একটি নতুন সৃষ্ট সূত্রকের সমন্বয়ে গঠিত বলে একে অর্ধ-রক্ষণশীল পদ্ধতি বলে  ।

. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর উপাদানটি হলো DNA ও চিত্র-২ এর উপাদানটি হলো RNA এরা জীবের ক্রোমোসোমে বিদ্যমান নিউক্লি এসিড যা বংশগতি বস্তু হিসাবে কাজ করে। নিচে এদের মধ্যে ভিন্নতা

বিশ্লেষণ করা হলো-

i. DNA হলো ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড। অপরদিকে RNA

হলো রাইবোনিউক্লিক এসিড ।

ii. DNA এর কাঠামো দ্বিসূত্রক, ঘুরানো সিঁড়ির ন্যায়। পক্ষান্তরে

অধিকাংশ RNA একসূত্রক।

iii. DNA এর নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন। এতে ইউরাসিল থাকে না। অপরদিকে RNA-এর নাইট্রোজেন বেস হলো এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল। এতে থাইমিন থাকে না।

iv. DNA বংশগতির ধারক ও বাহক হিসাবে কাজ করে। অপরদিকে RNA কতিপয় ভাইরাসের বংশগতিবস্তু হিসাবে কাজ করলেও

প্রধানত এটি প্রোটিন সংশ্লেষণ করে। DNA অণুর কোনো প্রকারভেদ নেই। অন্যদিকে, RNA চার প্রকার, যথা- tRNA, rRNA, mRNA ও gRNA.

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম  বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় ক্রোমোসোমকে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ