সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝজেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ

সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ
সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ

ক. জৈবমুদ্ৰা কাকে বলে?

খ. সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ?

গ. বিক্রিয়ার প্রথম যৌগটি উদ্ভিদদেহে কীভাবে তৈরি হয়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. বিক্রিয়াটির শেষে X এবং Y এর প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. যেসব শক্তিসমৃদ্ধ যৌগ উচ্চ শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য প্রক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে সেসব যৌগকে জৈবমুদ্রা বলে।

. কোষঝিল্লি অতিক্রম করে কোষের ভিতরে ঢুকলে প্রথমেই কোষের চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা যে লম্বা এবং মোটা-চিকন মিলিয়ে অসংখ্য দড়ির মতো বস্তু নজরে পড়ে তাই সাইটোস্কেলেটন।  সাইটোস্কেলেটন ভিতর থেকে কোষটাকে ধরে রাখে। অ্যাকটিন, মায়োসিন, টিউবিউলিন ইত্যাদি প্রোটিন দিয়ে সাইটোস্কেলেটনের বিভিন্ন ধরনের তন্তু নির্মিত হয়।

. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার প্রথম যৌগটি হলো শর্করা। পাতায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আত্তীকরণ শক্তি শর্করা তৈরিতে সাহায্য করে। নিচে প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো—

সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পাতার ক্লোরোফিলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় আলোর উপস্থিতিতে ঘটে এবং আত্তীকরণ শক্তি উৎপন্ন হয়। এই শক্তি সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়, যেখানে আলোর প্রয়োজন পড়ে না, সেখানে CO2 বিজারণের মাধ্যমে শর্করা তৈরি করে।

অন্ধকার পর্যায়ে রাইবুলোজ ১,৫-ডাইফসফেটের সাথে O2 যুক্ত হয়ে অস্থায়ী কিটো এসিড তৈরি করে। এটি সাথে সাথে ভেঙে ৩-কার্বনবিশিষ্ট দু'অণু ৩ - ফসফোগ্লিসারিক এসিড (3PGA) উৎপন্ন করে। আলোক পর্যায়ে তৈরি শক্তি ব্যবহার করে ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড, ৩-ফসফোগ্লিসারাল্ডিহাইড ও ডাইহাইড্রক্সি এসিটোন ফসফেট থেকে ক্রমাগত বিভিন্ন বিক্রিয়ায় একদিকে শর্করা ও অপরদিকে রাইবুলোজ ১,৫-ডাইফসফেট তৈরি হতে থাকে।

পুনঃসংশ্লেষিত রাইবুলোজ-১, ৫-ডাইফসফেট পুনরায় শর্করা তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেয় ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিক্রিয়াটির শেষে উৎপন্ন X ও Y দ্বারা যথাক্রমে CO2 ও ATP কে বোঝানো হয়েছে। এদের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করা হলো-

সবুজ উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে CO2 গ্রহণ করে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরির পাশাপাশি পরিবেশে O, নির্গত করে। 

সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরিকৃত খাদ্যের উপর সমগ্র জীবজগৎ নির্ভরশীল। তবে CO2 এর অনুপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ অসম্ভব। ফলে সালোকসংশ্লেষণ না ঘটলে পরিবেশে O2 এর স্বল্পতা দেখা দিত।

এতে পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে প্রাণিজগৎ প্রকৃতি থেকে বিলীন হতো । সুতরাং প্রকৃতিতে জীবজগতকে টিকিয়ে রাখতে CO2-এর পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। 

আবার, ATP কে বায়োএনার্জি বা জীবনীশক্তি বলে। জীবন পরিচালনার জন্য জীবকোষে তথা জীবদেহে প্রতিনিয়ত হাজারো রকমের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটছে।

এসব বিক্রিয়া পরিচালিত হয় বায়োএনার্জি তথা ATP দ্বারা। উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য এদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সালোকসংশ্লেষণ, পরিবহন, শোষণ ইত্যাদি। এ কাজগুলো পরিচালনার শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ চলে।

যেমন- শ্বসন, প্রস্বেদন, রেচন, পরিপাক, জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়, যা প্রকৃতপক্ষে ATP থেকেই আসে। ATP শক্তি সরবরাহ না করলে এ সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ বন্ধ হয়ে ফলে উদ্ভিদ এবং প্রাণী তথা জীবের মৃত্যু ঘটত। সুতরাং, জীনের সুখ স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য CO এবং ATP এর প্রয়োজনীয়ত অপরিসীম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সাইটোস্কেলেটন বলতে কী বোঝযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ