গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়

গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়
গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়

উদ্ভিদের একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া যাতে পানির সালোক বিভাজন এটি এবং CO2, বিজারিত হয়ে 'S' উৎপন্ন হয়।

ক. শ্বসনিক বস্তু কী?

খ. গ্লাইকোলাইসিস বলতে কী বোঝায়?

গ. উদ্দীপকের 'S' তৈরির প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।

ঘ. উল্লিখিত প্রক্রিয়াটিতে "পানির সালোক বিভাজন ও ATP উৎপাদন প্রক্রিয়া যুগপৎ ঘটে”-বিশ্লেষণগ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. জীবের তৈরিকৃত বা অন্য জীব হতে গৃহীত যে খাদ্য তার দেহে শ্বসন প্রক্রিয়ায় জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে তাই হলো শ্বসনিক বস্তু ।

. যে প্রক্রিয়ায় কোষের সাইটোপ্লাজমে এক অণু গ্লুকোজ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক এসিডে পরিণত হয় তাকে গ্লাইকোলাইসিস বলে। 

গ্লাইকোলাইসিসকে EMP পাথওয়ে বা সাইটোপ্লাজমিক শ্বাসনও বলা হয়। এ প্রক্রিয়ার জন্য কোনো অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না, তাই গ্লাইকোলাইসিস সবাত ও অবাত উভয় শ্বসনেরই প্রথম ধাপ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত s হলো শর্করা। পাতায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আত্তীকরণ শক্তি শর্করা তৈরিতে সাহায্য করে। নিচে প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করা হলো-

সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পাতার ক্লোরোফিলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় আলোর উপস্থিতিতে ঘটে এবং আত্তীকরণ শক্তি উৎপন্ন হয়।

এই শক্তি স সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়, যেখানে আলোর প্রয়োজন পড়ে না, ব | সেখানে CO2 বিজারণের মাধ্যমে শর্করা তৈরি করে। অন্ধকার পর্যায়ে রাইবুলোজ ১,৫-ডাইফসফেটের সাথে O2 যুক্ত হয়ে অস্থায়ী কিটো এসিড তৈরি করে।

এটি সাথে সাথে ভেঙে ৩-কার্বনবিশিষ্ট দু'অণু ৩- ফসফোগ্লিসারিক এসিড (3PGA) উৎপন্ন করে। আলোক পর্যায়ে তৈরি শক্তি ব্যবহার করে ৩-ফসফোগ্লিসারিক এসিড, ৩-ফসফোগ্লিসারান্ডিহাইড ও ডাইহাইড্রক্সি এসিটোন ফসফেট থেকে ক্রমাগত বিভিন্ন বিক্রিয়ায় একদিকে শর্করা ও অপরদিকে রাইবুলোজ ১,৫-ডাইফসফেট তৈরি হতে থাকে।

পুনঃসংশ্লেষিত রাইবুলোজ - ১,৫-ডাইফসফেট পুনরায় শর্করা তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেয় ।

. উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ। এ প্রক্রিয়ায় সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন করে।

এ প্রক্রিয়াকে পানির সালোক বিভাজন (Photolysis) বলা হয়। অন্যদিকে, ক্লোরোফিল অণু আলোকরশ্মির ফোটন শোষণ করে এবং শোষণকৃত ফোটন হতে শক্তি সঞ্চয় করে ADP-এর সাথে অজৈব ফসফেট মিলিত হয়ে ATP তৈরি করে।

আলোর উপস্থিতিতে ATP তৈরির এই প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।

ADP + Pi→ আলো/ক্লোরোফিল→ ATP

কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় পানির সালোক বিভাজন ও ATP উৎপাদন প্রক্রিয়া যুগপৎ ঘটে থাকে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গ্লাইকোলাইসিস বলতে কি বুঝায়যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ