বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

ক. পরিপাক কাকে বলে?

খ. বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও। 

গ. উদ্দীপকের কোন অংশে খাদ্য পরিপাকের মূল কাজটি হয় এবং খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ার বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গের সাথে যে গ্রন্থি খাদ্য হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে তার বর্ণনা দাও।

প্রশ্নের উত্তর

. যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পৌষ্টিকনালির ভেতরে জটিল খাদ্য নির্দিষ্ট এনজাইমের ক্রিয়ায় বিশ্লেষিত হয়ে শোষণযোগ্য খাদ্যসারে পরিণত হয় সেই প্রক্রিয়াকে পরিপাক বলে ।

. বিষণ্ণতার কারণে পরিপাকতন্ত্রের সৃষ্ট রোগটির নাম হলো অজীর্ণতা। একে বদহজমও বলা হয়। বিষণ্ণতা ছাড়াও পাকস্থলিতে সংক্রমণ, অগ্ন্যাশয় রোগ, থাইরয়েড ইত্যাদির কারণেও অজীর্ণতা হয়। পেটের উপরের দিকে ব্যথা, পেট ফাঁপা, টক ঢেঁকুর উঠা ইত্যাদি হচ্ছে অজীর্ণতার লক্ষণ । পাকস্থলি বা অন্ত্রের আলসারের কারণেও বদহজম হয়।

. উদ্দীপকের প্রবাহচিত্রের D অংশ অর্থাৎ পাকস্থলিতে পরিপাকের মূল কাজটি সম্পাদিত হয়। নিচে পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ার বর্ণনা দেয়া হলো।

পাকস্থলির প্রাচীরে গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসৃত হয় যা প্রধানত আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। পাকস্থলিতে পরিপাকের জন্য গ্যাস্ট্রিক রসে তিনটি উপাদান থাকে। 

এর একটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড। যা খাদ্যে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে এবং নিস্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে। এছাড়া পেপসিনের কাজের জন্য অম্লীয় পরিবেশ তৈরি করে। 

দ্বিতীয়টি হলো পেপসিন। এটি আমিষ পরিপাককারী এনজাইম, যা আমিষকে ভেঙ্গে পলিপেপটাইডে পরিণত করে। তৃতীয় উপাদানটি হলো রেনিন। এটি

দুধের আমিষ জাতীয় খাদ্য ক্যাসেইনকে প্যারাক্যাসেইনে পরিণত করে । পাকস্থলির সংকোচন ও প্রসারণে গ্যাস্ট্রিক রস খাদ্যের সাথে মিশে ও ক্রিয়া করে। ফলে খাদ্যবস্তু নরম ও তরল অবস্থায় পরিণত হয় যা কাইম নামে পরিচিত। পাকস্থলিতে পরিপাক শেষ হলে এই কাইম অল্প অল্প করে পাকস্থলি থেকে অন্ত্রে প্রবেশ করে। এভাবেই পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাক হয়।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গগুলো হলো পৌষ্টিকতন্ত্রের অংশ। পৌষ্টিকতন্ত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত গ্রন্থি যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে, সেগুলো হলো— লালাগ্রন্থি, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি ও আন্ত্রিক গ্রন্থি। নিম্নে এদের বর্ণনা দেয়া হলো-

লালাগ্রন্থি হলো তিন জোড়া, যা দুই কানের সামনে ও নিচে, চোয়ালের নিচে ও চিবুকের নিচে অবস্থিত। ইহা থেকে নিঃসৃত রসকে লালা বলে, যাতে টায়ালিন এনজাইম থাকে। মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি হলো যকৃত, যা পাকস্থলির ডান পাশে অবস্থিত। ইহার রং লালচে খয়েরি এবং এটি চারটি খণ্ডে বিভক্ত, ডানখণ্ড বামখন্ড থেকে আকারে বড়। 

এতে বিভিন্ন রকমের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। যকৃত থেকে নিঃসৃত রস পিত্তাশয়ে জমা থাখে। অগ্ন্যাশয় পাকস্থলির পিছনে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত একটি মিশ্রগ্রন্থি। ইহা থেকে নিঃসৃত রসে ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ নামক উৎসেচক থাকে। আবার ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমোনও ইহা নিঃসরণ করে। ফলে ইহা একইসাথে বহিঃক্ষরা ও • অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে কাজ করে। 

গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি পাকস্থলির প্রাচীরে থাকে। ইহা থেকে নিঃসৃত পাচক রসে ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ এনজাইম থাকে। আন্ত্রিক গ্রন্থি ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরে ভিলাইয়ে থাকে। তা থেকে নিঃসৃত রসকে আন্ত্রিক রস বলে, যা বিভিন্ন ধরনের এনজাইম বহন করে। 

এই সব গ্রন্থিগুলো শর্করা, আমিষ ও স্নেহ জাতীয় খাদ্যবস্তুকে বিশিষ্ট করে কোষের শোষণ উপযোগী সরল খাদ্যে পরিণত করে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিষণ্ণতা পরিপাকতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তার বর্ণনা দাও যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ