হরমোন কে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলে কেন

হরমোন কে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলে কেন - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়

হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়
হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়

হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়

ক. জাইগোট কী?

খ. হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়?

গ. পরাগায়নের ক্ষেত্রে X অংশ কীভাবে ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. X ও Y এর মধ্যে কোনটি প্রজননের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. নিষেকের পর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলিত রূপই হলো জাইগোট । 

. হরমোন নামক বিশেষ কতগুলো রাসায়নিক দ্রব্য দেহের সমন্বয়ে অংশ নেয়। অতি অল্প পরিমাণে হরমোন বিশেষ বিশেষ শারীরবৃত্তীয় কাজ বা পদ্ধতি সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। 

এরা উত্তেজক বা রোধক হিসেবে পরিস্ফুটন, বৃদ্ধি ও বিভিন্ন টিস্যুর কার্য নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোন রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে দূরবর্তী কোন অঙ্গকে উদ্দীপ্ত করে। এ জন্য হরমোনকে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়ে থাকে।

. উদ্দীপকের চিত্রে X চিহ্নিত অংশটি হলো পাপড়ি। দলমণ্ডলের প্রতিটি খন্ডকে দলাংশ বা পাপড়ি বলে। চিত্রে এই পাপড়িকেই X- দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। 

পাপড়ি সাধারণত রঙিন হয়। এরা ফুলের অত্যাবশ্যকীয় অংশগুলোকে রোদ ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। উজ্জ্বল ঝলমলে রঙের দলমণ্ডল পোকামাকড় ও পশুপাখি আকর্ষণ করে এবং পরাগায়নে সহায়তা করে। অনেক সময় কোনো কোনো পোকামাকড় ফুলের পাপড়িতে বসে মধু আহরণ করে। 

এসব কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ফুলের গর্ভমুণ্ডে পরাগ সংযোগ এর কাজটি ঘটে থাকে। কাজেই পরাগায়নের জন্য আকর্ষণ সৃষ্টি করে উদ্ভিদের পাপড়ি তথা দলমণ্ডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

. উদ্দীপকে 'X' এবং 'Y' হলো যথাক্রমে ফুলের পাপড়ি ও গর্ভাশয়। উদ্ভিদের প্রজননে উভয়েরই ভূমিকা রয়েছে।

রঙিন, আকর্ষণীয় ও সুগন্ধযুক্ত ফুলের পাপড়ি বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গকে আকর্ষণ করে। এই কীটপতঙ্গ পুংকেশর থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরে সাহায্য করে। এই পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে পতিত হয়ে গর্ভাশয়ে পৌঁছালে ডিম্বকের সাথে মিলিত হয়ে ফল ও বীজ সৃষ্টি করে। 

এই বীজ থেকে উদ্ভিদ বংশ বিস্তার করে। গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে, যা পরাগরেণুর সাথে মিলে নিষেক সংঘটিত হয়। এছাড়াও এ পর্যন্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, পাপড়ির চেয়ে গর্ভাশয় জননে বেশি গুরুত্ব বহন করে। পাপড়ি শুধু পরাগায়নের জন্য প্রাণী আকর্ষণ করে। 

এই পরাগায়ন অনেক ফুলে বাতাস ও পানির মাধ্যমেও সম্পন্ন হয়। তাই যদি পাপড়ি না থাকে, তবুও পরাগায়ন সম্ভব। কিন্তু গর্ভাশয় না থাকলে নিষেক সম্ভব নয় । তাই প্রজননে পাপড়ির চেয়ে গর্ভাশয় গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হরমোনকে কেন রাসায়নিক বার্তাবাহক বলা হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ