রজনিবৃত্তি কাল বলতে কী বোঝ

রজনিবৃত্তি কাল বলতে কী বোঝ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ

রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ
রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ

মৌমাছি, প্রজাপতি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলে ফুলে মধু খাওয়ার সময় বিশেষ একটি প্রক্রিয়া ঘটায় যা উদ্ভিদের ফলন ও বংশবৃদ্ধির জন্য জরুরী । কীটপতঙ্গ ছাড়াও প্রক্রিয়াটি বায়ু, পানি ও পাখির মাধ্যমে ঘটতে পারে।

ক. নিষেক প্রক্রিয়া কী?

খ. রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে যেভাবে ঘটে তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবের টিকে থাকা উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রক্রিয়াটির উপর নির্ভর করে। যুক্তি দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

. যৌন প্রজননে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনই হলো নিষেক বা নিষেক প্রক্রিয়া।।

. বয়ঃসন্ধিকালের ১-২ বছর পর মেয়েরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের ঋতুস্রাব চক্র চলতে থাকে। এরপর ঋতুস্রাব চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। একে মেনোপজ বা রজনিবৃত্তিকাল বলা হয়।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো পর-পরাগায়ন যা কীটপতঙ্গ ছাড়াও বায়ু, পানি ও পাখির মাধ্যমে ঘটে থাকে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

বায়ুর মাধ্যমে: বায়ুপরাগী ফুল হালকা ও মধুগ্রন্থিহীন। এদের পরাগরেণু সহজেই বাতাসে ভেসে যেতে পারে। এছাড়া এদের গর্ভমুণ্ড আঁঠালো প্রকৃতির হওয়ায় বাতাস” থেকে পরাগরেণু সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। যেমন— ধান ।

পানির মাধ্যমে: জলজ উদ্ভিদ এবং যেসব উদ্ভিদ সমুদ্র বা নদীর ধারে জন্মে সেসব উদ্ভিদের ফল ও বীজ পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। পানিতে ভেসে থাকার জন্যে এসব উদ্ভিদের ফলত্বকের ভেতরে বায়ুকুঠুরি থাকে। যেমন— পদ্ম, নারিকেল ইত্যাদি ।

পাখির মাধ্যমে: অনেক সময় পাখিরা বিভিন্ন ধরনের ফল ভক্ষণের জন্য ঠোটে করে দূর-দূরান্তে নিয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে পাখিরা ফলের সাথে বীজ ভক্ষণ করে এবং বীজ পরিপাক না হওয়ায় তা মলের সাথে নির্গত হয়। এভাবে পাখির মাধ্যমে ফল ও বীজের বিস্তার ঘটে।

. উদ্দীপকের ইঙ্গিতপূর্ণ প্রক্রিয়াটি হলো পর-পরাগায়ন। পর- পরাগায়নের ফলে নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়, বীজের অঙ্কুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায়, বীজ অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন হয় ও নতুন প্রজাতি সৃষ্টি হয়। দুটি ভিন্ন গুণসম্পন্ন গাছের মধ্যে পরাগায়ন ঘটে। 

ফলে যে বীজ উৎপন্ন হয় তা নতুন গুণসম্পন্ন হয়। এ বীজ থেকে যে গাছ জন্মায় তাও নতুন গুণসম্পন্ন হয় । এ কারণে এসব গাছের নতুন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয় । পর-পরাগায়নের ফলে নতুন গুণসম্পন্ন বৈচিত্র্য সৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা বিভিন্ন পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকতে পারে। 

এটি না ঘটলে অধিক জীবনীশক্তি সম্পন্ন নতুন উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সৃষ্টি হতো না। ফলে প্রতিকূল পরিবেশে তথা বৈচিত্র্যময় পরিবেশে উদ্ভিদকুল বেঁচে থাকতে পারে না। এতে করে উদ্ভিদকুল বিলীন হলে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল সকল প্রাণিজগতও ধ্বংস হতো।

সুতরাং এ আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, জীবের টিকে থাকা পর-পরাগায়নের উপর নির্ভরশীল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রজনিবৃত্তিকাল বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ