স্টোন সেল কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্টোন সেল কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্টোন সেল কি

স্টোন সেল কি
স্টোন সেল কি

প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহের অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। এই পানি পাতা পর্যন্ত জাইলেম টিস্যুর মাধ্যমে পৌঁছায়। জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যু হলো জটিল টিস্যু।

ক. প্লাজমোডেজমাটা কী?

খ. স্টোন সেল কি?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম টিস্যুটির গঠন বর্ণনা করো ।

ঘ. উদ্দীপকের টিস্যুর কার্যকারিতা অপরিহার্য বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. প্লাজমোডেজমাটা হলো পাশাপাশি কোষসমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী অঙ্গাণু।

. স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর স্ক্লেরাইড কোষকে স্টোন সেল বলা হয়। এরা খাটো, সমব্যাসীয়, কখনও লম্বাটে আবার কখনও তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণপ্রাচীর খুবই শক্ত, অত্যন্ত পুরু ও লিগনিনযুক্ত। পরিণত স্টোন সেল সাধারণত মৃত থাকে।

. আলোচ্য উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম টিস্যুটি হলো জাইলেম টিস্যু। জাইলেম টিস্যু কয়েক ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত। যেমন— ট্রাকিড, ভেসেল, জাইলেম প্যারেনকাইমা ও জাইলেম ফাইবার।

ট্রাকিড: ট্রাকিড কোষ লম্বা। এর প্রান্তদ্বয় সরু ও সুচালো প্রাচীরে লিগনিন জমে পুরু হয়ে অভ্যন্তরীণ গহ্বর বন্ধ হয়ে যায়। প্রাচীরের পুরুত্ব কয়েক ধরনের যেমন— বলয়াকার, সর্পিলাকার, সোপানাকার ও কৃপাঙ্কিত ।

ভেসেল: ভেসেল কোষগুলো খাটো চোঙের ন্যায়। কোষগুলো একটির মাথায় একটি সজ্জিত হয়ে এবং প্রান্তীয় প্রাচীর গলে একটি দীর্ঘ নলের ন্যায় অঙ্গের সৃষ্টি করে । ভেসেলের প্রাচীর ট্রাকিডের মতো বিভিন্ন রূপে পুরু হয়।

জাইলেম প্যারেনকাইমা: জাইলেমে অবস্থিত প্যারেনকাইমা কোষকে | জাইলেম প্যারেনকাইমা বা উড প্যারেনকাইমা বলে। এদের প্রাচীর পুরু বা পাতলা হতে পারে ।

জাইলেম ফাইবার: জাইলেমে অবস্থিত স্ক্লেরেনকাইমা কোষই জাইলেম ফাইবার। এদের উড় ফাইবারও বলে। এ কোষগুলো লম্বা। এদের দু' প্রান্ত পুরু। পরিণত কোষে প্রোটোপ্লাজম থাকে না বলে এরা মৃত।

. উদ্দীপকে যে দুই প্রকার টিস্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো- জাইলেম টিস্যু ও ফ্লোয়েম টিস্যু। নিম্নে এদের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করা হলো-

জাইলেম এর কাজ:  জাইলেমে অবস্থিত ট্রাকিড কোষরসের পরিবহন ও অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান করা এর প্রধান কাজ। তবে কখনও খাদ্য সঞ্চয়ের কাজও এ টিস্যু করে থাকে । পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে এবং অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান করে। এছাড়াও এই টিস্যু উদ্ভিদকে যান্ত্রিক শক্তি ও দৃঢ়তা প্রদান করে । 

ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজ: পাতায় প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করা এদের প্রধান কাজ । এরা খাদ্য সঞ্চয় করে এবং খাদ্য পরিবহনে সহায়তা করে। ফ্লোয়েম টিস্যুর মাধ্যমে পাতায় উৎপাদিত শর্করা ও মূলে সঞ্চিত খাদ্য একই সাথে উপরে-নিচে পরিবাহিত হয়। 

অনেক সময় ফ্লোয়েম ফাইবার উদ্ভিদ দেহের বাইরে তত্ত্ব বা আঁশ তৈরির মাধ্যমে বাইরে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে উদ্ভিদকে রক্ষা করে থাকে।  উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকের টিস্যুর কার্যকারিতা অপরিহার্য।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্টোন সেল কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্টোন সেল কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ