উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব

উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব
উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব

উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব

ক. ফসফোরাইলেশন কী?

খ. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।

গ. 'X' চিত্রটিতে সংঘটিত প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবজগতে 'Y' প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

আরো পড়ুনঃ স্টোন সেল কি

প্রশ্নের উত্তর

. বাইরের শক্তির সাহায্যে অ্যাডেনিনের সাথে অজৈব ফসফেট যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ফসফোরাইলেশন ।

. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া বলতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে বোঝায় যাতে পাতার বয়স গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। 

একেবারে কচিপাতা এবং একেবারে বয়স্ক পাতায় ক্লোরোফিলের পরিমাণ কম থাকে বলে সালোকসংশ্লেষণ কম হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্লোরোপ্লাস্টের সংখ্যাও বেশি হয়। মধ্যবয়সী পাতায় সবচেয়ে বেশি, সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।

. উদ্দীপকের 'X' চিত্রটি দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়েছে। নিচে প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো-

এ প্রক্রিয়ায় আলো ও ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে CO2 ও H2O-র রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি হয় এবং O2 নির্গত হয়। প্রক্রিয়াটি আলোক ও অন্ধকার পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। 

আলোক পর্যায়ে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এ পর্যায়ে ATP ও NADPH2 তৈরি হয়।  আলোর উপস্থিতিতে ক্লোরোফিল অণু হতে ইলেকট্রন (e) উৎক্ষিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন বাহকের মধ্য দিয়ে পূর্বের ক্লোরোফিল অণুতে অথবা অন্য ক্লোরোফিল অণুতে পৌঁছায়। 

এ সময় পথিমধ্যে ATP তৈরি হয়। আবার অচক্রীয় পথে NADPH2 তৈরি হয়।  সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ের অচক্রীয় পথে H2O-র সালোক বিভাজন ঘটে এবং সেখান থেকে O2 নির্গত হয়। অন্ধকার পর্যায়ে আলোর কোনো প্রয়োজন হয় না। 

এ পর্যায়ে আলোক পর্যায়ে উৎপন্ন ATP ও NADPH2 এর সহায়তায় CO2 বিজারিত হয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্লুকোজ তৈরি হয় ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'Y' প্রক্রিয়াটি হলো শ্বসন প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া জীবজগতের বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো-

শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি দিয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সব ধরনের ক্রিয়া- বিক্রিয়া ও কাজকর্ম পরিচালিত হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে ২৪ ঘন্টাই এ প্রক্রিয়া চলে। শ্বসনে নির্গত CO2, জীবের প্রধান খাদ্য শর্করা উৎপন্নের জন্য উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদে খনিজ

লবণ পরিশোষণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া চালু রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও কিছু আনুষঙ্গিক পদার্থ শ্বসন প্রক্রিয়া থেকে আসে। 

তাই এ প্রক্রিয়া জীবের দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে। এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপ-ক্ষার ও জৈব অ্যাসিড সৃষ্টিতে সহায়তা করার মাধ্যমে জীবনের অন্যান্য জৈবিক কাজেও সহায়তা করে। 

কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাঁচতে পারে না। এদের শক্তি উৎপাদনের একমাত্র উপায় হলো অবাত শ্বসন। তাছাড়া উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা শ্বসন প্রক্রিয়া থেকেই আসে। 

শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন CO2 সালোকসংশ্লেষণে অংশ নিয়ে খাদ্য তৈরির পাশাপাশি O2 উৎপন্ন করে। এই O2 প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক। 

এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও প্রক্রিয়াটি পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে, যা সকল জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই উপরিউক্ত বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকের শ্বসন প্রক্রিয়াটি জীবজগতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে পাতার বয়সের প্রভাব যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ