উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী 

উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী
উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী

প্রমা পরিশ্রান্ত। তার আম্মু তাকে একটি আম কেটে দিয়ে বলল, “এটি খাও, তাহলে তুমি শক্তি ফিরে পাবে।” তখন প্রমা মাকে জিজ্ঞাসা করল, “আমের মধ্যে কীভাবে শক্তি জমা হলো, আর এটি খেলে আমি কীভাবে শক্তি পাব?” উত্তরে আম্মু বললেন, “এটি একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া যার প্রথম পর্যায়ে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আর তোমার দেহে ঘটবে এর বিপরীত একটি প্রক্রিয়া যা সকল জীবের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।"

ক. আলোক শ্বসন কী?

খ. উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী?

গ. প্রমার আম্মুর প্রথমে উল্লিখিত প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়টি ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. প্রমার দেহে ঘটা প্রক্রিয়াটি সকল জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. অতিরিক্ত তাপ ও প্রখর সূর্যালোকে পত্ররন্ধ্র যখন বন্ধ থাকে তখন যে বিপাক ক্রিয়ায় O2 ব্যবহৃত হয় এবং CO, নির্গত হয় কিন্তু কোনো ATP তৈরি হয় না সেই প্রক্রিয়াই হলো আলোক শ্বসন ।

. উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের দ্বারা CO2 গ্রহণ করে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। 

শ্বসনে অক্সিজেন দ্বারা জারিত করে উদ্ভিদ শক্তি উৎপন্ন করে এবং CO2 ত্যাগ করে। উৎপন্ন শক্তি উদ্ভিদ তার শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহার করে। 

সুতরাং, CO2 এবং O, এর ভারসাম্য রক্ষা এবং শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের জন্যই উদ্ভিদে শ্বসন প্রয়োজন ।

. উদ্দীপকে প্রমার আম্মুর প্রথমে উল্লিখিত জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াটি মূলত সালোকসংশ্লেষণ । প্রক্রিয়াটি আলোক ও অন্ধকার এ দু'টি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। এর প্রথমটি হলো আলোক পর্যায়। নিচে এ পর্যায়টির ব্যাখ্যা করা হলো-

সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে ATP ও NADPH, তৈরি হয় এবং O, নির্গত হয়। আলোর উপস্থিতিতে ক্লোরোফিল অণু হতে ইলেকট্রন উৎক্ষিপ্ত হয় এবং 

বিভিন্ন বাহকের মধ্য দিয়ে পূর্বের ক্লোরোফিল অণুতে অথবা অন্য ক্লোরোফিল অণুতে পৌঁছায়।  এসময় পথিমধ্যে ATP তৈরি হয়। আবার অচক্রীয় পথে NADPH, তৈরি হয়। সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ের অচক্রীয় পথে H-O-এর সালোক বিভাজন ঘটে এবং 

সেখানে থেকে O, নির্গত হয়। আলোক পর্যায়ে উৎপন্ন ATP ও NADPH, অন্ধকার পর্যায়ে CO2 বিজারণের মাধ্যমে শর্করা তৈরিতে অংশ নেয় ।

. উদ্দীপকে প্রমার দেহে ঘটা প্রক্রিয়াটি দ্বারা শ্বসন প্রক্রিয়াে | শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি দিয়ে জীবের সকল ক্রিয়া-বিক্রিয়া ও কাজ বোঝানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সকল জীবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিচালিত হয়। 

শ্বসনে নির্গত CO, জীবের প্রধান খাদ্য শর্করা উৎপন্নের জন্য সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। সালোকসংশ্লেষণে উৎপন্ন জাতীয় খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছাতে যে শক্তির প্রয়োজন শ্বসন হতে পেয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের খনিজ লবণ পরিশোষণেও সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অন্যান্য জৈবিক | চালু রাখে। 

কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও কিছু আনুষা তার পদার্থ শ্বসন প্রক্রিয়া থেকে আসে। তাই এ প্রক্রিয়া জীবের দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে। এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপক্ষার ও জৈব এসিড সৃষ্টিতে সহায়ত মাধ্যমে জীবের অন্যান্য জৈবিক কাজেও সাহায্য করে। 

শ্বসন প্রক্রিয়া প্রকৃতিতে CO2 ও 0, এর সমতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্ধ স্থিতিশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে সকল জীবের শক্তি যোগায়। কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাচতে পারে না। এদের শক্তি উৎপাদনের উপায় হলো অবাত শ্বসন। 

তাই, প্রমার দেহের প্রক্রিয়াটি অর্থাৎ শ্বসন সকল জীবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী 

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উদ্ভিদের শ্বসনের গুরুত্ব কী যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ