আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর

আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর
আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর

আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর

আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান কি?

উত্তর : সূচনা : সমগ্র মানব জাতির একটি অংশ হলো নারী। মানবজাতির এ অংশ নানা ধরনের শোষণ-নিপীড়নের শিকার । পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ফলে নারীরা সকল ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় পশ্চাৎপদ। প্রশ্নের আলোকে আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান তুলে ধরা হলো :

→ আইনগত নারীর অবস্থান : বাংলাদেশের আইনগত কাঠামোর প্রতি দৃষ্টিপাত দেখা যায় যে, নারীকে প্রান্তিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় । 

নারীকে পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা থেকে দূরে রেখে সমাজে নারীকে পুরুষের অধস্তনতাকে আরও বেশি মজবুত করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এদেশে যে নাগরিক আইন প্রচলিত সেই আইনে নারীর মর্যাদা পুরুষের তুলনায় নিম্নস্তরে । 

পারিবারিক ও ব্যক্তিগত আইনের মধ্য রয়েছে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ, দেনমোহর ও ভরণপোষণ ইত্যাদি। বাংলাদেশে ৪ ধরনের ব্যক্তিক আইন রয়েছে-

১. মুসলিম পারিবারিক আইন; 

২. হিন্দু পারিবারিক আইন; 

৩. বৌদ্ধ পারিবারিক আইন ও

৪. খ্রিস্টান পারিবারিক আইন ।

→ নারীর রাজনৈতিক অধিকার : নারীর রাজনৈতিক অধিকার বলতে রাষ্ট্রীয় কার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ সুবিধাকে বুঝায় । একজন নাগরিক ব্যক্তি হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে অধিকারগুলো ভোগ করে সেসব অধিকার হলো রাজনৈতিক অধিকার।

রাজনৈতিক অধিকার বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। এতে নারী ও পুরুষকে মৌলিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে সমানভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

→ ভোটের অধিকার : বাংলাদেশে নারী-পুরুষ সকলে সমান ভোটাধিকার লাভ করে। সকলে সমানভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আঠারো বছর পূর্ণ হলে নারী হোক পুরুষ হোক সে ভোট দিতে পারবে।

→ সংগঠন করার অধিকার : বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নারী পুরুষের সকলকে সংগঠনের অধিকার দেয়া হয়েছে। নারী চাইলে সংস্থা ও সংগঠনের অধিকার রাখে এবং সংগঠনের প্রতিনিধি হয়ে নারী সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্ম সম্পাদন করতে পারবে। 

তবে নারী পূর্ণাঙ্গভাবে রাজনৈতিক অধিকার পাচ্ছে না। কতিপয় সাহসী নারী রাজনীতিতে শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও বিপুল সংখ্যক নারীর কোন রাজনৈতিক অবস্থান নেই ।

উপসংহার : ব্যক্তিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় আইনে নারীকে পুরুষের তুলনায় দূরে রাখা হয়েছে। রাজনীতিতেও নারীর মর্যাদা ও অবস্থান পশ্চাৎপদ এবং সর্বত্র নারীরা বৈষম্যের শিক্ষা হচ্ছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে নারীর পূর্ণ অধিকার দানের মাধ্যমে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীভূত করা সম্ভব ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আইন ও রাজনীতিতে নারীর অবস্থান ব্যাখ্যা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ