১৫টি প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি | গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি

 আপনি প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি বা গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি জানতে চান? যদি সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ জানার জন্য এখানে এসে থাকেন তাহলে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কারণ আমাদের আজকের আলোচনার মুল বিসয় হলো প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি তা জানিয়ে দিবো। আপনি এই লেখাটি থেকে গর্ভধারণের উপসর্গ গুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

১৫টি প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি  গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি
১৫টি প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি  গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি

প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি | গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি

গর্ভবধারণের সময় কতগুলো শারিরীক সমস্যা দেখা দিবে যেগুলো কোন রোগের উপসর্গ নয় এগুলো অত্যন্ত স্বাভাবিক এজন্য বিশেষ দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। 

নিম্নে লিখিত শারিরীক সমস্যাগুলো কমবেশী প্রায় সকল গর্ভবতী মায়েরই দেখা যায় । চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এবং সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ

১। প্রাতঃকালীন অসুস্থতা (morning sickness): গর্ভকালীন ১ম ২-৩ মাস বমি, খিদে কম থাকে এবং প্রায়ই বুক জ্বালা করে। সকালে এক টুকরো শুকনো বিস্কুট, সাদা টোষ্ট বা ক্রীম কেকার চিবিয়ে খেয়ে আধঘণ্টা পর নাস্তা করলে ভাল লাগবে। হালকা খাবার ঘন ঘন খেলে উক্ত উপসর্গগুলো থেকে মুক্ত থাকা যায় । বেশি অসুস্থতা বোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

২। ঘন ঘন মূত্র ত্যাগঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে জরায়ুর চাপ এবং শেষের দিকে গর্ভস্থ শিশুর মাথায় চাপ মূত্র থলির উপর পড়ে তাই মায়েরা ঘন ঘন মুত্র ত্যাগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এটা সাময়িক। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শ বা ঔষধের প্রয়োজন নেই কিন্তু এর সংগে যদি প্রসবে জ্বালা করে তলপেট ব্যাথা এবং জ্বর হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

৩। শারীরিক ক্লান্তি ঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে মায়েরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এটা সাময়িক ও স্বাভাবিক এর জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দরকার । দিনে ২ ঘণ্টা এবং রাতে ৮ ঘণ্টা যথেষ্ট। হাল্কা পরিশ্রম করবেন, ভারী জিনিস বহন করবেন না বা কঠিন কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।

৪। পেটে গ্যাস ও বদহজম : পাকস্থলীয় উপর জরায়ুর চাপ পড়ার ফলে খাদ্যের হজমের গণ্ডগোল হতে পারে ও পেটে অত্যাধিক গ্যাস জমতে পারে চর্বি জাতিয় বেশি মসলাসহ ও ভাজি খাবার খাবেন না ।

৫। কোষ্ঠ কঠিন ঃ গর্ভাবস্থায় অনেকে কোষ্ঠ কাঠিন্যে ভোগেন। টাটকা শাকশব্জী, ফল বেশি করে খাওয়া উচিত। অসহ্য হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন ।

৬। তলপেট ও পায়ে ব্যথা : গর্ভাবস্থায় তলপেটে ও পায়ে সামান্য ব্যথা হতে পারে এর জন্য কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই ।

৭। চর্মের সমস্যা ঃ তলপেটের চামার সাদা ও কালো দাগ দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় সামান্য চুলকাতে পারে। খালি তেল দিনে ২-৩ বার মালিশ করলে ঐ দাগগুলো কিছুটা কম চোখে পড়ে।

৮। পা ও শরীর ফোলা : গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে পা ফুলতে পারে। তবে যদি হাত মুখ বেশি ফোলা মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ সময়

৯। মাথা যন্ত্রণা ঃ অত্যাধিক মাতা যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । 

১০। যোনি ক্ষরণ ঃ গর্ভকালে স্বাভাবিকভাবেই যোনি থেকে একটু বেশি রস রক্ষণ হয় । তবে এ রসের পরিমাণ অত্যাধিক হলে বা ঐ রস দুর্গন্ধযুক্ত বা চুলকানি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

১১। রক্তক্ষরণ : গর্ভবস্থায় যে কোন সময়ে যোনি পথে সামান্যতম রক্ত ক্ষরণ হলে সম্পূর্ণ বিশ্রাম ও সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

১২। স্তনঃ বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হতে চলেছেন তাদের ক্ষেত্রে স্তন যুগল ভারী মনে হবে, বোটা আস্তে আস্তে বড় এবং বোটার চারিদিকে এরিগুলো ক্রমশ কালো হবে। এ সময় স্তনের মধ্যে একটা অপূর্ব শিহরণ অনুভব হবে । গর্ভাবস্থায় এটাকে কনোস্ট্রম বলে, এটা নবজাত শিশুর প্রথম খাবার ।

১৩। রক্তের শিরা ফুলে উঠা : জরায়ুর চাপে শরীরের নীচের দিকের বিশেষ করে পায়ের ও যোনী পথের শিরাগুলো ফুলে যায় এটা স্বাভাবিক ব্যাপার । 

১৪। শিশুর নড়াচড়াঃ ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভবতীর তলপেটে শিশুর নড়াচড়া অনুভব করতে পারবেন। যত সময় যেতে থাকবে ততই এ নড়াচড়া যদি হঠাৎ করে বেশি সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তাহলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।

১৫। অর্শঃ মলদ্বারের শিরাগুলো জরায়ুর চাপে ফুলে উঠে। তারও অর্শ্ব রোগ থাকলে গর্ভাবস্থায় জ্বলা, ব্যথা বা পায়খানার রাস্তা থেকে রক্তক্ষরণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কোষ্ঠ কাঠিন্য থাকলে এ সমস্যাগুলো আরও বেশি হবে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে হয় ।

আরটিকেলের শেস্কথাঃ প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি | গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো কি কি

আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে গেছেন। আপনারমনে এই প্রশ্ন টিও ছিল সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ। যদি সব ধ্রনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকেন তাহলে এখনি আপনার ফেসবুক টাইম্লাইনে শেয়ার করে রেখে দিন এক্সময় কাজে লাগবে। আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে গুগল নিউজ ফলো করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ