ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে

ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে
ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে

ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে

ইসলামে বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার সংক্ষেপে লিখ

উত্তর : সূচনা : প্রাক ইসলামি সকল জনপদে যখন নারী-নির্যাতন, নিপীড়ন এবং নারীর মর্যাদাহরণের এক পৈশাচিক তাণ্ডবলীলা চলছিল; ঠিক সেই মুহূর্তে নবী (সা.) এর ওপর অবতারিত আসমানী কিতাব আল কুরআনের সম্প্রচারের মাধ্যমে চির বঞ্চিত ও নিগৃহীত নারী জাতির মুক্তির বার্তা ঘোষণা করেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ।

→ ইসলাম ধর্মে বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার :

১. বর ও কনে উভয়ের সম্মতি : বিবাহ অনুষ্ঠানে বর ও কনের সম্মতি অবশ্যই থাকতে হবে। শুধু একজন সম্মতি দেয়ার উপর বিবাহ হবে না। মুসলিম আইন অনুযায়ী সুস্থ মস্তিষ্ক ও প্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তির বিয়ে তার সম্মতি ব্যতীত সম্পন্ন হয়ে থাকলে, সেই বিয়ে বাতিল হবে। এখানে বর ও কনের উভয়ের সম্মতির কথা বলা হয়েছে।

২. দেনমোহর : বিয়ের ক্ষেত্রে মোহর নারীর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। বিয়ের অন্যতম একটি শর্ত মোহর ধার্য ও প্রদান করা। 'মোহর অবশ্যই আদায় করতে হবে। কিন্তু আমাদের সমাজ তা আদায় করে না। আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন-

আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশিমনে। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তোমরা ভোগ কর । সূরা নিসা-৪.

৩. বিয়ে নিবন্ধন করা : ১৯৭৪ সালে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী প্রত্যেক বিয়ে অনুমোদিত ম্যারেজ রেজিস্ট্রার দ্বারা নিবন্ধনকৃত হতে হবে। রেজিস্ট্রেশন না করলে বিয়ে অবৈধ হবে না, কিন্তু তা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।

৪. বর ও কনের বয়সের সীমা : বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ অনুযায়ী বিয়েতে বরের বয়স ২১ ও কনের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। কোন অভিভাবক নাবালক ছেলে মেয়ের বিয়ে দিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এ আইনে শাস্তি ১ মাস কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

৫. স্বামী নির্বাচনে ইখতিয়ার : ইসলাম নারীকে স্বামী নির্বাচন করার স্বাধীনতা দিয়েছে। নারী চাইলে পিতামাতার মতামতের বিপক্ষে মতামত দিতে পারবে।

৬. বিধবা ও তালাক প্রাপ্তির অধিকার : স্বামীর মৃত্যুর পর অথবা তালাক বা অন্য কোন কারণে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে স্ত্রীদের পুনঃবিবাহের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

উপসংহার : Islam is the complete code of life. পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম ইসলাম নারীকে সর্বক্ষেত্রে সমানাধিকার দিয়েছে। বিয়েসহ যেসব আইনগত অধিকার দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে নারী পুরুষের বৈষম্যহীন এক আদর্শিক শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণ করা যাবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইসলাম নারীকে বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন অধিকার দিয়েছে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ