ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর

ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর
ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর

ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর

ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা লিখ

উত্তর : ভূমিকা : স্পেনের ইতিহাসে একজন বিতর্কিত নেতা হিসেবে ওমর বিন হাফসুনের উত্থান হয়। ওমর বিন হাফসুনের উত্থান ও পতন স্পেনের ইতিহাসে একটি চাঞ্চল্যকর ও চমকপ্রদ ঘটনা। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান সংগঠক ও সমরকুশলী নেতা। 

ক্রমাগত ত্রিশবছর ধরে তিনি তিনজন আমির এবং একজন খলিফার সাথে শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন। তবে তার ধূর্তামি, কপটতা, বিশ্বাসঘাতকতা, স্বার্থপরতা ও দস্যুবৃত্তি তার বীরত্বের অহমিকাকে ম্লান করে দেয়; তবুও একজন সফল নেতার যাবতীয় গুণাবলি তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল ।

→ ওমর বিন হাফসুনের উত্থান : ওমর বিন হাফসুন ৮৬০ সালে রোন্ডার নিকটবর্তী ইজনেট নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাবস বিন ওমর বিন জাফর আল ইসলামি ছিলেন ভিজি গথিক খ্রিস্টান জাতি। 

তিনি আল হাকামের শাসনামলে খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হাফসুন নামে পরিচিত হন। তার পুত্র ওমর অসৎ চরিত্রের লোক ছিলেন। একদিন তিনি একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীকে হত্যা করে পিতাকে নিয়ে বোবাস্ট্র পাহাড়ের পাদদেশে ‘ছেড়া নিয়া বি রোন্ডা' নামক স্থানে পালিয়ে যান। 

কিন্তু ওমর তার খারাপ কাজ ছাড়তে অসম্মতি জানালে ঐ প্রদেশের গভর্নর তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করলে তিনি উত্তর আফ্রিকায় পালিয়ে যান। সেখানে তিনি দর্জিতে কর্মরত অবস্থায় এক বৃদ্ধ তাকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিলে তিনি পুনরায় ৮৮০ সালে স্পেনে প্রত্যাবর্তন করে চাচা মুজাহিরের সহায়তায় বোবাস্ট্রের কাস্পিলন নামে একটি দুর্গে আশ্রয় নেন। 

সেখানে চল্লিশ জন ডাকাতের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে দস্যুবৃত্তি অবলম্বন করেন। এ সময় খ্রিস্টান ও নব মুসলিমগণ তার সাথে মিলিত হয়ে একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করে লুণ্ঠন ও স্পেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যা স্পেনের জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে। 

এভাবে তিনি একাধারে বহু বছর ধরে তিনজন আমির (মুহাম্মদ, মুনজির ও আব্দুল্লাহ) এবং একজন খলিফার (তৃতীয় আব্দুর রহমান ) সাথে শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ওমর বিন হাফসুন বহু যুদ্ধ বিগ্রহ, লুঠতরাজ, হত্যা, চুরি ডাকাতি ও দস্যুবৃত্তি দ্বার ব্যাপৃত থেকে সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেন। 

শেষ জীবনে তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে স্যামুয়েল নাম ধারণ করেন। ফলে তার এতদিনের সমর্থকগণও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। 

অবশেষে তৃতীয় আব্দুর রহমান টোরক্সের যুদ্ধে তাকে চূড়ান্তভাবে পতন ঘটান। পরে ওমর বিন হাফসুন ভগ্ন হৃদয়ে ৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাণত্যাগ করেন। ওমর বিন হাফসুন নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাশালী সংগঠক, আত্মপ্রত্যয়ী ও সমরকুশলী নেতা ছিলেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ওমর বিন হাফসুনের উত্থানের ঘটনা আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ