ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর
ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর

ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর

  • অথবা, ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের বর্ণনা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষে মুসলমানদের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধশালী। ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস পাওয়া যায়। 

মধ্যযুগীয় ভারতে মুসলিম শাসনামলের ইতিহাসে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানে ভরপুর এবং বিভ্রান্তিকরও বটে। ঐ সময়ের বিভিন্ন ইতিহাস আমরা মুদ্রা, শিলালিপি, স্মৃতিস্তম্ভ, অট্টালিকা, আরো বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমে জানতে পারি ।

→ ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিহাসে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস : নিম্নে ভারতীয় মুসলিম শাসনের ইতিহাসে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসের বর্ণনা দেওয়া হলো-

১. মুদ্রা : যেকোনো ইতিহাস রচনার পূর্বে সে সময়ের বিভিন্ন নিদর্শন থেকে তথ্যসংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়। মুদ্রা এমন একটি বস্তু যার মধ্যে কোন সময়ের বা রাজত্বের ছাপ রয়েছে তা এর মাধ্যমে বুঝা যায়।

 মুসলিম ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রা হলো অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস। সুলতানি ও মুঘল শাসনামলের মুদ্রাগুলো ঐ যুগের মুদ্রানীতি এবং ধাতুশিল্পের পরিচয় দিয়ে থাকে। 

মুদ্রা খোদাই করে বিভিন্ন শাসনের সময়কাল, শাসকের ছবি ইত্যাদি যুক্ত করা হয়ে থাকে । সুতরাং মুদ্রা ইতিহাস জানার অন্যতম উৎস।

২. শিলালিপি : মুসলিম ভারতের ইতিহাস রচনায় সে সময়ের শিলালিপির ভূমিকা অপরিসীম। সাধারণত পাথরে কিংবা তাম্রপারে বিভিন্ন শাসনের শাসননীতি লিখে রাখা হতো। 

শাসনকার্যের ব্যাপ্তিও শাসকদের আচরণ, অনুশাসন ইত্যাদি বিভিন্ন পাথরে খোদাই করে লিখে রাখা হতো। এই খোদিত লেখাগুলোই পরবর্তীতে ইতিহাস রচনার উপজীব্য হয়ে উঠে। 

তখনকার যুগে পাথরের খোদাই করা লেখার প্রচলন ছিল; সাধারণ কলম কাগজ তখন ছিল না। সুতরাং তখনকার শাসনকার্য তারা বিভিন্ন শিলালিপির মধ্যেই খোদাই করে রাখতেন। সুতরাং ভারতীয় মুসলমানদের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস হিসেবে শিলালিপির গুরুত্ব অপরিসীম।

৩. স্মৃতিস্তম্ভ : সুলতানি ও মুঘল যুগের স্থাপত্যশিল্প ও ললিতকলার প্রচুর নিদর্শন আজও বিদ্যমান। মুঘল বা সুলতানি আমলে বিভিন্ন ঘটনার উপর নির্ভর করে দুর্গ, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি নির্মাণ করা হতো, যা থেকে পরবর্তীতে আমরা তৎকালীন ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাই। 

এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্যেরও ছাপ থাকে। স্মৃতিস্তগুগুলো সে সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। বিভিন্ন রঙিন পাথরে কারুকার্যে তৈরি হতো এ ধরনের স্মৃতিস্তমু, যা বর্তমানেও আমরা দেখতে পাই।

৪. অট্টালিকা : ভারতীয় মুসলমানদের ইতিহাসে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম উপাদান হলো অট্টালিকা। সুলতানি আমল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন অট্টালিকা নির্মাণ হয়েছে। 

যার মাধ্যমে আমরা ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাই শাসকগণ বিভিন্ন সময়ে তাদের জন্য বা রাজ্যের জন্য কারুকার্য খচিত অনেক সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন যা পরবর্তী ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।

মুঘল আমলের স্থাপত্যশিল্পের সুস্থ কারুকার্য, উৎকর্ষ ও বৈশিষ্ট্যে মুঘল সম্রাটদের উন্নত রুচিবোধ এবং মুসলিম সংস্কৃতির পরিচয় পরিলক্ষিত হয়। সেজন্য অট্টালিকা ভারতের মুসলিম ইতিহাস জানার অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাস মানে অতীতের যেকোনো সময়ে ঘটে যাওয়া বা রটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাবলির সমাহার। আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে ইতিহাসের সন্ধান পাই। 

যার মাধ্যমে আমরা ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করে এবং নির্ভরযোগ্য উৎসের উপর ভিত্তি করে আলোচনা করি। 

প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস হলো তেমনি একটি উৎস তখনকার সময়ের বিভিন্ন মুদ্রা, শিলালিপি, অট্টালিকা, স্থাপত্যশিল্প ইত্যাদির মধ্যে আমরা ভারতীয় মুসলমানদের ইতিহাস খুঁজে পাই, যার প্রত্যেকটি খোদিত লেখা বা কারুকার্য ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে যুগ যুগ ধরে থেকে যায়। 

ভাই ভারতের মুসলিম ইতিহাস জানার অন্যতম উপায় হলো প্রত্নতাত্ত্বিক উৎস সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ