মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল
মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল

মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল

  • অথবা, মুসলিম বিজয়ের প্রাকালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থার সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধর।
  • অথবা, মুসলিম বিয়ের প্রাকালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থার উপর একটি টীকা লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশে বহু জাতি, ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষের সমাবেশ ঘটেছে। তাই এখানকার আর্থসামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থাও ছিল বিভিন্ন রকম। 

বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গবেষকদের মতে, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, যা ছিল তৎকালীন সময়কার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

• মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা : মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থার যে বিবরণ পাওয়া যায় তা নিম্নে আলোকপাত করা হলো ।

১. প্রধান প্রধান ধর্ম : মুসলমানদের বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতীয় উপমহাদেশে তিনটি প্রধান ধর্ম প্রচলিত ছিল। এ ধর্মগুলো হলো বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দুধর্ম। 

জৈনধর্ম তখন জনপ্রিয় ছিল না এবং বৌদ্ধধর্ম লুপ্ত হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়। তবে তখন হিন্দুধর্ম ছিল দেশের প্রধান ধর্ম। অধিকাংশ রাজাই ছিলেন হিন্দু এবং তারা হিন্দুধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন ।

২. বর্ণপ্রথা : হিন্দুধর্ম অনুসারে, তাদের প্রধান চারটি শ্রেণি ছিল। যথা : ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। ব্রাহ্মণরা ছিল সমাজের প্রধান পুরোহিত। 

ক্ষত্রিয়রা যুদ্ধবিগ্রহ ও শাসনকার্য পরিচালনা করত। বৈশ্যরা ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ছিল এবং শূদ্ররা সমাজের সর্বনিম্ন স্তরে ছিল। সে সময়ে এ জাতিভেদ প্রথা কঠোরভাবে পালিত হতো।

৩. ব্রাহ্মণদের শোষণ : পুরোহিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণগণ সে সুযোগে সাধারণ লোকদের শোষণ করত। তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কে অধ্যাপক হাবিব বলেন, “ব্রাহ্মণগণ ইচ্ছাপূর্বক জনসাধারণকে অজ্ঞ করে রাখতেন"। দুর্নীতিপরায়ণ ব্রাহ্মণগণ জনসাধারণের দুর্বলতা ও ভীতির সুযোগে অর্থ উপার্জন করত।

৪. বৌদ্ধদের সাথে শত্রুতা : ব্রাহ্মণদের পুনর্জাগরণ ও তাদের আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে বৌদ্ধদের সাথে তাদের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বৌদ্ধরা নানা কারণে হিন্দু শাসকদের প্রতি বৈর - বাপন্ন ছিল। সেজন্য তারা হিন্দুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার গুটি সেন্ধু আক্রমণকারী আরবদের স্বাগত জানায় ।

৫. ধর্মীয় কুসংস্কার : মুসলিম আগমনের প্রাক্কালে হিন্দুরা বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করত। শাসকদের উৎসাহে সতীদাহ প্রথা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে সমগ্র ভারতের ধর্মীয় অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। 

এ ধর্মীয় অবস্থা ভারতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে, রাখে। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের অনধিকার চর্চায় নিম্নবর্ণের জনগণ মুসলমানদের স্বাগত জানায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল। যদি তোমাদের আজকের মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ