ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।

ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো
ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো

ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো

  • অথবা, ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে লেখ।
  • অথবা, ব্রিটিশ কমন্সসভার কার্যাবলি আলোচনা কর। 
  • অথবা, ব্রিটিশ কমন্সসভার গুরুত্ব কী কী?

উত্তর : ভূমিকা : ব্রিটেনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংস্থা হলো পার্লামেন্ট। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট বলতে রাজা বা রানিসহ পার্লামেন্টকে বুঝায়। অর্থাৎ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হলো রাজা বা রানি এবং লর্ডসভা ও কমন্সসভাকে নিয়ে গঠিত একটি সংস্থা। 

এই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সংবিধানের ভিত্তিতে সৃষ্ট কোনো সংস্থা নয়। এ হলো ইংল্যান্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের ধারায় সৃষ্ট এবং বিকশিত একটি সংগঠন।

→ কমন্সসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি : নিম্নে কমন্সসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. আইন প্রণয়ন : আইন প্রণয়ন হলো কমন্সসভার প্রধান কাজ। ইংল্যান্ডের জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কমন্সসভাকে প্রতি বছর বহু আইন প্রণয়ন করতে হয়।

২. নির্বাচন সংক্রান্ত ক্ষমতা : কমন্সসভার প্রথম কাজ হলো সদস্যদের মধ্যে একজনকে স্পিকার বা কমন্সসভার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা। নির্বাচিত হওয়ার পর স্পিকার নির্দলীয় হয়ে পড়েন এবং কমন্সসভায় তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে।

৩. সরকারি আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ : প্রত্যেক আর্থিক বছরের শেষে রাজা বা রানির পূর্বানুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী কমন্সসভায় পরবর্তী আর্থিক বছরে সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের হিসাব সম্পর্কে প্রস্তাব পেশ করেন। এ প্রস্তাব বাজেট নামে পরিচিত।

৪. সরকার গঠন : ব্রিটেনের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সরকার অর্থাৎ মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে কমন্সসভার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের পর যে দল কমন্সসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সে দলই মন্ত্রিসভা গঠন করে।

৫. শাসন বিভাগের তদারকি : কমন্সসভা দেশের শাসনব্যবস্থা তদারকি করে। কমন্সসভার সদস্যরা মন্ত্রীদের স্ব-স্ব দপ্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। এরূপ প্রশ্নোত্তরকালে সরকারের কোনো দোষ ত্রুটি ধরা পড়লে তার প্রতিবিধানকল্পে কমন্সসভা প্রয়োজনবোধে কমিশন তার কমিটি গঠন করতে পারে।

৬. নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা : নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা কমন্সসভার একটি অন্যতম কাজ ৷ কমন্সসভা একমাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কক্ষ বিধায় এর মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়।

৭. সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত ক্ষমতা : ব্রিটেনের সংবিধান অত্যন্ত নমনীয়। উপস্থিতিতে এবং ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থনে যেভাবে কোনো সাধারণ বিল অনুমোদিত হয় এই একইভাবে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আধুনিক যুগে যদিও দলীয় ব্যবস্থা বিকাশের ফলে কেবিনেট হাউজ অব কমন্স এর উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে। তথাপি এখনো হাউজ অব কমন্স যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ কমন্স সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ