ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

  • অথবা, ব্রিটিশ সংবিধানের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ। 
  • অথবা, ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর। 

উত্তর : ভূমিকা : সবচেয়ে পুরাতন ও প্রভাবশালী সংবিধান হলেও ব্রিটিশ সংবিধান মূলত অলিখিত। তাই মুনরো (Muniro) | ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রকে সব শাসনতন্ত্রের মাতৃস্থানীয় বলে বর্ণনা করেছেন। 

লিখিত না হলেও ব্রিটিশ সংবিধান গড়ে উঠেছে কতকগুলো উৎসের ভিত্তিতে। তাই ব্রিটিশ সংবিধানের আলোচনায় এর উৎসসমূহের আলোচনা অতি গুরুত্ব বহন করে।

ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে ব্রিটিশ সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. কমন আইন : কমন আইন ব্রিটিশ সংবিধানের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। ব্রিটেনের চিরাচরিত রাজনীতির উপর ভিত্তি করে অলিখিত কমন আইন গড়ে উঠেছে। এসব আইন পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণমুক্ত অথচ শাসনব্যবস্থার সর্বত্র গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃত হয়েছে।

২. প্রথাগত আইন : ব্রিটেনের প্রথাগত আইন ব্যক্তিস্বাধীনতা বক্ষক এবং শাসনব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত। প্রথাগত আইন ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। 

প্রথাগত আইন হলো কতকগুলো প্রচলিত ও প্রয়োজনীয় শাসনতান্ত্রিক প্রথা ও রাজনীতি যা শতাব্দীব্যাপী চলতে চলতে আন্দোলনের মাধ্যমে আইন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

৩. অলিখিত সংবিধান : ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর অধিকাংশই অলিখিত। সংবিধানের এক বিরাট অংশ ছড়ে আছে সাধারণ আইন ও প্রথাগত বিধান। তবে ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত হলেও এর সকল অংশই অলিখিত নয়।

৪. বিধিবদ্ধ আইন : ব্রিটিশ সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো বিধিবদ্ধ আইন। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট তার সার্বভৌম ক্ষমতা বলে সাধারণ আইনের সাথে সাথে শাসনতান্ত্রিক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়।

৫. বিবর্তনশীলতা : ব্রিটিশ সংবিধান বিবর্তনশীল প্রথাগত বিধান, সংবিধানিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত আইন, বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত ইত্যাদির মাধ্যমে এ সংবিধানের নিরন্তন পরিবর্তন ঘটেছে। এটা কোনো গোষ্ঠী, সংসদ বা সংবিধানের পরিষদ কর্তৃক রচিত হয়নি।

৬. দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা : ব্রিটেনে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকলেও দুইটি মাত্র দলই প্রাধান্যতা অর্জন করতে সামর্থ্য হয়েছে। তাই ব্রিটেনের দলীয় ব্যবস্থাকে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা বলে অভিহিত করা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মূলত ব্রিটিশ সংবিধানের বহুবিধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনো একটি নির্দিষ্ট দলিল অথবা আইনের মধ্যে ব্রিটিশ সংবিধানের সকল উৎসের সন্ধান পাওয়া যাবে না।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ