চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।

চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ
চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ

চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ

  • অথবা, চল্লিশ চক্রের বর্ণনা দাও ৷
  • অথবা, চল্লিশ চক্র সম্পর্কে কি জান?

উত্তর : ভূমিকা : ইলতুৎমিশ দিল্লি সালতানাতের প্রথম পর্যায়ের সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান ছিলেন। তিনি ছিলেন দিল্লির মামলুক বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। 

মুহাম্মদ ঘুরী ও কুতুবউদ্দিনের বিজিত সাম্রাজ্যে সংহতি ও দৃঢ়তা এনেছিল ইলতুৎমিশ। ইলতুৎমিশ একজন অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন সুলতান ছিলেন। 

তার সামরিক প্রতিভা, দূরদর্শিতা ও শাসনদক্ষতা তাকে ভারতের মুসলিম আমলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুলতানের মর্যাদা দান করেছে। বন্দেগানে চাহেলগান বা চল্লিশ চক্র সুলতান ইলতুৎমিশ-এর এক বড় কৃতিত্ব ।

→ চল্লিশ চক্রের উত্থান-পতন : সুলতান ইলতুৎমিশ সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করার জন্য তার চল্লিশ জন ক্রীতদাসকে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। 

এই চল্লিশ জন ক্রীতদাসকে বন্দেগানে চেহেলগান বলা হতো। তারা সুলতানকে শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করত। 

পরবর্তীতে এই চল্লিশ জন ক্রীতদাস তাদের যোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার বলে আমীর মালিকের পদমর্যাদায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন ।

সুলতান ইলতুৎমিশের শাসনামলে চল্লিশচক্রের ব্যাপক প্রভাব ছিল এবং ধীরে ধীরে তারা আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠে এভাবে এক পর্যায়ে তাদের প্রভাবের কাছে দিল্লির পরবর্তী সুলতানদের তাদের হাতের পুতুলের মতো করে ফেলেন। 

তাদের প্রভাবের কারণে সুলতানগণ ইচ্ছামতো কোনো কিছু করতে পারতো না। এই চল্লিশ চক্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলো গিয়াসউদ্দিন বলবন, বদরুদ্দিন মুহাম্মদ, জুনাইদি ফখরুল মূলক, কুতুবউদ্দিন, হাসান, বদরুদ্দিন সরকার, ইমাদউদ্দিন রায়হান এবং কাশলী খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

পরবর্তীতে সুলতান বলবন দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করার সময় ভারত সাম্রাজ্যের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। 

ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পরবর্তী ত্রিশ বছর অনুপযুক্ত উত্তরাধিকারীদের অসমর্থতার জন্য দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ। 

সে কারণে ইলতুৎমিশ সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য বন্দেগান-ই-চেহেলগান বা চল্লিশ চক্রের একটি ক্ষমতাশালী দল গঠন করেন। এরা সবাই প্রতিভাবান আমির-উলামা ছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইলতুৎমিশ তার সুস্থ, সুন্দর ও সুদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য চল্লিশ চক্র বা বন্দেগান-ই-চেহেলগান গড়ে তুলেন। যার জন্য তিনি একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ । যদি তোমাদের আজকের চল্লিশ চক্রের উত্থান ও পতন সম্পর্কে লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ