গজনী বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল

গজনী বংশের পতনের প্রধান কারণ কোনটি - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল
গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল

গজনী বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল

  • অথবা, গজনি বংশের শাসনের অবসানের কারণ কি ছিল?
  • অথবা, গজনি বংশের শাসনের পতন সম্পর্কে একটি টীকা লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনি সাম্রাজ্য নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ ছিল না। 

তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার নিয়ে দুই পুত্র মাসুদ ও মুহাম্মদের মধ্যে তীব্র গৃহবিবাদ দেখা দেয়। অবশেষে যুদ্ধে মাসুদ জয় লাভ করে। 

মাসুদের রাজত্বকালে কিছুদিনের মধ্যে গজনি সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয় । এক পর্যায় মাসুদ সেলজুক তুর্কিদের দ্বারা আক্রান্ত হয় ।

→ গজনি শাসনের পতন : মাসুদকে কারাগারে হত্যা করে মৌদুদ গজনির সিংহাসনে আরোহণ করেন। শাসক হিসেবে মৌদুদের অকর্মণ্যতা এবং পরবর্তী শাসকদের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতা গজনি সাম্রাজ্যের পতনের পথ প্রশস্ত করেছিল।

একদিকে সেলজুক তুর্কিদের তীব্র আক্রমণ অপরদিকে ঘুর রাজ্যের ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নীতি অবলম্বনের ফলে গজনির নিরাপত্তা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

গজনি ও সেলজুক বংশে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগে ক্ষমতালোভী ঘুরী সদারগণ গজনি শাসকদের বিরোধিতা করে। পরবর্তীতে গজনি শাসকগণ ঘুরীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। 

দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে (১১৭৩) গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মদ ঘুরী সুলতান মাহমুদের বংশধর বাহরাম শাহের পৌত্র খসরু মালিককে পরাজিত করে। গজনি রাজ্য জয় করে গজনি বংশের অবসান ঘটায়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দেড়শত বছরের অধিককাল ধরে গজনি বংশ রাজত্ব করলেও পরবর্তীতে সুলতান মাহমুদের। 

উত্তরসূরীদের দুর্বলতার কারণে গজনি বংশের অবসান ঘটে। তার পরবর্তী শাসকগণ সেলজুকদের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারেনি।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল। যদি তোমাদের আজকের গজনি বংশের পতন কিভাবে হয়েছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ