কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন
কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন

কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন

  • অথবা, কবি ফেরদৌসী সম্পর্কে কি জান?

উত্তর : ভূমিকা : কবি ফেরদৌসী ইরানের একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন। তিনি বিখ্যাত মহাকাব্য 'শাহনামা' রচনা করেছিলেন। 

পারস্য সম্রাট সুলতান মাহমুদ যখন ফেরদৌসীকে শাহনামা লেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তখন তিনি ফেরদৌসী কাছে ওয়াদা করেছিলেন যে, মহাকাব্যে যতগুলো শব্দ থাকবে তার বিনিময়ে প্রতিটি শব্দের জন্য একটি করে স্বর্ণমুদ্রা কবিকে দেয়া হবে। 

এরপর ফেরদৌসী ৬০,০০০ শব্দে মহাকাব্য লেখার কাজ শেষ করলে সম্রাট তার মন্ত্রীর পরামর্শে কবিকে ৬০,০০০ রৌপ্য মুদ্রা পাঠিয়েছিলেন ।

→ কবি ফেরদৌসীর পরিচয় : হাকিম আবুল কাশেম ফেরদৌসী ‘তুসি ফেরদৌসী' নামে বেশি পরিচিত। তুসি পারস্যের (বর্তমান ইরান) একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন। 

তিনি বিখ্যাত মহাকাব্য শাহনামার রচয়িতা। ‘শাহনামা' একই সাথে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফারসি ভাষাভাষী লোকজনের জাতীয় মহাকাব্য । সপ্তম শতাব্দীতে ফেরদৌসী মূলত সামানাইড সাম্রাজ্যের রাণির জন্য লিখেছিলেন। 

কিন্তু পারস্যে ইসলামিক বিপ্লবের পর যখন সামানাইড সাম্রাজ্যের পতন হয় তখন ফেরদৌসী নতুন শাসক সুলতান মাহমুদ গজনবীকে তাঁর গ্রন্থ উৎসর্গ করেন। 

মাহমুদ ছিলেন পারস্যের শিল্প ও সাহিত্যের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ফেরদৌসী ৩০ বছরের অধিক সময় নিয়ে এই মহাকাব্য রচনা করেন, যা ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। কবি ফেরদৌসী ৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের তুসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

পারিবারিক জীবন : ফেরদৌসী উত্তর পূর্ব ইরানের তুস শহরের পাশে পাজ নামক গ্রামে ৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ফেরদৌসীর প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুবই কম জানা যায় এবং তার নাম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। 

তেরো শতাব্দীতে বান্দোরি নামে শাহনামার একজন আরব অনুবাদকের মতে, ফেরদৌসীর আসল নাম, ‘আল আমীর আল হাকিম আবুল কাশেম মনসুর ইবনে আল হাসান আল ফেরদৌসী আল তুসি।' 

এটা জানা যায় না কখন বা কেন তিনি শাহনামায় তার লেখক হিসেবে ফেরদৌসী নাম ব্যবহার করেছেন । তার স্ত্রী একটি শিল্পী পরিবার থেকে এসেছিল। ফেরদৌসীর একটি পুত্র ছিল যে ৩৭ বছর বয়সে মারা যায় এবং ফেরদৌসী শাহনামায় তার পুত্র সম্পর্কে শোক প্রকাশ করেছেন ।

কবি জীবন : মনে করা হয়, শাহনামার আগেও ফেরদৌসী কিছু কবিতা লিখেছিলেন। কিন্তু সেগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৯৭৭-সালের দিকে তিনি শাহনামা লেখা শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তিনি ইরানের বিভিন্ন শাসক ও শাহদের কাহিনি তুলে ধরেন। 

এ সময় সামানাইড রাজার কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের দিকে শাহনামার শ্লোক লেখার কাজ সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে যখন তুর্কি গজনবী সুলতান মাহমুদ সামানাইড রাজা মনসুরকে ক্ষমতাচ্যুত করে তখন ফেরদৌসী মাহমুদকে গুণগান করে লেখা চালিয়ে যান ।

মৃত্যু : কবি ফেরদৌসী ১০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৭৯/৮০ বছর বয়সে ইরানের তুসে ইন্তেকাল করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কবি ফেরদৌসী ইরানের একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন। তার রচিত শাহনামা ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু এই শাহনামা রচনা করতে গিয়ে তিনি সুলতান মাহমুদ কর্তৃক প্রতারিত হয়েছিলেন। 

প্রথমে সুলতান মাহমুদ স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার কথা বললেও যখন . শাহনামা লেখা সমাপ্ত হলো তখন ফেরদৌসীকে রৌপ্য মুদ্রা দিয়ে বিদায় করেন। পরে রাজা তার ভুল বুঝতে পারলেও তা অনেক দেরি হয়ে যায় । কেননা তখন কবি ইহলোক ত্যাগ করেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন। যদি তোমাদের আজকের কবি ফেরদৌসীর পরিচয় দাও । কবি ফেরদৌসী কে ছিলেন পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ