গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর
গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর

গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে যা জান লিখ।
  • অথবা, বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে তোমার মতামত দাও ।

উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যযুগের ইতিহাসে গিয়াসউদ্দিন বলবন নিঃসন্দেহে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। 

বলবনের রাজত্বকালে মোঙ্গলগণ বারবার ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে হামলা করে সুলতানকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললে সুলতান তাদের আক্রমণের হাত হতে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার জন্য কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এগুলো বলবনের মোঙ্গল নীতি হিসেবে খ্যাত ।

→ বলবনের মোঙ্গল নীতি : গিয়াসউদ্দিন বলবন মোঙ্গল আক্রমণকে চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্য যেসকল পন্থা গ্রহণ করেন তা হলো :

প্রথমত, বলবন বৃদ্ধ সৈনিকদের ছাঁটাই করে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠিত করে তাদেরকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামে সুসজ্জিত করেন।

দ্বিতীয়ত, মুলতান এবং দিপালপুরকে নিয়ে সুলতান সীমান্তবর্তী প্রদেশ গঠন করে সুদক্ষ শাসনকর্তাদের ওপর সেগুলোর শাসনভার অর্পণ করেন ।

তৃতীয়ত, সামরিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সুলতান নতুন দুর্গ নির্মাণ এবং পুরাতন দুর্গগুলো পুননির্মাণ করেন।

চতুর্থত, বলবন, সম্প্রসারণ অপেক্ষা স্বীয় রাজ্যকে মোঙ্গলদের ধ্বংসাত্মক আক্রমণ থেকে রক্ষা করে শান্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপনে আত্মনিয়োগ করেন।

পঞ্চমত, বলবন নতুন রাজ্য নীতি পরিহার করেন এবং কখনও দূরবর্তী এলাকায় যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করতেন না। মোঙ্গলদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার উদ্দেশ্যে তিনি সদাসর্বদা রাজধানীতেই অবস্থান করতেন ।

মোঙ্গলদের সাথে সংঘর্ষ : ১২৭৯ সালে মোঙ্গলগণ শতদ্রু নদী অতিক্রম করে লুটতরাজ আরম্ভ করলে শাহজাদা মুহম্মদ বুঘরা খান এবং দিল্লির মালিক মোবারক যৌথভাবে অগ্রসর হয়ে তাদেরকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে ভারতবর্ষ ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। 

তবে ১২৮৬ সালে তামারের নেতৃত্বে মোঙ্গলগণ পাঞ্জাব আক্রমণ করলে যুবরাজ মুহাম্মদ তাদের সাথে সংগঠিত এক সংঘর্ষে নিহত হন। এ দুঃসংবাদে বলবন সসৈন্যে মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়ে তাদের নিকট হতে লাহোর পুনরুদ্ধার করেন ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বলবন উত্তর-পশ্চিম সীমান্তকে মোঙ্গল হামলা থেকে নিরাপত্তা বিধানকল্পে এক নতুন নীতি প্রবর্তন করেন, তাই তাকে সালতানাতের প্রকৃত সংরক্ষণকারী হিসেবে অভিহিত করলেও অত্যুক্তি হবে না ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের মোঙ্গল নীতি সম্পর্কে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ