গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে লিখ।
  • অথবা, গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে কি জান?

উত্তর : ভূমিকা : দিল্লি সালতানাতে বলবন এমন একজন ক্ষণজন্মা শাসক ছিলেন যিনি মুসলিম রাষ্ট্রকে মোঙ্গলদের প্রলয়ংকরী আক্রমণ হতে রক্ষা করে। কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজান। 

এক্ষেত্রে তিনি রাজতন্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তবে তার এ মতবাদ দর্শক নন্দিত ছিল না। এর জন্য তিনি দারুণভাবে করে সমালোচিত হন।

→ গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ : গিয়াসউদ্দিন বলবনের রজতন্ত্র সম্পর্কিত মতবাদ ছিল তার কল্পনাপ্রসূত একটি মতবাদ। নিম্নে গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. রাজতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা : বলবন রাজাকে আল্লাহর প্রতিনিধি মনে করতেন। ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ড রাজাদের ন্যায় তিনিও রাজার দৈব সত্তায় বিশ্বাসী ছিলেন। 

তিনি জিল্লুল্লাহ বা আল্লাহর ছায়া উপাধি ধারণ করেন। তিনি রাজতন্ত্রকে শ্রদ্ধান্বিত করার উদ্দেশ্যে মুদ্রায় মৃত আব্বাসীয় খলিফার নাম অঙ্কন করেন ।

২. রাজতন্ত্রের মতবাদ : রাজতন্ত্রের মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বলবন ৪টি কর্তব্য সম্পাদন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সেগুলো হচ্ছে 

(ক) ধর্মকে রক্ষা করা এবং শরিয়তের শাসন কায়েম করা । 

(খ) পাপাচার ও দুর্নীতির বিলোপ সাধন করা ।

(গ) সৎ, ধর্মপরায়ণ ও সদ্বংশীয় লোকদের রাজকার্যে নিয়োগদান করা এবং

(ঘ) সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা।

৩. রাজতন্ত্র মতবাদ বাস্তবায়নে গৃহীত ব্যবস্থাবলি : বলবন তার রাজতন্ত্র মতবাদ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে কতকগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি রাজার দৈহিক পবিত্রতায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি মনে করতেন স্বেচ্ছাচারী রাজক্ষমতাই একমাত্র জনগণের আনুগত্য লাভ ও রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করতে সক্ষম। এরূপ ধারণায় বশবর্তী হয়ে তিনি কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন । যেমন-

(ক) পারসিক আদব-কায়দায় সিজদা ও পাইবস রীতির প্রবর্তন। 

(খ) রাজসভায়, নৃত্যগীত, মদ্যপান প্রভৃতির বিলুপ্তি সাধন । 

(গ) রাজকর্মচারী ও আমিরদের জন্য এক বিশেষ পোষাকের ব্যবস্থা করা।

(ঘ) নিচু বংশের লোকদের নিকট হতে উপহার গ্রহণ কিংবা তাদের সাথে বাক্যালাপ বন্ধ করা।

(ঙ) রাজদরবারের গম্ভীর্য রক্ষার জন্য লঘু চপলতার হাসি ঠাট্টায় ইত্যাদি পরিহার।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বলবন 'Blood and iron policy প্রবর্তন করে রাজতন্ত্রের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। এবং সালতানাতের কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধার করেন।

 এজন্য ড, ঈশ্বরী প্রসাদ বলেন, “চল্লিশ বৎসরব্যাপী বলবনের দীর্ঘ কঠোর কার্যক্রম সম্বলিত রাজত্বকাল ভারতবর্ষের মধ্যযুগের ইতিহাসে অন্যন্য সাধারণ।” তবে সাফল্যের বিচারে তার এ নীতিকে সফল বলা যায় না ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজতন্ত্র মতবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ