যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলােচনা কর
যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলােচনা কর

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো

  • অথবা, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।
  • অথবা, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? 
  • অথবা, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
  • অথবা, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : ভূমিকা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা হচ্ছে সর্বাধুনিক সরকার ব্যবস্থা। ক্ষমতা বণ্টনের ভিত্তিতে সরকার দুই ধরনের হয়ে থাকে; যথা— এককেন্দ্রিক সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার। কতিপয় রাষ্ট্রের মিলনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়।

→ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ : নিচে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করা হলো :

১. সংবিধানের প্রাধান্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে সংবিধানের প্রাধান্য স্বীকৃত। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারগুলোকে সংবিধান ক্ষমতা ও কার্যাবলি ভাগ করে দেয়।

২. দুই ধরনের সরকার : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে কেন্দ্র ও প্রাদেশিক এই দুই ধরনের সরকার থাকে। প্রত্যেক সরকারই স্ব- স্ব এলাকায় স্বাধীন।

৩. দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা থাকে। নিম্নকক্ষ সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্ব এবং উচ্চকক্ষ সাধারণত প্রদেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।

৪. লিখিত সংবিধান : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সংবিধান সাধারণত লিখিত হয়। কেননা কেন্দ্র ও প্রদেশের ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবে লিপিবদ্ধ হলে কেউ কারো উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

৫. ক্ষমতার বণ্টন : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দেওয়া হয়। দেশরক্ষা, মুদ্রা ও বৈদেশিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয় কেন্দ্রের হাতে থাকে।

৬. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান : সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা যাতে সংরক্ষিত থাকে সেজন্য সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হয়। যার ফলে কেন্দ্রীয় যা অঙ্গরাজ্যগুলো আলাদাভাবে সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। সংবিধান সংশোধনে উভয় কক্ষের সম্মতির প্রয়োজন হয়।

৭. দ্বি-নাগরিকত্ব : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় দুই ধরনের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সকল নাগরিক একাধারে সমগ্র দেশের নাগরিক এবং নিজ অঙ্গরাজ্যের নাগরিক।

৮. যুক্তরাষ্ট্রীয় মনোভাব : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে দুই ধরনের বিপরীতমুখী প্রবণতা দেখা যায়। একটি হলো কেন্দ্রবিমুখী, অপরটি কেন্দ্রমুখী। এই ব্যবস্থায় প্রদেশগুলো জাতীয় ঐক্য চাইবে কিন্তু এক হয়ে মিশে যেতে চাইবে না প্রদেশগুলো স্ব-স্ব স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার নিঃসন্দেহে একটি উত্তম শাসনব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং প্রাদেশিক সরকার স্থানীয় বিষয়গুলো দেখাশুনা করে বলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশের সার্বিক উন্নতি লক্ষ করা যায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলােচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ