মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
- অথবা, মার্কিন শাসনতান্ত্রিক ব্যবহারের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।
- অথবা, মার্কিন সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?
উত্তর : ভূমিকা : মার্কিন শাসনব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। KC Wheare-এর মতে বর্তমানে মার্কিন শাসনব্যবস্থা হলো সর্বজনীন স্বীকৃত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসক ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেছেন, Now-a-days everyday regards the limited states as an exaple of Feral government. যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার যাবতীয় বৈশিষ্ট্য মার্কিন ব্যবস্থা বর্তমান আছে। সুতরাং মার্কিন সংবিধানের প্রকৃতি যুক্তরাষ্ট্রীয় ।
→ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রকৃতি : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান। CT Strong-এর মতানুসারে বিশ্বের সকল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মার্কিন শাসনব্যবস্থাই সর্বাধিক যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
১. দ্বৈত সরকার : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দু'স্তরে দু-ধরনের সরকার আছে; যথা-
(ক) জাতীয় স্তরে একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং
(খ) প্রাদেশিক স্তরে ৫০টি রাজ্য বা আঞ্চলিক সরকার। উভয় সরকারই সংবিধান স্বীকৃত ক্ষমতার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় স্বাধীন ও স্বতন্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গরাজ্যগুলোর সংগঠন ভৌগোলিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।
২. লিখিত সংবিধান : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা লিখিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত সরকারি ব্যবস্থা থাকে। তাই উভয় সরকারের মধ্যে সুস্পষ্ট ও লিখিত ক্ষমতা বণ্টনের প্রয়োজন আছে।
তার ফলে উভয় সরকারের মধ্যে অকারণ ও অবাঞ্ছিত বিরোধের আশঙ্কা থাকে না । তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান লিখিত হওয়া দরকার।
৩. সুপ্রিমকোর্ট ও তার প্রাধান্য : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের অস্তিত্ব অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় এই আদালত জাতীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে বিরোধের মীমাংসা করে এবং নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে সংবিধান ব্যাখ্যা করে এবং আইনের বৈধতা বিচার করে।
৪. দ্বৈত নাগরিকতা : যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় সাধারণত দ্বৈত নাগরিকতা স্বীকৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র হলো একটি দ্বৈত সরকারি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার নাগরিকত্বের ব্যাপারেও দ্বৈত নীতি অনুসৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় প্রত্যেক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং ব্যক্তি যে অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী সেই অঙ্গরাজ্যেরও নাগরিক । তাকেই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দ্বৈত নাগরিকতা বলে ।
৫. স্বতন্ত্র সংবিধান : অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য আলাদা সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর পৃথক সংবিধান আছে।
মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্দিষ্ট কিছু ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারকে প্রদান করে বাকি যত সাংবিধানিক ক্ষমতা নিজেদের হাতেই সংরক্ষণ করেছে।
৬. দ্বি-পরিষদীয় আইনসভা : দ্বি-পরিষদীয় আইনসভাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনসভা কংগ্রেস দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের নাম হলো সিনেট এবং নিম্নকক্ষের নাম হলো প্রতিনিধিসভা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যই স্পষ্ট করে যে মার্কিন শাসনব্যবস্থা একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা, একটি উত্তম যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার যেসকল বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন শাসনব্যবস্থায় তার সবকয়টি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। তাই বলা যায়, মার্কিন শাসনব্যবস্থা একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।