মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর |
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর
- অথবা, মুহাম্মদ বিন কাসিম কেন সফল হয়েছিল ব্যাখ্যা কর।
- অথবা, সিন্ধু দেশে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার মূল কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা তুলে ধর
উত্তর : ভূমিকা : মুহাম্মদ-বিন কাসিম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু অভিযান করে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সংযোজন করেন।
ঐতিহাসিক মজুরানি বলেন, "মুহাম্মদ বিন কাসিম সর্বযুগের জন্য একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অকৃত্রিম সেনাপতিত্বেই মুসলমানরা সিন্ধু বিজয়ে বিশেষ সাফল্য লাভ করে।
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ : যেভাবে অভি অল্প সময়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সহজে মুসলমানরা সিন্ধুদেশ জয় করতে সমর্থ হন তা সত্যিই বিস্ময়কর।
আরব সৈন্যদের ক্ষিপ্রতা, আরব সেনাপতির নিপুণতা ও সাফল্য এবং আরবদের অনুসৃত নীতিও মুহাম্মদ-বিন কাসিমকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল।
হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ নিজেই এই নীতিনির্ধারণ করে নিয়েছিল। তিনি মুহাম্মদ-বিন-কাসিমকে বলেন যে, যে কোন দেশ জয় করার জন্য চারটি নীতি অনুসরণ করা দরকার।
প্রথমত, সদ্ব্যবহার, দ্রতা, বশীভূত করার চেষ্টা এবং মিত্রতামূলক আচরণ।
দ্বিতীয়ত, অর্থ খরচ করা এবং অবারিত দান করা।
তৃতীয়ত, শত্রুদের বিরুদ্বাচরণের কারণ নির্ণয় করা।
চতুর্থত, শক্তির সদ্ব্যবহার করে শত্রুকে ধ্বংস করা।
এ নীতিগুলো অনুসরণ করলে শত্রু মিত্রে পরিণত হতে বাধ্য। মুহাম্মদ বিন কাসিম হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফের এই নীতিগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করেন।
যেসব এলাকা আত্মসমর্পণ করে, মুহাম্মদ-বিন কাসিম তাদের প্রতি অত্যন্ত উদার নীতি অবলম্বন করেন। ফলে প্রথমে কয়েকটি যুদ্ধের পর তার আর বিশেষ যুদ্ধ করতে হয়নি।
সৈন্যরা এবং অধিবাসীরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। এমনকি কোনো কোনো এলাকায় তারা শাসনকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আরবদের পক্ষ অবলম্বন করে।
সিন্ধু দেশের দক্ষিণ ভাগে দাহিরের কর্তৃত্ব সন্তোষজনক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না। ঐ এলাকায় অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর বাতি ছিল।
কিন্তু ৬২২ সালে স্থানীয় বৌদ্ধ রাজার জনৈক ব্রাহ্মণ মন্ত্রী বিশ্বাসঘাতকতা করে রাজ্য কেড়ে নেয়। ফলে বৌদ্ধরা নতুন হিন্দু শাসন-কর্তৃত্বকে প্রীতির চোখে দেখত না।
হিন্দু রাজাও ছলে-বলে কৌশলে স্বীয় রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বৌদ্ধদের উপর জোর- জুলুম চালাত। ফলে স্থানীয় বৌদ্ধ অধিবাসীরা হিন্দু রাজত্ব ধ্বংসের সুযোগ খুঁজতে ছিল।
দাহিরের রাজ্যপ্রাপ্তির পর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি; বরং তার সময়েই আরবদের সুপরিকল্পিত আক্রমণ শুরু হয়। মুহাম্মদ-বিন-কাসিম যখন সিন্ধু দেশে পদার্পণ করেন।
তিনি স্বীয় বিজয় পতাকা উড্ডীন করার জন্য এক অতি উর্বর ভূমির সন্ধান পান। স্থানীয় অধিবাসীরা স্বেচ্ছায় তার অধীনে কাজ করার বাসনা প্রকাশ করে ।
অপরপক্ষে, অনেক ঐতিহাসিক বলেছেন যে, দাহিরের যুদ্ধনীতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। শুধু তাই নয়, দাহিরের প্রজারাও তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং উচ্চপদস্থ কর্মচারীরাও বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুপক্ষে যোগদান করে।
তখন দেশে এমন এক ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, শীঘ্রই দেশ মুসলমানদের হস্তগত হবে। সুতরাং যুদ্ধ করা নিরর্থক। দাহিরের প্রতি বিরূপ মনোভাব এই ধারণার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ফলে মুসলমান তথা মুহম্মদ-বিন- কাসিম স্বল্প কষ্টে সিন্ধুদেশ অধিকার করতে সক্ষম হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিন্ধু বিজয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের জন্য অনুকূল পরিবেশ ছিল। শুধু তাই নয় তরুণ বীর মুহাম্মদ বিন কাসিম অত্যন্ত বীরত্বের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করে শত্রুপক্ষের সৈন্যদের ঘায়েল করতে সক্ষম হন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর। যদি তোমাদের আজকের মুহাম্মদ বিন কাসিমের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।