মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর
মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর

মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর

  • অথবা, মুহাম্মদ-বিন-কাসিমের সিন্ধু আক্রমণ সম্পর্কে বর্ণনা কর।
  • অথবা, মুহাম্মদ-বিন-কাসিমের সিন্ধু আক্রমনের ঘটনা লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : মুহাম্মদ-বিন-কাসিম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু অভিযান করে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেন । 

ঐতিহাসিক মরজুরানি বলেন, “মুহম্মদ-বিন-কাসিম সর্বযুগের জন্য একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন”। তিনি যেভাবে সিন্ধু আক্রমণ করেছিলেন তা সত্যিই একটি চমকপ্রদ ঘটনা।

→ মুহাম্মদ-বিন কাসিম কর্তৃক সিন্ধু আক্রমণ : মুহাম্মদ- বিন কাসিমের অভিযানের প্রস্তুতির জন্য হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ চেষ্টার কোন ত্রুটি করেননি; বরং তিনি প্রস্তুতির ব্যাপারে এত দূরদর্শিতার পরিচয় দেন যে, তা ভাবতেই অবাক লাগে। 

এমন কোনো জিনিস ছিল না যার ব্যবস্থা তিনি করেন নি, যেটি যা মুহাম্মদ-বিন-কাসিমের কাজে লাগতে পারে। হাজ্জাজ-বিন- ইউসুফ বাছাই করে অতি দক্ষ সৈন্য নিযুক্ত এবং মুহাম্মদ-বিন- কাসিমকে ৬০০০ ঘোড়াসওয়ার ও ৬০০০ উটের বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। 

এই বিরাট বাহিনীর রসদ রাখার জন্য আর ও ৩০০০ উটের ব্যবস্থা করেন। মুহাম্মদ বিন কাসিম এই বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে সমভিব্যাহারে শিরাজ ও মারকানের পথ ধরে দেবলের পথে অগ্রসর হন। 

পথে তিনি আরো সৈন্য সংগ্রহ করে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করেন। অবশেষে ৭১১ সালে মুহাম্মদ-বিন- কাসিম দেবলে উপস্থিত হন। এই বিরাট বাহিনী পাঠিয়েও হাজ্জাজ-বিন-ইউসুফ সন্তুষ্ট ছিলেন না, তিনি সমুদ্রপথে দুর্গ অবরোধ করার যন্ত্রপাতিও পাঠিয়েছেন। 

দুর্গ অবরোধের জন্য তিনি বিরাট আকারের 'মনজানিক' পাঠান এবং সখ করে এ যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছিল “আল আরুদ” বা “কনে” এবং এই যন্ত্র চালাতে ৫০০ জন লোকের প্রয়োজন হতো।

দেবলে এসে মুহাম্মদ-বিন-কাসিম এমন অনেক দেশি অস্ত্রসজ্জিত সৈন্য সংগ্রহ করেন যারা দেশের শাসনকর্তার প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন ছিল। এ সব সৈন্য পরে সিন্ধু বিজয়ে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

দেবলের দুর্গ পাথরের দ্বারা তৈরি ছিল এবং অবরুদ্ধ সৈন্যরা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ করে মুহাম্মদ- বিন কাসিমও দুর্গ দখলের জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।

দেবলের পতনে সিন্ধুরাজ দাহির বিশেষ বিচলিত হননি। এরপর মুহাম্মদ-বিন-কাসিম নিরুন যাত্রা করে। নিরনের অধিবাসীরা মুসলমানদের নিকট সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং অর্থ দিয়ে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করে।

মুসলিম সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিমের এরূপ অপ্রত্যাশিত বারংবার বিজয়ে সিন্ধু রাজা দাহির বিচলিত হয়ে পড়েন এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

মুহাম্মদ-বিন-কাসিম রাওয়ার আক্রমণ করার সংকল্প করেন এবং নদী পার হওয়ার জন্য নৌকার পুল তৈরি করার আদেশ দেন। সম্পূর্ণ প্রস্তুতির পর ৭১২ সালের জুন মাসে তারা নদী অতিক্রম করে দাহিরের সাথে সম্মুখযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। 

মুসলমান সৈন্যদের শ্রেষ্ঠত্বের কাছে দাহিরের সৈন্যরা পরাজয়বরণ করেন। দাহির যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যান। নেতার মৃত্যুর পর সাধারণ সৈন্যরা হীন বল হয়ে পড়ে ফলে সহজেই মুহাম্মদ- বিন-কাসিম সিন্ধু দখল করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তরুণ সেনাপত্তি মুহাম্মদ-বিন-কাসিম তার অসাধারণ বীরত্ববলে প্রভাবশালী রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু দখল করেন। 

যার ফলে ভারত উপমহাদেশে মুসলিম আধিপত্য বিস্তার করেছিল এবং আরবিয় ও ভারতীয়রা এক নতুন সংস্কৃতির সৃষ্টি করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুতে কিভাবে আক্রমণ করেছিলেন আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ