মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর
মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর

মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর

  • অথবা, মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের কৃতিত্ব সম্পর্কে কি যান লিখ।
  • অথবা, মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের কৃতিত্ব উল্লেখ কর। 

উত্তর : ভূমিকা : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের শাসননীতি ছিল উদার। ধর্মীয় আচার-আচরণে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শাসন কায়েম করতে সক্ষম হন। 

মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক দীর্ঘ ২৭ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করে অনেক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হন। মুহাম্মদ- বিন-তুঘলক মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের একজন সুপ্রসিদ্ধ শাসক ছিলেন। 

→ মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের কৃতিত্ব : নিম্নে মুহাম্মদ-বিন- তুঘলকের কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

১. শ্রেষ্ঠ শাসক : মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুহাম্মদ- বিন-তুঘলক সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠ সুলতান ছিলেন। ঐতিহাসিক লেনপুন তাকে মধ্যযুগীয় ভারতের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সুলতান বলে অভিহিত করেছেন।

২. বিদ্ধান ও বিজ্ঞশাসক : বিদ্যাবুদ্ধি, মানসিক উৎকর্ষতা, দূরদর্শী চিন্তা, আদর্শ ও প্রতিভার দিক দিয়ে বিচার করলে মধ্যযুগের ভারতীয় শাসকদের মধ্যে তাকে সর্বাপেক্ষা গুণান্বিত ও প্রভাবশালী শাসক বলে অভিহিত করা হয়।

৩. অনন্য সাধারণ প্রতিভাশালী ব্যক্তিত্ব : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক ছিলেন সমসাময়িক কালের অনন্য সাধারণ প্রতিভাশালী শাসক । মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক ছিলেন একাধারে দার্শনিক, ইতিহাসবিদ, বৈজ্ঞানিক ও কবি। বিভিন্ন ভাষায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।

৪. সাম্রাজ্য সুদৃঢ়করণ : উচ্চাভিলাষী, অসাধারণ পাণ্ডিত্য উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী ও যুগের বিস্ময় মুহম্মদ বিন তুঘলক সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ়করণে ২৩টি প্রদেশে ভাগ করেন।

৫. ডাক ব্যবস্থার প্রচলন : পর্যটক ইবনে বতুতার মতে, সুলতান ঘোড়ার ডাক ও ডাকহরকরা নামক দু'প্রকারের ডাক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

৬. কৃষির উন্নতি : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের শাসনামলে কৃষি ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। আমিরে কোহীর, দেওয়ানি কোহীর নামক দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ খোলেন, অনাবাদি ও পতিত জমির জন্য তিনি সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেন ।

৭. প্রজারঞ্জক শাসক : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাস্তাঘাট, সরাইখানা স্থাপন, খাল খনন, হাসপাতাল নির্মাণ করে প্রজারঞ্জক শাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের ন্যায় বহুবিদ গুণাবলির অধিকারী আর কোনো শাসক মধ্যযুগে ছিল না। তিনি মধ্যযুগীয় শাসনব্যবস্থাকে বিশ্বের দরবারে সমাসীন করতে পেরেছিলেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর । যদি তোমাদের আজকের মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কৃতিত্ব তুলে ধর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ