শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর
শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর

শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর

  • অথবা, মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব বর্ণনা কর।
  • অথবা, মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : মুহাম্মদ ঘুরী অনন্য সাধারণ সামরিক প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার বহুমুখী এবং নিজ আদর্শ ও নিষ্ঠার বলে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। ইতিহাসে কোনো সন্দেহ নেই যে, তার চেষ্টাতেই ভারতে মুসলিম রাজত্ব্যের গোড়াপত্তন হয়েছিলেন।

— মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব : সুদক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমরকৌশলী শাসক মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালক : রাজনীতিবিদ ও দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরী তদানীন্তন ভারতের শোচনীয় রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ গ্রহণ করেন। 

তিনি তরাইনের প্রান্তরে পৃথ্বীরাজের সাথে দ্বিতীয় যুদ্ধে হিন্দুদের সম্মিলিত সৈন্যবাহিনীকে পরাজিত করে উত্তর ভারতে মুসলিম রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।

২. সামরিক প্রতিভা : মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন যথেষ্ট নামকরা সামরিক যোদ্ধা। তার সামরিক প্রতিভার কারণে গজনি রাজ্য ও হিন্দু অধ্যুষিত ভারত মুসলমানদের হস্তগত হয়। একমাত্র তরাইনের প্রথম যুদ্ধ ছাড়া ভারতের প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে তিনি সফলতা লাভ করেন ।

৩. শাসক ও ব্যক্তি হিসেবে : দূরদর্শী শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন একাধারে প্রতিভাবান রাষ্ট্রনায়ক, বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ, প্রজাহিতৈষী শাসক, নির্ভীক যোদ্ধা, অধ্যবসায়ী ও ভাবাবেক বিবর্জিত চরিত্রবান ব্যক্তিত্ব। 

আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী এ মহান শাসক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমানভাবে দেখতেন। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার কে হবেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন- আমার সাম্রাজ্যে শত শত পুত্র রেখে গেলাম।

৪. দক্ষ সংগঠন : তিনি সুসংগঠিতভাবে সৈন্যবাহিনী পরিচালনা করে যুদ্ধ করতেন। ফলে তার সুসংগঠিত রাজনৈতিক ও সামরিক কুশলতার জন্য মধ্যযুগীয় ভারতের ইতিহাসে শক্তিমান পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন সাহসী, উদ্যোমী ও শক্তিমান পুরুষ। মৃত্যুর পূর্বে উত্তর ভারত জয় করে তিনি মুসলিম সাম্রাজ্যের গোরাপত্তন করেন। মূলত তার মাধ্যমেই ভারতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতিত্ব উল্লেখ কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ