শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী |
শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী
- অথবা, শাসন বিভাগের সংগঠন বলতে কি বুঝ?
- অথবা, শাসন বিভাগ কত প্রকার ও কী কী?
- অথবা, শাসন বিভাগের শ্রেণি বিভাগ বর্ণনা কর।
- অথবা, নির্বাহী বিভাগ কত প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো শাসন বিভাগ। সাধারণ ও রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি সুসম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা হয়, যার জন্য শাসন বিভাগের উৎপত্তি লাভ হয়েছে।
আর রাষ্ট্রের ইচ্ছা কার্যকর ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব শাসন বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকে। আর এজন্য শাসন বিভাগ সংগঠিত করার জন্য শাসন বিভাগের সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ।
শাসন বিভাগ সাধারণত যে বিভাগের দ্বারা রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণীত ও কার্যকরী হয় তাকে শাসন বিভাগ বলে। ব্যাপক অর্থে- শাসন বিভাগে শাসনকার্যে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে আমা চৌকিদার পর্যন্ত সকল কর্মচারীদের নিয়ে শাসন বিভাগ গঠিত।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : শাসন বিভাগ সম্বন্ধে বিভিন্ন তাত্ত্বিক মতামত দিয়েছেন নিচে তা আলোচনা করা হলো :
Prof. Barker-এর ভাষায়, “শাসন বিভাগ হলো আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ ব্যতীত সরকারি কার্যে নিয়োজিত সকল কার্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত বিভাগ ।"
অর্থাৎ শাসন বিভাগ শাসনকার্যে জড়িত সকল ব্যক্তিবর্গ দ্বারা গঠিত বিভাগ।”
শাসন বিভাগের প্রকারভেদ ও সংগঠন শাসন বিভাগের কার্যাবলি ও গঠন অনুসারে শাসন বিভাগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
১. নামমাত্র ও প্রকৃত শাসন বিভাগ;
২. একক ও সমষ্টিগত শাসন বিভাগ;
৩. সংসদীয় ও রাষ্ট্রগত শাসন বিভাগ ও
৪. উত্তরাধিকার ও মনোনীত শাসন বিভাগ।
নিচে এ সকল শাসন বিভাগের সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো :
১. নামমাত্র ও প্রকৃত শাসন বিভাগ : শাসন বিভাগের অন্যতম শ্রেণি হলো নামমাত্র ও প্রকৃত শাসন বিভাগ। আইনগতভাবে দেশের শাসন ক্ষমতা শাসন প্রধানের হাতে ন্যস্ত থাকে।
কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রকৃত ক্ষমতার মালিক নন তাকে নামমাত্র শাসক প্রধান বা নামমাত্র শাসন বিভাগ বলে।
আর যে শাসন বিভাগে প্রশাসনিক দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রকৃত অর্থে একজনের হাতে থাকে এবং প্রয়োগ করে তাকে প্রকৃত শাসনবিভাগ বলা হয়।
২. একক ও সমষ্টিগত শাসন বিভাগ : একক ও সমষ্টিগত শাসন বিভাগ দুইটি শাসন বিভাগের দুইটি উল্লেখযোগ্য রূপ।
যে শাসন বিভাগের ক্ষমতা একমাত্র ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকে এবং যার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা হয় তাকে একক শাসন বিভাগ বলে।
৩. সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন বিভাগ : সংসদীয় শাসন বিভাগ হলো এমন এক শাসন বিভাগ যেখানে শাসন বিভাগের প্রধান ব্যক্তি আইনসভা কর্তৃক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত ও মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে।
আর যে- শাসন বিভাগে শাসক জনকল্যাণ দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয় ও তার নেতৃত্ব শাসনকার্যও তিনি আইনসভার নিকট দায়ী নন তাকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার বলে ।
৪. উত্তরাধিকার ও নির্বাচিত সরকার : যে শাসন বিভাগে উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে শাসক মনোনীত হয় তাকে উত্তরাধিকার শাসন বিভাগ বলে । আবার যেখানে শাসক নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগ হয় তাকে নির্বাচিত সরকার বলে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শাসন বিভাগের মধ্যে সংগঠনের ভিত্তিতে বিভিন্ন রূপ শাসনব্যবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে। উপর্যুক্ত আলোচনায় চারটি ভাগে শাসন বিভাগকে ভাগ করা হয়েছে।
বর্তমানে এ সকল ধরনের শাসন বিভাগ বিভিন্ন রাষ্ট্র বিদ্যমান রয়েছে। যেমন- USA তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ও ভারতে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী। যদি তোমাদের আজকের শাসন বিভাগের কয়টি অংশ ও কী কী পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।