স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর |
স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর
- অথবা, স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে বর্ণনা কর।
- অথবা, মার্কিন স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা দাও ।
উত্তর ; ভূমিকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার সভাপতিকে স্পিকার বলা হয়। নির্বাচনের পর নবগঠিত প্রতিনিধি সভার সদস্যগণ নিজের মধ্য থেকে একজনকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেন।
প্রতিনিধি সভার সদস্যদের মধ্য থেকে স্পিকার নির্বাচনের বিষয়টি নীতিতে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন সংবিধানে কোনো উল্লেখ নেই। ব্রিটিশ কমন্সসভার স্পিকারের মতো মার্কিন প্রতিনিধি সভার স্পিকার কিন্তু কোনো দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি নন।
→ স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলি : ১৯১০ সালের আগে মার্কিন প্রতিনিধি সভার স্পিকার অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তিনি পদাধিকারবলে নিয়ম সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন।
এ ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি নিজের খুশিমতো প্রতিনিধি সভায় বিল উত্থাপন এবং তা পাসের ব্যবস্থা করতে পারতেন। নিজের মনমতো ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি বিভিন্ন কমিটি গঠন করতে পারতেন। নিম্নে স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সমন্ধে আলোচনা করা হলো :
১. সভা পরিচালনা : সভাপতি হিসেবে প্রতিনিধি সভার কার্য পরিচালনার গুরুদায়িত্ব স্পিকারের উপর ন্যস্ত থাকে । তিনি সভার বিতর্ক, সদস্যের বিতর্কে অংশগ্রহণ, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সভার সদস্যদের বক্তব্য কোনো প্রস্তাব উত্থাপন বা সংশোধনের দাবি পেশ প্রভৃতি সকলক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতি লাগে।
২. নিয়মকানুন ব্যাখ্যা : মার্কিন প্রতিনিধি সভার কার্যপরিচালনা সম্পর্কিত নিয়মকানুন ব্যাখ্যার অধিকার ও ক্ষমতা স্পিকারের নিকট থাকে।
সাধারণত এই সমস্ত ক্ষেত্রে বৈধতার পাত্র স্পিকারের ব্যাখ্যাসহ চূড়ান্ত বলে গৃহীত হয়। কিন্তু সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তাঁরা তা আগ্রহ্য বা বাতিল করতে পারেন।
৩. শৃঙ্খলা রক্ষা : প্রতিনিধি সভার নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব স্পিকারের উপর ন্যস্ত আছে। সভার স্বাভাবিক কাজে কোনো সদস্য যাতে বাধার সৃষ্টি করতে না পারেন সেদিকে তাকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৪. কমিটিতে বিল প্রয়োগ : প্রতিনিধি সভার বিভিন্ন কমিটিতে বিল পাঠানোর ক্ষমতা স্পিকারের, কোন কমিটিতে কোন বিল পাঠান তা স্পিকারই নির্ধারণ করেন।
তবে বর্তমানে এই ক্ষমতার প্রয়োগ নিয়মমাফিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বিলের বিষয়বস্তু অনুসারে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৫. নিয়োগ সম্পর্কিত ক্ষমতা : স্পিকার প্রতিনিধি সভার সমগ্র কক্ষ কমিটির সদস্যদের নিযুক্ত করেন। এই কমিটির চেয়ারম্যানকেও তিনি নিযুক্ত করেন। আবার সভার বিশেষ কমিটিতে তিনি সদস্য নিয়োগ করতে পারেন।
তাছাড়া অন্যান্য যুগ্ম কমিটিও কমিশনের সদস্যদের ও স্পিকার আইনুসারে মনোনীত করতে পারেন। প্রতিনিধিসভার স্পিকার সভায় অস্থায়ী স্পিকারকেও নিযুক্ত করতে পারেন। কিন্তু এই নিয়োগ কেবল তিন দিনের জন্য বলবৎ থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন প্রতিনিধি সভার স্পিকার উল্লেখযোগ্য ক্ষমতার অধিকারী। মার্কিন শাসনব্যবস্থায় বিশেষ প্রকৃতি স্পিকারের পদটিকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
ব্রিটেনের কমন্সসভার স্পিকারের তুলনায় তাঁর ক্ষমতা অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় সর্বাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন তিনজন পদাধিকারীর মধ্যে স্পিকার একজন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।