সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর |
সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর
- অথবা, সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় সম্পর্কে কি জান? লিখ ।
- অথবা, সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয়ের কাহিনি লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : সুলতান আলাউদ্দিন পিতৃব্য ও শ্বশুর জালালউদ্দিন ফিরোজ শাহ খলজিকে হত্যা করে ১২৯৬ সালে ক্ষমতা লাভ করে।
ক্ষমতা লাভ করে আলাউদ্দিন খলজি যেসব অভিযান পরিচালনা করেন তাদের মধ্যে চিতোর অভিযান অন্যতম ।
রনথম্ভোর অধিকার করার পর সুলতান আলাউদ্দিন খলজির রাজপুতনার সর্বাপেক্ষা দুর্ভেদ্য দুর্গ চিতোর আক্রমণ করেন ।
→ চিতোরের পরিচয় : চিতোর দুর্গটি ভারতবর্ষের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত ছিল। চিতোর দুর্গটি ছিল ৩ মাইল লম্বা এবং ৪০০-৫০০ ফুট খাড়া পাহাড়ের উপর অবস্থিত। সুলতান আলাউদ্দিন বহু চেষ্টা করে চিতোর দুর্গ দখল করতে বিফল হন।
→ চিতোর জয়ের কারণ : নিম্নে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয়ের উপর আলোকপাত করা হলো :
১. পদ্মিনীকে লাভ : রাজপুত লেখকদের মতে, সুলতান আলাউদ্দিন চিতোর আক্রমণের কারণ ছিল রানা রতন সিংহের রানী পদ্মিনীর প্রতি আলাউদ্দিনের লালসা।
আলাউদ্দিন ১৩০৩ সালে চিতোর অবরোধ করেন। রাজপুতদের মতে, পদ্মিনীর প্রতি লালসার হাত ধরে সুলতান আলাউদ্দিন চিতোর অভিযান করেন ।
২. সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি : সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর অভিযানের অন্যতম কারণ ছিল মুসলিম রাজ্যেরবিস্তার করা। চিতোরের রানা রতন সিংহ আলাউদ্দিনের বশ্যতা গ্রহণের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে।
আর এজন্য তাকে শাস্তি প্রদান করে মুসলিম সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সুলতান আলাউদ্দিন খলজি চিতোর বিজয়ে প্রয়াসী হন।
চিতোর বিজয় : উপরিউক্ত কারণের প্রেক্ষিতে সুলতান আলাউদ্দিন খলজি ১৩০৩ সালে চিতোর অবরোধ করেন এবং ৮ মাস অবরোধের পর চিতোর দুর্গ দখল করেন।
১৩০৩ সালে মেবাবের রাজা রতন সিংহের বিরুদ্ধে সুলতান আলাউদ্দিন খলজি চিতোর অভিযান করেন । রানা প্রতাপ সিংহ বীরবিক্রমে বাধা প্রদান করলেও সুলতানের কাছে পরাজয়বরণ করে। এভাবে চিতোর বিজয় হয়।
পদ্মিনী উপাখ্যান : চিতোর অধিকারের ২৩৭ বছর পর মালিক মুহাম্মদ জয়সী নামে এক কবি পদুমাবৎ নামক কাব্যে পদ্মিনী উপাখ্যান রচনা করেন। তখন থেকে রাজপুতরা পদ্মিনীকে একটি কিংবদন্তীতে পরিণত করেছে।
তার মতে ৮ বছর অবরোধ করেও আলাউদ্দিন চিতোর বিজয় করতে পারেনি। তারপর তিনি ছলছাতুরি দ্বারা চিতোর বিজয় করেন।
আধুনিক ইতিহাসবিদের মতে এর কোনো ভিত্তি নেই। কারণ আমির খসরু চিতোর অভিযানের সময় খলজির সাথে ছিল । তিনি পদ্মিনীর উল্লেখ করেননি।
ফলাফল : যাই হোক চিতোর অধিকার করার পর আলাউদ্দিন খলজির পুত্র খিজির খানের উপর এর দায়িত্ব প্রদান করেন ৷
কিন্তু রাজপুতদের পাল্টা আক্রমণে খিজির খান চিতোর ছেড়ে চলে আসে। মালবদেরকে চিতোরের শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয় । কিন্তু তাকে পরাজিত করে হামিরদের চিতোর অধিকার করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সুলতান আলাউদ্দিনের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে চিতোর বিজয় সম্ভব হয়।
তিনি দীর্ঘদিন অবরোধ করে রেখে পরবর্তীতে যোগ্যতা ও দক্ষতা দ্বারা চিতোর বিজয় করেন । চিতোর বিজয় তার অনন্য ও অসংখ্য কৃতিত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর বিজয় বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।