তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ
তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ

তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ

  • অথবা, তুঘলকে সালতানাতের পতন সম্পর্কে লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : উত্থানের সাথে পতনের যেন এক মহামিল । জন্মিলে মরিতে হবে, এ শব্দটি যেন সবার কাছে চিরচেনা। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একটি শাসক বংশ যারা দীর্ঘকাল শাসন পরিচালনা করে কালের অবলীলায় পতনের মুখে ধাবিত হয়। সেই বংশটি হলো তুঘলক বংশ। নানা উৎস থেকে তাদের পতনের ঘটনা জানা যায়।

তুঘলক বংশের পতনের কারণ : নিজেদের অযোগ্যতা, কর্মকুশলতার অভাব ও সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতির অভাবের জন্য তুঘলক বংশের পতন ঘটে। নিম্নে কারণসমূহ তুলে ধরা হলো।

১. সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতির অভাব : কোনো শাসক বংশের স্থায়িত্বের মূলে প্রথমে কুঠারাঘাত করে সুষ্ঠু উত্তরাধিকার নীতি। - তুঘলক বংশের অধিকাংশ শাসক উত্তরাধিকার নীতি মেনে চলেনি। | তার কারণে এ শাসক বংশ পতনের দিকে ধাবিত হয়েছে।

২. মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের ব্যর্থতা : তুঘলক বংশের পতনের অন্যতম একটি কারণ হলো শাসক মুহাম্মদ-বিন- তুঘলকের উচ্চাভিলাষী এবং কল্পনাবিলাসী পরিকল্পনা, যা তুঘলক বংশের পতনের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

৩. কেন্দ্রীয় শাসনের দুর্বলতা : ফিরোজ শাহ তুঘলক কর্তৃক জায়গীর প্রথার পুনঃপ্রবর্তন ও সেনাবাহিনীতে অনিয়মতান্ত্রিক পদ লাভের ব্যবস্থাসহ কেন্দ্রীয় শাসনের দুর্বলতার মধ্য দিয়ে তুঘলক বংশের পতন ঘটে।

৪. শাসকগণের দুর্বলতা: ফিরোজ শাহ তুঘলকের পরবর্তী শাসক কেউই পূর্ববর্তী সুলতানদের ন্যায় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারেনি। শাসকদের দুর্বলতার এ সুযোগে তুঘলকদের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

৫. রাজকোষের শূন্যতা : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের পঞ্চমহাপরিকল্পনার কারণে রাজকোষে অর্থের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। শাসনব্যবস্থা সার্বিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু রাজকোষে অর্থের ঘাটতির জন্য তুঘলকদের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়েছিল।

৬. জনসমর্থনের অভাব : জনসমর্থনের অভাবও এ বংশের পতনে ভূমিকা রাখে। কেননা যে শাসক বংশ দীর্ঘ ৯৩ বছর | জনসমর্থন নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে সেই বংশই আবার জনগণের সমর্থনের অভাবে পতনকে স্বীকার করে নিতে করে নিতে হয়।

৭. সৈয়দ বংশের উত্থান : সর্বোপরি নতুন শক্তি হিসেবে সৈয়দ বংশের উত্থান এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘপথ চলা তুঘলক বংশকে পতনের পথ বেছে নিতে হয়েছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করে তুঘলক বংশ ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কিন্তু বিদেশিদের আক্রমণকে প্রতিহত করতে না পেরে তুঘলক বংশকে পতনের পথ বেছে নিতে হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ। যদি তোমাদের আজকের তুঘলক সালতানাতের পতনের কারণসমূহ লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ