ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা
ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা

ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা

  • অথবা, ভোটদান পদ্ধতি কী? গোপন ভোটদান পদ্ধতির সুফল ও কুফল আলোচনা কর।
  • অথবা, ভোট কাকে বলে? ভোটদান পদ্ধতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বর্ণনা কর। 
  • অথবা, ভোটদান পদ্ধতি বলতে কী বুঝ? গোপনে ভোটদান পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের প্রকাশ্যে ভোটদান পদ্ধতির চেয়ে গোপন ভোটদান পদ্ধতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের জয়জয়কার। আর গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হলো ভোটদানের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন। 

ভোটাধিকার একটি রাজনৈতিক অধিকার। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর জনগণের এ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয় ভোটদানের মাধ্যমে। জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকে।

ভোটদান পদ্ধতি : নাগরিকগণ যে প্রক্রিয়ানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করে সমর্থনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাকে ভোটদান পদ্ধতি বলে। ভোটাধিকার মানুষের জন্মগত ও রাজনৈতিক অধিকার, তেমনি ভোটদান নাগরিকের একটি পবিত্র দায়িত্ব। ভোটদানের পদ্ধতি আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, যথা

(ক) প্রকাশ্যে ভোটদান পদ্ধতি ও 

(খ) গোপনে ভোটদান পদ্ধতি ।

(i) গোপন ভোটদান পদ্ধতি গোপন ভোটদান বলতে এমন এক ভোটদান পদ্ধতিকে বুঝায় যে পদ্ধতিতে বা যেখানে ভোটদাতারা গোপনভাবে অর্থাৎ ব্যালটপত্রে পছন্দমতো প্রতিনিধি প্রতি সমর্থন দিয়ে ভোটদান সম্পন্ন করে।

গোপন ভোটদানের সুবিধা : প্রকাশ্যে ভোটদানের চেয়ে গোপন ভোটদানের সুবিধা বেশি। কারণ ভোটদানের মূল উদ্দশ্যে বাস্তবায়িত হয়। নিচে গোপন ভোটদানের সুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো।

১. যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন : ভোটদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যোগ্য লক্ষ প্রার্থী নির্বাচিত হওয়া। আর একমাত্র গোপন ভেটি প্রদানেই তা সম্ভব হয়ে থাকে।গোপনে ভোটপ্রদানের ফলে অসৎ ব্যক্তিদের প্রভাব অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। 

কেননা গোপনে ভোট প্রদানে ভোটারগণ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান করে থাকে। গোপন ভোটদানে অসাধু ব্যক্তিরা ভোটারদের প্রভাবিত করতে বা বাধা দিতে পারে না।

২. দুর্নীতির পরিমাণ কম : গোপন ভোটদানে ভোটারগণ তাদের নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে থাকে। অসং পেশিশক্তি, প্রভাবশালীদের কোনো কার্যকারিতা থাকে না। 

কারণ তারা জানতে পারে না কে বা কারা কাকে ভোট দিচ্ছে। তাই গোপনে ভোটপ্রদানে দুর্নীতি কম হয়।

৩. স্বজনপ্রীতির অপমান : গোপন ভোট প্রদান পদ্ধতিতে ধীণ আত্মীয়-স্বজন না দেখে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকে। 

অরুণ ভোটদাতার মনোনীত প্রার্থী সে ছাড়া আর কেউ জানে না। তাই গোপন ভোটদানের নিরপেক্ষ ভোটদান সম্ভব হয়ে থাকে।

৪. নির্বাচনে পবিত্রতা রাখা : গোপন ভোটদানের অন্যতম সুবিধাগুলো হলো নির্বাচনে পবিত্রতা রক্ষা পায়। গোপন ভোটদান পদ্ধতি জনগণকে আকৃষ্ট করে। কেননা এতে জনগণ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারে।

৫. রাজনৈতিক দলের প্রভাবিত মুক্তি : গোপন ভোটদানের মাধ্যমে ভোটারদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ততটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে না। 

কারণ প্রভাবশালীর ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করলেও ভোটাররা গোপন ভোটদানের মাধ্যমে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করে।

৬. সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় : গোপন ভোট প্রদান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে, কেননা এখানে প্রভাব খাটিয়ে ভোট আদায় করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।

→ গোপন ভোটপ্রদানে অসুবিধাসমূহ: গোপন ভোটপ্রদানে অনেক সুবিধা থাকলেও বেশকিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে গোপন ভোট প্রদানের অসুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো :

১. অজ্ঞতার আশ্রয় গ্রহণ : সাধারণত সাধারণ ভোটারগণ আবেগ প্রবণ হয়। তাই তারা আবেগপ্রবণ হয়ে ভোটপ্রদান করে থাকে এতে অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হতে পারে। এটা গোপন ভোট প্রদানের অন্যতম অসুবিধা ।

২. জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগের অভাব : গোপন ভোটদানের অন্যতম সমস্যা হলো সাধারণ ভোটারসের সাথে জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয় না। এতে অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. রাষ্ট্রের উন্নতি ও অগ্রগতি ব্যাহত : এ পদ্ধতিতে অজ্ঞ ও অশিক্ষিত ভোটারদের দ্বারা অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তিরা নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

অযোগ্য ও অসৎ ব্যক্তি নির্বাচিত হলে তারা দেশের বা রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা চিন্তা না করে নিজ স্বার্থ হাসিলে বাস্ত থাকে। এতে রাষ্ট্রের উন্নতি অনেকটাই ব্যাহত হয়।

৪. ভোটারদের মিথ্যার আশ্রয় : গোপন ভোট প্রদানে ভোটাররা মিথ্যার আশ্রয় নেয়। কেননা তারা অনেকেই ভোট দানের প্রতিশ্রুতি দেয়। 

কিন্তু তারা শুধুমাত্র একজনকেই নির্যাতিত করতে পারে। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গন ছল-চাতুরী আর | মিথ্যার দ্বারা পূর্ণ হতে পারে ।

৫. কারচুপির আশ্রয় : গোপন ভোটদানের বড় সমস্যা হলো এ ব্যবস্থার কারচুপির সম্ভাবনা থেকে যায়। কেননা এতে কেউ জানে না কে কাকে বা কে কত শতাংশ ভোট পেয়েছে, ফলে ভোট কেন্দ্রে অসৎ পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া সহজ হয়ে দাঁড়ায়। 

কেননা অনেক সময় শোনা যায়। গণনারা কারচুপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যক্ষ নির্বাচনে ব্যবস্থায় অর্থাৎ কারচুপির কোনো সুযোগ থাকে না।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গোপন ভোটদানের যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও রয়েছে প্রচুর। তবে বর্তমানে জনগণ গোপন ভোটদান পদ্ধতিতে বেশি আকৃষ্ট। 

বর্তমান গণতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় গোপন ভোটদান পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই গোপন ভোটদান পদ্ধতি বিশ্বে আজ নন্দিত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা। যদি তোমাদের আজকের ভোটদান পদ্ধতি কি | গোপন ভোটলাম পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ