৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানা দরকার

৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া - আপনার কাছে যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকে এবং আপনি যদি এই টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। 

৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানা দরকার
৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানা দরকার

আমাদের আশেপাশে এমন কিছু ব্যক্তিরা রয়েছে যারা চাকরি না করে ব্যবসা করে সফল করতে চান। ৫০০০০ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে সফল হতে হলে কি কি ধরনের টিপস এন্ড ট্রিকস এপ্লাই করতে হবে তা নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ৫০,০০০ টাকার মধ্যে কি কি ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। 

৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো নিম্নরূপ:

১/ক্যাটারিং/টিফিন ব্যবসা

ক্যাটারিং বা টিফিন ব্যবসা জনপ্রিয় একটি ব্যবসার মাধ্যম আপনি যদি খাবার রান্না করার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং খাবার টেস্ট করার প্রতি উৎসাহী হন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য প্রযোজ্য। ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে টিফিন বা ক্যাটারিং ব্যবসাটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। 

আপনি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ক্যাটারিং বা টিফিন ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।  এছাড়া কাঁচামাল বাসনপত্র এবং বিভিন্ন মালামালের উপর নির্ভর করে এমাউন্ট একটু এদিক সেদিক হতে পারে। 

ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করার উপায়গুলি নিম্নরূপ:

ধাপ ১: এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী টিফিনের পণ্য নির্বাচন করতে হবে। কাস্টমার কোন খাবারটি বেশি পছন্দ করে সেটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

ধাপ ২:  ব্যবসাটি শুরু করার জন্য লোন নিন তহবিল বৃদ্ধি করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ করুন পাশাপাশি আপনার যেই ধরনের কাঁচামাল গুলো প্রয়োজন সেগুলো ক্রয় করুন

ধাপ ৩: ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন যেমন - ট্রেডমার্ক লাইসেন্স।

ধাপ ৪: ব্যবসাটি প্রচার করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অফলাইনসহ বিজ্ঞাপন প্রচার করুন। 

ধাপ ৫: খাবার যেন সঠিকভাবে কাস্টমারের হাতে পৌঁছে যায় তার জন্য ডেলিভারি ম্যানের ব্যবস্থা করুন। 

ধাপ ৬: এমন কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যা আপনাকে কাস্টোমার পেতে সহায়তা করবে। 

২/ অনলাইন গ্রসারি ব্যবসা

ডিজিটাল যুগে অনেক মানুষ আছেন যারা বাহিরে গিয়ে শপিং করতে পছন্দ করেন না ঘরে বসে অনলাইন শপিং করে থাকেন। আপনি যদি ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো মধ্য থেকে অনলাইনে গ্রসারি ব্যবসাকে  প্রাধান্য দেন তাহলে এটি লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

৫০,০০০ টাকার- মধ্যে গ্রসারি ব্যবসা শুরু করতে, নীচের নিয়মাবলি অনুসরণ করুন৷ এটি আপনাকে সহজেই বাড়ি থেকে আপনার গ্রসারি ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করবে:

ধাপ ১: আপনার ব্যবসা নিবন্ধন করুন। 

ধাপ ২: আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী দর্শকের চাহিদার প্রতি নজর রাখুন এবং সে অনুযায়ী শাকসবজি মজুদ করুন। 

ধাপ ৩: দ্রুত ডেলিভারির জন্য ডেলিভারি পার্টনারের সাথে যোগাযোগ করুন। 

ধাপ ৪: পেমেন্টের বিভিন্ন মাধ্যম চালু রাখুন।

ধাপ ৫: কাস্টমার যেনো সহজে অর্ডার করতে পারে এজন্য অনলাইন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবস্থা করুন। 

ধাপ ৬: বিভিন্ন অফার দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করুন। 

৩/অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা

৪০,০০০ থেকে ৫০০০০ টাকার মধ্যে অনলাইনে ঘরে বসে যদি টিউটরিং ব্যবসা করা যায় তাহলে লাভজনক হওয়া সম্ভব। কারণ আজকাল এমন অনেকে আছেন যারা ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে চান সুতরাং তাদের জন্য অনলাইনে কোর্সটি করতে যেমন সুবিধা হবে তেমনই ব্যবসাটি সামনের দিকে সম্প্রসারিত হবে। ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ায় এটি খুবই জনপ্রিয়। 

আপনার অনলাইন টিউটরিং ব্যবসা শুরু করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

ধাপ ১- আপনার যে বিষয়টির উপর বেশি পারদর্শিতা রয়েছে সে বিষয়টি সিলেক্ট করুন। 

ধাপ ২-  আপনার পছন্দের বিষয়টির উপর বাজারে কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেটি নিয়ে এনালাইজ করুন। 

ধাপ ৩-  ব্যবসাটি সুন্দরভাবে প্রচার করার জন্য অনলাইনে একটি সুন্দর ডিজাইনের ব্যানার তৈরি করতে পারেন।

ধাপ ৪-  অনলাইন টিউটরিং জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই এবং নোটস বিনিয়োগ করুন। 

ধাপ ৫- ফেসবুক বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খুলুন যেখানে আপনি টিউটোরিয়ালের বিভিন্ন ভিডিও শুট করে আপলোড করবেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আপনীর কোর্সে ভর্তি হতে আগ্রহী হবে। 

ধাপ ৬- শুধুমাত্র একটি কোর্স না রেখে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোর্সের ব্যবস্থা করুন যার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মতো কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। 

৪/ আচার তৈরির ব্যবসা

প্রতিটি বাঙালি পরিবারে আচার একটি জনপ্রিয় খাবার শুধু জনপ্রিয়ই নয় ঐতিহ্যবাহীও বটে। যদি আপনি আচার তৈরি করার ব্যবসা পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আপনি এটি ঘরে বসে করতে পারেন। আচার তৈরি করা কষ্টসাধ্য এবং অনেক শ্রমের ব্যাপার। 

তাই অনেকে নিজে আচার তৈরি করে খেতে চান না অনলাইন থেকে আচার অর্ডার করতে পছন্দ বোধ করেন। ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়াগুলিতে আচার তৈরির ব্যবসা একটি ঐতিহ্যবাহী আইডিয়াও বটে।  

আচার তৈরীর ব্যবসা শুরু করার জন্য সম্ভবত ৪০ থেকে ৪৫ হাজারের মতো বিনিয়োগ করতে হবে। 

আচার তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য সহজ পদক্ষেপগুলি হলো—

ধাপ ১: আচার তৈরি করার পূর্বে কাস্টমারদের কোন ফ্লেভারের আচারের প্রতি চাহিদা বেশি সেটি নির্ণয় করুন। 

ধাপ ২: আচার তৈরি করার জন্য যে ধরনের বাসনপত্র বা সরঞ্জাম দরকার সেগুলো কিনে ফেলুন। 

ধাপ ৩: আচার প্যাকেজিং এর জন্য ডিজাইন করা সুন্দর জার কিনুন। 

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ব্যবসাটি শুরু করে পূর্বে লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করুন। 

ধাপ ৪: আচারগুলোকে ছএাকের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন। 

ধাপ ৫: অনলাইনে পেমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করুন যাতে কাস্টমাররা আচারটি কেনার পর সহজেই পেমেন্ট করতে পারে

৫/হস্তনির্মিত কাপড়/আনুষঙ্গিক ব্যবসা

আপনি যদি কাপড় ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এর চেয়ে কম বিনিয়োগে উত্তম ব্যবসা আপনার জন্য কোনটি হতে পারে না। হস্তনির্মিত কাপড় বা আনুষঙ্গিক সামগ্রী বিক্রয় ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ায় চমৎকার আইডিয়ার একটি। 

আপনি কীভাবে আপনার কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন সে সম্পর্কে এখানে একটি নির্দেশিকা রয়েছে:

ধাপ ১: বাজারে কাস্টমারদের চাহিদার উপর নির্ভর করে পোশাকের ধরন নির্বাচন করুন।

ধাপ ২: ব্যবসার জন্য আপনার ঘরে নির্দিষ্ট একটি জায়গা সিলেক্ট করুন যেখানে আপনি কাস্টমারদের কে অনলাইনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে আপনার পোশাকগুলো প্রদর্শন করতে পারবেন। 

ধাপ ৩: নিবন্ধন করার পর একটি ওয়েবসাইট বা পেজ চালু করুন যেখানে আপনি আপনার তৈরিকৃত পোশাকটি সুন্দরভাবে ছবি তুলে আপলোড করতে পারবেন যাতে কাস্টমার দেখে কিনতে আগ্রহী হয়। 

ধাপ ৪: শুধু অনলাইন নয় অফলাইনের মাধ্যমেও আপনার পণ্যটি সম্প্রচার করার চেষ্টা করুন। 

৬/ইউটিউব চ্যানেল

ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবসা শুরু করার জন্য ৫০ হাজার টাকার মধ্যে যথেষ্ট হবে বলে মনে হয়।  একটি ভালো ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, রিং লাইট,  ডেকোরেশনের সামগ্রী এর জন্য এই মূলধন যথেষ্ট। 

৫০০০০ টাকায় ২৫টি ব্যবসা আইডিয়া গুলোর মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করা অনলাইনে একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। 

আপনি যে সামগ্রী বিক্রি করতে চান সেটি নিয়ে গবেষণা করুন। 

আপনার ব্যবসা নিবন্ধন করুন এবং প্রচার করতে সামাজিক মিডিয়ায় ওয়েবসাইট খুলুন এবং একাউন্ট তৈরি করুন। 

ইউটিউব চ্যানেল বুস্ট করার চেষ্টা করুন। 

ইউটিউব চ্যানেলে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটি নির্ণয় করুন এবং সে অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করুন। 

৭/বাড়িতে তৈরি  মিষ্টির ব্যবসা

মিষ্টি তৈরির ব্যবসা ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে বেস্ট অপশন। মিষ্টি তৈরি করা খুবই কঠিন কিছু নয় কিন্তু অনেকের কাছে মিষ্টি তৈরি করে খাওয়া অনেকটা শ্রমের ব্যাপার। 

তাই এমন অনেকে আছেন যারা অনলাইন থেকে মিষ্টি অর্ডার করে খান। সুতরাং অনলাইনে ঘরে বসে মিষ্টি তৈরির ব্যবসা করা একটি লাভজনক ব্যবসার মধ্যেই পড়ে। 

৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি মিষ্টি তৈরির সকল সামগ্রী কিনে সুন্দরভাবে মিষ্টি বানানো শুরু করতে পারেন। 

আপনি কীভাবে আপনার ঘরে তৈরি মিষ্টি ব্যবসা শুরু করতে পারেন তা আলোচনা করা হলো-

ধাপ১: কাস্টমার কোন ধরনের মিষ্টি খেতে পছন্দ করে সেটি নির্বাচন করুন। 

ধাপ ২: আপনার ব্যবসাটি নিবন্ধন ও লাইসেন্সের আওতায় আনার চেয়ে চেষ্টা করুন। 

ধাপ ৩: মিষ্টি তৈরি করার জন্য আপনার বাড়িতে নির্দিষ্ট একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা সিলেক্ট করুন যাতে মিষ্টিগুলো নষ্ট না হয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা যায়।

ধাপ ৪: মিষ্টি গুলো স্টোরেজ করার জন্য আলাদা একটি ফ্রিজ রাখুন।

ধাপ ৫: অনেক সংখ্যক মানুষজন যেনো আপনার মিষ্টি অর্ডার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে তাই অনলাইন এবং অফলাইনে আপনার ব্যবসাটি প্রচার করার ব্যবস্থা করুন।

৮/ওয়েডিং প্ল্যানার বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

যেকোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ইভেন্টকে আকর্ষণীয় ভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে ওয়েডিং প্লানার বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়াগুলোর ভেতরে এটি একটি দারুন আইডিয়া। 

৫০০০০ টাকার মধ্যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সর্বপ্রথম আপনাকে ব্যবসাটি নিবন্ধন ও লাইসেন্সের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কি ধরনের ডেকোরেশন ও ডিজাইন করতে চান সেগুলো আপলোড করার জন্য অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করুন যাতে কাস্টমাররা আগ্রহী হয়ে আপনার নিকট অর্ডার করতে পারে। 

ক্লাইন্টের প্রয়োজনীয়তা বোঝা এই ব্যবসাটি সামনের দিকে সম্প্রসারিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট।  

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সাজসজ্জা, ফটোগ্রাফি, ক্যাটারিং সার্ভিস, এগুলো অবশ্যই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে। 

৯/মধু উৎপাদন

৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ায় মধু উৎপাদনের ব্যবসা একটি কষ্টসাধ্য আইডিয়াও বটে। তবে আপনার যদি চাষাবাদ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা থাকে তাহলে আপনি মধুর উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ৫০০০০ টাকার কমে ও মধু উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করা যায়।

মধু উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম মৌমাছি লালন-পালন সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে।

যে সকল কারণে মৌমাছিদের রোগ জীবাণু হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে তা না হলে আপনার মধু উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

মৌমাছির অনেক ধরনের প্রজাতি রয়েছে।  কোন প্রজাতির মৌমাছি বেশি মধু উৎপাদন করে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে যা আপনার ব্যবসা লাভজনক হতে সহায়তা করবে।

১০/বাল্ক ডোমেইন কেনা

ডোমিন ক্রয় ও বিক্রয় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। ওয়েবসাইটে ডোমেইন কিনে আয় করা ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ায় অত্যন্ত লাভজনক।

এই ব্যবসায় আপনাকে যে বিষয়গুলি জানতে হবে তা হল:

আপনাকে যথাযথ স্থান থেকে ডোমেইন নির্বাচন করতে হবে যে স্থানে ডোমেইনের চাহিদা বেশি। 

ডোমেইন কি এবং তা কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বেসিক ধারণা লাভ করতে হবে। 

ডোমেইন বিক্রির জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং মার্কেটপ্লেসে আপনার ডোমেইন বিক্রি করতে পারেন। 

১১/ ওয়েবসাইট বিক্রি

আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকে তাহলে ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ায় ওয়েবসাইট বিক্রি ব্যবসা আপনার জন্য খুবই ফলদায়ক হবে। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে ডোমেইন ক্রয় করে সেগুলো বিক্রি করার আগে সংশোধন করতে হবে।

এই ব্যবসায় আপনাকে যে বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে তা হল:

যেহেতু এটি একটি প্রযুক্তিগত ব্যবসা তাই আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরির নিয়মাবলী সম্পর্কে খুবই দক্ষ হতে হবে। 

আপনার ক্রয়কৃত ডোমেইন গুলিকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এমনকি এই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে ডোমেইন কোন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনি ডোমেইন গুলো যত ভালোভাবে পরিবর্তন করবেন তত বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।

১২/ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বিক্রি

ইকমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হবেন। এর জন্য আপনাকে প্রযুক্তিগতভাবে তেমন দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র বেসিক কিছু ধারণা থাকলেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে  ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিক্রি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে সেগুলো আপনি আমাজনের মতো ওয়েবসাইটেও বিক্রি করতে পারবেন। 

এই ব্যবসায় আপনাকে যে বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখতে হবে তা হল:

আপনাকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। 

ক্রেতারা কি ধরনের পণ্য কিনতে ইচ্ছুক সে অনুযায়ী পণ্য নির্ধারণ করতে হবে। 

১৩/ফটোগ্রাফি

আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তিরা আছেন যারা কোন সুন্দর স্থানে ভ্রমণ করলে আকর্ষণীয় কিছু দেখলে ফটোশুট করতে এমনকি ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন।  সুতরাং যাদের এই ধরনের কাজের প্রতি খুব আগ্রহ আছে তারা ফটোগ্রাফিটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।  ফটোগ্রাফি আপনার ব্যবসাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে। ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ায় ফটোগ্রাফি একটি চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। 

৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূলধনের মধ্যে আপনি সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ভালো মানের ক্যামেরা, লেন্স, বিভিন্ন ধরনের লাইটিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। 

আপনি যে ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছুক সেটি প্রচার করলে আপনার ব্যবসাটি সম্প্রসারিত হতে সহায়তা করবে। আপনি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খোলার মাধ্যমে সেখানে আপনার ফটোগ্রাফি ব্যবসাটির বিজ্ঞাপন বা ব্যানার প্রচার করতে পারেন। 

১৪/ফিনেনসিয়াল কনসালটেনসি

এটি এমন একটি ব্যবসা যার জন্য খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এই ব্যবসাটির তেমন কোনো ডিমান্ড নেই বললেই চলে।  

আপনাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ব্যবসায়িক ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে এবং ঝুঁকি এড়াতে যা করা প্রয়োজন তা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে যেন আপনি আপনার কাস্টমারদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারেন। 

এই ব্যবসায় আপনাকে কাস্টমারের প্রতি এমন ভাবে সুন্দর ব্যবহার উপস্থাপন করতে হবে এবং পরিষেবা দিতে হবে যেন ব্যবসাটি সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে ও ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

১৫/রোড সাইড ফাস্ট ফুড ব্যবসা

এই যুগে এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি রোডসাইড এর খাবার খেতে পছন্দ না করে। বিশেষ করে আমাদের দেশে রোড সাইড খাবারটি অনেক বছর যাবত প্রচলিত হয়ে এসেছে সুতরাং আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন রোড সাইডে একটি খাবারের ব্যবসা করবেন তাহলে ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়া গুলোর এটি সর্বসেরা অপশন। আপনার জন্য এটি ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। 

রোডসাইড খাবারের ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে একটি আলো বাতাস পূর্ণ পরিষ্কার স্থান নির্বাচন করা। 

দ্বিতীয়ত যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ব্যবসাটি অনলাইন ও অফলাইন সব জায়গায় প্রচার করা। 

কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের পছন্দের খাবার তৈরি করা। 

১৬/ফ্রেশ জুস / মিল্কশেক ব্যবসা

ফ্রেশ জুস এবং মিল্কশেক এমন কেউ নেই যে খেতে পছন্দ করেনা। বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এর চাহিদা অত্যাধিক হারে বেড়েই চলছে।

৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আপনি এই ব্যবসাটি নিশ্চিন্তে শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে সেটি হল এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে লোকজনের যাতায়াত খুবই বেশি যেন লোকজন আপনার দোকানটি সম্পর্কে পরিচিত লাভ করতে পারে।

কাস্টমার কি কি ফ্লেভারের জুস এবং মিল্কশেক খেতে পছন্দ করছে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

যেখানে দোকানটি থাকবে সেই স্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে ও কাস্টমারদের জন্য বসার ব্যবস্থা করতে হবে। 

মিল্কশেক এবং জুস পরিবেশন করার জন্য আকর্ষণীয় ডেকোরেটেড গ্লাসের ব্যবস্থা থাকলে আরো ভালো হয় এতে আপনার দোকানের প্রতি কাস্টমারের উৎসাহ বেড়ে যাবে। 

১৭/ চিপস তৈরির ব্যবসা

৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে চিপস তৈরি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  আপনাকে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যাদের কাছে চিপস গুলো বিক্রি করছেন বা আপনার ক্রেতারা কি ধরনের কোন ফ্লেভারের চিপস খেতে বেশি পছন্দ করে সে অনুযায়ী তৈরি করা। ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগাতে তার মধ্যে চিপস তৈরি ব্যবসা সুবিধাজনক উপায়। 

আপনি যে স্থানে চিপস গুলো তৈরি করবেন সেই স্থানটি যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এবং পরিষ্কার সামগ্রী ব্যবহার করা হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। 

চিপস ভাজার জন্য পরিষ্কার এবং ইনটেক তেল ব্যবহার করতে হবে ডেট এক্সপায়ার্ড হওয়া কোন পণ্য ব্যবহার করা যাবে না। 

ভুল ভাজার পর সঠিকভাবে প্যাকেজিং করতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে যেন ক্রেতারা খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। 

১৮/টয় শপ

চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মূলধনের মাধ্যমে আপনি একটি খেলনার দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমাদের চারপাশে অনেক বাচ্চা আছেন যারা খেলনার প্রতি খুব বেশি আগ্রহী এবং বাসায় খেলনা থাকার পরেও তারা ঘন ঘন খেলা কিনতে খুব পছন্দ করেন। 

ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে আপনাকে যে বিষয়টি সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে কোন এরিয়া গুলোতে বাচ্চারা বেশি যাতায়াত করে তাহলে আপনার দোকানে কাস্টমার বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বেশি হবে। 

আরো একটি বিষয় হচ্ছে খেলনাগুলো এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে ভেঙে না যায় কারণ খেলনাগুলো ভেঙে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে বাচ্চারা কেনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। 

আপনার টয়  শপটি এমনভাবে ডেকোরেশন করতে হবে যাতে বাচ্চারা আপনার দোকানে প্রবেশ করার প্রতি উৎসাহী হয়ে ওঠে। 

১৯/শিশু এবং মায়েদের পণ্যের ব্যবসা

শিশু ও মায়েদের অনেক সময় এমন কিছু পণ্যের দরকার হয় যা ইমারজেন্সি ভাবে কিনা উচিত।

এই ধরনের পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে হলে এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে যেটি হাসপাতাল অথবা ফার্মাসির আশপাশে। 

শিশু ও মায়েদের চাহিদা অনুযায়ী এমন কিছু পণ্য বিক্রি করতে হবে যার ফলে তারা উপকৃত হতে পারে। 

এগুলো এমন এক ধরনের পণ্য যা শিশু ও মায়েদের ঘন ঘন কিনার প্রয়োজন হতে পারে যা আপনার ব্যবসায় লাভবান হতে সহায়তা করবে। 

২০/শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেশনারী দোকান

প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেশনারি দোকান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার সমস্ত সামগ্রী এই ধরনের দোকান থেকে কিনে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি স্টেশনারির ব্যবসায় লাভবান হতে চান তাহলে আপনাকে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী স্টেশনারী পণ্য আপনার দোকানে মজুদ করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা আপনার দোকান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। 

২১/মেয়েদের জন্য কসমেটিক শপ

৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূলধন এর মাধ্যমে আপনি ছোটখাটো একটি কসমেটিকস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কসমেটিকের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে যে বিষয়টি ভাবতে হবে সেটি হচ্ছে ব্যবসাটি নিবন্ধন ও লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। ৫০ হাজার টাকায় ২৫টি  ব্যবসার আইডিয়াগুলোর ভিতরে নারীদের জন্য কসমেটিকের ব্যবসা সেরা চয়েজ হতে পারে। 

কসমেটিকের ব্যবসা শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী ক্রেতারা কি ধরনের কসমেটিক কিনতে পছন্দ করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। 

● আপনার কসমেটিক শপটি এমনভাবে ডেকোরেশন করতে হবে যেন ক্রতারা কসমেটিক কিনতে আগ্রহী হয়ে পড়ে। 

এমন একটি স্থানে কসমেটিকের দোকানটি নির্বাচন করতে হবে যেখানে মহিলা ক্রেতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

২২/আইসক্রিম দোকান ব্যবসা

যেকোনো ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রেতার পছন্দ অপছন্দের দিকে খেয়াল রাখা। আইসক্রিমের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেটি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% বেশি। 

আইসক্রিমের ব্যবসা সফল হতে হলে এমন জায়গায় আইসক্রিম শপটি নির্বাচন করতে হবে যেখানে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত বেশি করে।  এছাড়া কর্পোরেট অফিসের সামনে বা বাসার সামনেও আইসক্রিম দোকান দিলে লাভবান হওয়া যেতে পারে। 

এই ব্যবসাটিতে সফল হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাস্টমাররা কি কি ফ্লেভারের আইসক্রিম খেতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। 

দাম অনুযায়ী আইসক্রিম এমনভাবে ডেকোরেট করে দেওয়া যাতে আইসক্রিম আকর্ষণীয় হয় এবং ক্রেতারা কিনতে উৎসাহিত হয়। 

২৩/মোবাইল মেরামত ব্যবসা

আজকাল সকলেই মোবাইল ব্যবহার করে থাকে বিশেষ করে স্মার্টফোন। যে সকল ব্যক্তিদের মোবাইল বারবার এক্সচেঞ্জ করা সামর্থ নেই তারা মোবাইল নষ্ট হওয়ার পর মোবাইল মেরামত করার জন্য ভালো একটি দোকান খুঁজে থাকেন যার ফলে তার মোবাইলটি তিনি বেশিদিন ব্যবহার করতে পারবেন। 

৫০০০০ টাকা মূলধনের মাধ্যমে আপনি যদি মোবাইল মেরামতের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ক্রেতাদের জন্য যেমন লাভ হবে তেমনি আপনার ব্যবসায়ও লাভ হতে পারে। 

এই ব্যবসায় সফল হতে হলে আপনাকে মোবাইল সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে। মোবাইলের দাম ও মান অনুযায়ী কাস্টমারকে সার্ভিস প্রদান করতে হবে। 

এমন কিছু মার্কেট আছে যেখানে কাস্টমার সবচেয়ে বেশি যাওয়া আসা করে সেসব মার্কেটে বা শপিংমলগুলোতে মোবাইল মেরামতের ব্যবসা পরিচালিত করা যেতে পারে। ড

২৪/গিফট শপের ব্যবসা

গিফট শপের ব্যবসা পরিচালিত করার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মূলধন যথেষ্ট। এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক হতে পারে কারণ আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রিয় মানুষকে বা যে কোন অনুষ্ঠানে একে অপরকে গিফট দিতে খুব বেশি পছন্দ করেন।

এই ব্যবসাটি যদি আপনি লাভজনক ভাবে করতে চান তাহলে আপনাকে গিফটের প্যাকেজিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। 

এছাড়া গিফটের বাহ্যিক ডিজাইন সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে

কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের গিফট সংগ্রহ করতে পারেন। 

সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য গিফটের উপর আকর্ষণীয় মেসেজ লিখে দিতে পারেন। 

২৫/ভিডিও এডিট সার্ভিসের ব্যবসা

  • বর্তমান যুগে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা খুবই বেশি। ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে খুব সহজে অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব। এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা।  
  • এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে একটি ভাল কনফিগারেশনের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে হবে যার ফলে আপনি খুব সহজে ভিডিও এডিট করে ইনকাম করতে পারবেন। 
  • এই ব্যবসায় সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
  • এছাড়া এই ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আরও একটি উপায় হচ্ছে যখন কাজটি করবেন তখন নির্দিষ্ট একটি কক্ষ সেট রাখবেন যেখানে আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে কাজটি সুসম্পন্ন করতে পারবেন। 

আশা করি আমাদের ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো আপনার নিকট ভালো লাগবে ও ব্যবসাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ