বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।
বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে |
বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে
- অথবা, বাবরের চান্দেরী দুর্গ দখল ও গোগরার যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের শাসকবর্গের ইতিহাসে বাবর এক অনন্য সাধারণ নাম। বাবর সুদূর কাবুল থেকে আক্রমণ চালিয়ে ভারতবর্ষের সিংহাসন দখল করেন এবং শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীতে তার প্রতিষ্ঠিত এ মুঘল সাম্রাজ্য ভারতের এক দীর্ঘস্থায়ী শাসকগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। বেশ কয়েকটি যুদ্ধের মাধ্যমে ধাপে ধাপে বাবর পুরো ভারতবর্ষে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। ঠিক এমনই দুটি ঘটনা হচ্ছে চান্দেরীর দুর্গ দখল ও গোগরার যুদ্ধ ।
চান্দেরী দুর্গ দখল : খানুয়ার যুদ্ধে যে সকল রাজপুত বাবরের কাছে পরাজয় স্বীকার করে সে সকল রাজপুতরা চান্দেরী রাজ্যের রাজা মেদিনী রাওয়ের নেতৃত্বে আবার বাবরের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয় এবং তাদের সকল সামরিক শক্তি চান্দেরীর দুর্গে জমা করতে থাকে।
মুঘল সম্রাট বাবর গোয়েন্দা মারফত এ যুদ্ধ প্রস্তুতির খবর পান এবং এ খবর পাওয়ার পর ১৫২৮ সালের ২০ জানুয়ারি বাবর চান্দেরী দুর্গ অবরোধ করেন।
প্রথম দিকে রাজপুত বাহিনী অত্যন্ত বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে বাবরকে কোণঠাসা করে ফেলে। কিন্তু বাবরের উন্নত রণকৌশলের নিকট তারা এক সময় পরাজয়বরণ করেন।
ধারণা করা হয় দুর্গে অবস্থানকারী সকল রাজপুত সৈন্য মুঘলদের হাতে নিহত হয়নি এবং এ চান্দেরী দুর্গের পতনের পর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাকে বাধা দেবার মতে। রাজপুতদের শেষ শক্তিটুকু বিলীন হয়ে যায়।
গোগরার যুদ্ধ : বাবরের চান্দেরী দুর্গ দখলের পর ১৫২৯ সালে গোগরার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ ছিল মূলত বাবরের সাথে আফগান বাহিনীর যুদ্ধ।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত আফগানরা পুনরায় নিহত ইব্রাহীম লোদীর ভাই জৌনপুরের শাসক মাহমুদ লোদীর নেতৃত্বে সংঘটিত হয় এবং তারা বাবরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ খবর পেয়ে বাবর তার পুত্র আসকারীকে মাহমুদ লোদীকে দমন করার জন্য প্রেরণ করেন। তবে বাবর বসে না থেকে নিজে এলাহাবাদ, বারানসি এবং চুনার দখল করে বিহারের বক্সার নামক স্থানে উপস্থিত হন।
এতে অনেক আফগান সর্দার ভীত হয়ে মাহমুদ লোদীর পক্ষ ত্যাগ করে বাবরের পক্ষে যোগদান করেন। নিজের অনুসারীরা দল ত্যাগ করায় মাহমুদ লোদী হতাশ হয়ে বাংলার সুলতান নসরৎ শাহের আশ্রয় গ্রহণ করেন।
তাই স্বভাবতই বাবর বাংলার দিকে ধাবিত হতে বাধ্য হন। অতঃপর ১৫২৯ সালে গোগরা নামক স্থানে সংঘটিত গোগরার যুদ্ধে আফগানদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। বাংলার সুলতান নসরৎ শাহ শেষপর্যন্ত বাবরের সাথে সন্ধি করে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাবরের ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চান্দেরী দুর্গ দখল ও গোগরার যুদ্ধে জয়লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
কেননা এতে একদিকে যেমন বাবরের চির শত্রু রাজপুতরা ও আফগানরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়, অন্যদিকে ভারতবর্ষের প্রায় সমগ্র উত্তরাঞ্চল বাবরের হস্তগত হয়। এ যুদ্ধের জয়লাভের মাধ্যমে বাবর হয়ে উঠেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে ক্ষমতাধারী একক অধিপতি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে। যদি তোমাদের আজকের বাবর চান্দেরীর দুর্গ ও গোগরার যুদ্ধে কিভাবে জয়লাভ করে পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।