বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ
বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ


বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ

  • অথবা, তুজুক-ই-বাবরী সম্পর্কে যা জান লিখ । 
  • অথবা, বাবরনামা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর । 

উত্তর : ভূমিকা : মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ তুজুক-ই-বাবরী। সম্রাট বাবর তার বৈচিত্র্যময় জীবনের সত্য ও নির্ভরযোগ্য বিবরণ দেন তার এ গ্রন্থটিতে। এর সাথে তিনি ভারতবর্ষের রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার একটি স্পষ্ট চিত্র এতে তুলে ধরেছেন।

→ বাবরনামা গ্রন্থের বর্ণনা : নিম্নে বাবরনামা গ্রন্থ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :

১. তুজুক-ই-বাবরীর রচয়িতা : তুজুক-ই-বাবরী বা বাবরনামা গ্রন্থটি মুঘল সম্রাট বাবরের স্বরচিত। তিনি তুর্কি ভাষায় গ্রন্থটি রচনা করেন।

২. তুজুক-ই-বাবরীর অনুবাদ : তুজুক-ই-বাবরী নামক | গ্রন্থটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্বারা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করেছেন। অতঃপর ইংরেজি ঐতিহাসিক মিসেস এ. এস. বেভারিজ ইংরেজি ভাষায় তুজুক-ই-বাবরীর অনুবাদ করেন।

৩. তুজুক-ই-বাকরীর বিষয়বস্তু : তুজুক-ই-বাবরীতে সম্রাট বাবর তার শৈশব এবং যৌবনের বিবরণের সাথে সাথে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য এবং মুঘল রাজবংশ প্রতিষ্ঠার বিবরণসহ বাবরের ব্যক্তিগত | জীবনের বহু তথ্য এতে তুলে ধরেন। 

এর সাথে বাবরের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, কূটকৌশল, অসীম সাহসিকতা, নৈপুণ্যতা, সহৃদয়তা, দেশাত্মবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে বাবরনামা থেকে জানা যায়। তিনি অত্যন্ত সাবলীল ও সত্যভাষীরূপে তার জীবনের বিবরণ দেন।

৪. ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে তুজুক-ই-বাবরী : তুজুক-ই-বাবরী সম্রাট বাবরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। এটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ হলেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস গ্রন্থের দাবিদার। 

কেননা বিষয়বস্তুর সঠিকতা, উপস্থাপনার স্পষ্টতা এবং রচনাশৈলীর মাধুর্য তুজুক-ই-বাবরীকে নিঃসন্দেহে একটি অনবদ্য ইতিহাস গ্রন্থে পরিণত করেছে। 

ড. এস. কে ব্যানার্জী এ প্রসঙ্গে বলেন, "It is the Bible of the Mughal history of India and fact quoted form or supported by it is placed beyond all doubt”, 

অর্থাৎ তুজুক-ই-বাবরী ভারতের মুঘল ইতিহাসের বাইবেল সদৃশ এবং যেকোনো ঘটনা যদি এতে বিবৃত থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে তা গ্রহণযোগ্য তথ্য সরবরাহ করেছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তুজুক-ই-বাবরী একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ হলেও পাশাপাশি একটি নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থও। তাই এ গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মুঘল আমলের | ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ। যদি তোমাদের আজকের বাবরনামা সম্পর্কে লেখ। তুজুক ই বাবরি গ্রন্থ সম্পর্কে লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ