গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর 

  • অথবা, গোগরার যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । 
  • অথবা, গোগরার যুদ্ধের বর্ণনা দাও। 

উত্তর : ভূমিকা : ১৫২৬ সালে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করলেও বাবরের ভারতবর্ষে টিকে থাকা সহজ ছিল না। তাকে খানুয়ার যুদ্ধের রাজপুতদের পরাজিত করার পর আফগানদের সাথে গোগরার যুদ্ধ করতে হয়। এ যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করে মুঘল শক্তিকে সুসংহত করেন।

গোগরার যুদ্ধ : দুর্ধর্ষ আফগান দলপতিগণ সম্রাট বাবরকে নিশ্চিত হয়ে নিরাপদে শাসন করতে বাধা দেন। ফলে তাদেরকে দমন করার জন্য বাবর সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন। উচায় বাহিনীর মধ্যে গোগরা নামক স্থানে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। 

নিম্নে এ যুদ্ধের বিবরণ দেওয়া হলো :

১. সময়কাল : ১৫২৯ সালের ৬ মে সম্রাট বাবর পার্টনার সন্নিকটে গোগরা নদীর তীরবর্তী স্থানে আফগান বাহিনীর মোকাবিলা করেন এবং তাদেরকে পরাজিত করেন।

২. সৈন্য সংখ্যা : আফগানদের মোকাবিলা করার জন্য বাবর স্বীয় পুত্র আসকারীকে অগ্রভাগে পাঠিয়ে যুদ্ধযাত্রা করেন। তার সাথে ১ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্য সংখ্যা প্রেরণ করেন। পক্ষান্তরে আফগানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।

৩. যুদ্ধের নেতৃত্ব : আফগানদের দুর্ধর্ষ নেতা ইব্রাহীম, লোদীর ভ্রাতা মাহমুদ লোদীর নেতৃত্বে আফগান সৈন্যরা এগিয়ে আসে এবং মুঘলদের পক্ষ থেকে বাবরের পুত্র এবং বুদ্ধিমান বাবর এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

৪. বাবর কর্তৃক বিজিত অঞ্চল : যুদ্ধ যাত্রা শুরু করা হতেই পথিমধ্যে বাবর এলাহারান, চুনার ও বেনারস অধিকার করেন। ফলে যুদ্ধে জয়লাভ করা আরো সহজ হয়।

৫. মাহমুদ লোদীর হতাশা : সম্রাট বাবর যখন ক্রমেই এগিয়ে আসছেন তখন মাহমুদ লোদী হতাশ হয়ে বাংলার সুলতান নুসরত শাহের আশ্রয় লাভ করেন। তারপরেও বাবরের কাছে পরাজয় হতে তিনি নিস্তার পাননি।

৬. বাবরের বিজয় : সম্রাট বাবরের শক্তিশালী বাহিনী আফগান বাহিনীকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে। যার ফলে সমগ্র উত্তরাঞ্চলের উপর বাবরের আধিপত্য কায়েম হয় এবং তার সাম্রাজ্য অক্ষু নদী হতে গোগরা নদী ও হিমালয় হতে গোয়ালিয়র পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গোগরার যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য অপরিসীম। এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে আফগান শক্তির ভর থেকে বাবর নিশ্চিন্ত থাকতে পেরেছিল। তিনি এ যুদ্ধে জয়লাভ করে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি সুদৃঢ় করে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের গোগরার যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ