মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর

  • অথবা, মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বাহ্যিক কারণগুলো বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : ১৫২৬ সালে সম্রাট বাবর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মুঘল শাসনের গোড়াপত্তন হয় এবং পরিসমাপ্তি ঘটে ১৮৫৭ সালে। এ সুদীর্ঘ তিন শতাব্দীর অধিক সময়ের রাজত্বকালে এ সাম্রাজ্য বিভিন্ন সমৃদ্ধিসহ অক্ষয় ও অবিস্মরণীয় কীর্তি রেখে যেতে সক্ষম হয়। 

তবে প্রকৃতির উত্থান ও পতন চক্রাকারের নিয়মের আবর্তে ১৮৫৭ সালে এর পতন হয়। এ সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে বাহ্যিক কিছু কারণ অন্যতম ভূমিকা পালন করে ।

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বাহ্যিক কারণ : অভ্যন্তরীণ কারণ ছাড়াও মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে কিছু বাহ্যিক কারণ তথা বহিঃশত্রুর আক্রমণ দায়ী ছিল। 

নিম্নে মুঘলদের বাহ্যিক কারণগুলো তুলে ধরা হলো :

১. নাদির শাহ ও আহমদ শাহ আবদালীর আক্রমণ : ক্ষয়িষ্ণু মুঘল সাম্রাজ্য পারস্যের নাদির শাহ ও আহমদ শাহ আবদালীর আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। নাদির শাহের আক্রমণ প্রতিহত করা পরবর্তী দুর্বল ও অযোগ্য মুঘল সম্রাটদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যে কারণে এ সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

২. স্বাধীন রাজ্যসমূহের উত্থান : মুঘল সাম্রাজ্য ধ্বংসমুখে পতিত হওয়ার প্রাক্কালে এ সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এ সুযোগে রাজধানী থেকে দূরবর্তী প্রদেশগুলোর প্রাদেশিক কর্মকর্তাগণ তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এসব প্রদেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অযোধ্যা, দাক্ষিণাত্য ও বাংলাদেশের সুবাসমূহ ।

৩. আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি : আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতির সমালোচনা করে স্মিথ বলেন, 'দাক্ষিণাত্য তার খ্যাতি এবং দেহের সমাধিক্ষেত্র ছিল।' মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি অনেকাংশে দায়ী ছিল।

৪. অরক্ষিত সীমান্ত : মুঘল সাম্রাজ্যের সীমান্তের সুরক্ষার -অপ্রতুলতার দরুণ নাদির শাহ বার বার আক্রমণ চালাতে সক্ষম

হন এবং আহমদ শাহ আবদালী ৯ বার ভারত অভিযান চালাতে এবং বিভিন্ন রাজ্য জয় করতে সক্ষম হন। যা মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পেছনে অনেকাংশে দায়ী ছিল।

৫. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগ্রাসন নীতি : মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও দুর্বলতার সুযোগে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আধিপত্য বিস্তার করতে এবং তাদের আগ্রাসন নীতির বাস্তবায়ন ঘটাতে সক্ষম হন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতবর্ষের অন্যান্য সাম্রাজ্যের ন্যায় মুঘল সাম্রাজ্যও প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের বিপরীত ছিল না। যে কারণে তাদের পতন অনিবার্য হয়েছিল। 

তবে এ পতনকে আরো বেশি সুচারু করে তুলেছিল বহিঃশত্রুর আক্রমণ। অবশেষে নাদির শাহ ও আহমদ শাহ আবদালীর আক্রমণ এবং সর্বোপরি ইংরেজদের আক্রমণে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণগুলো আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ