পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ
পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ

পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ

উত্তর : ভূমিকা : পলাশি যুদ্ধের প্রাক্কালে বাঙালি সমাজে অভিজাত শ্রেণির প্রভাব ছিল বিশেষ লক্ষণীয়। রাজনৈতিক প্রতিপত্তি আর্থিক সঙ্গতি, সামরিক বা বেসামরিক পদমর্যাদার দিক থেকে অভিজাত শ্রেণি বাঙালি সমাজে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছিল।

অভিজাত শ্রেণি ও তাদের প্রভাব বাংলার স্বাধীন সুলতানদের শাসনামল থেকে বাংলায় যে অভিজাত শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে, পলাশি যুদ্ধের প্রাক্কালে তারা একটি প্রতিপত্তিশালী শ্রেণি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের নিয়ামত আমলে বাঙালি অভিজাত শ্রেণি কতকগুলো বৈশিষ্ট্য নিয়ে আবির্ভূত হয়। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিল তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে এই অভিজাত শ্রেণি ।

সরকারি কর্মচারীদের অভিজাত শ্রেণি : বিশেষ করে সুবাদারদের আমলের অভিজাত শ্রেণি ছিল প্রধানত প্রকৃতিগতভাবে সরকারি কর্মচারী এবং এই শ্রেণির বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যক্তিগত প্রতিভা কোন জন্মগত বা বংশগত কৌলিন্য নয়। 

মুঘল আমলে সামরিক ও বেসামরিক এবং এই শ্রেণির বৈশিষ্ট্য ছিল। ব্যক্তিগত প্রতিভা কোন জন্মগত বা বংশগত কৌলিন্য নয় । মুঘল আমলে সামরিক ও বেসামরিক সকল চাকরির ভিত্তি ছিল মনসবদারি পদ্ধতির উপর। 

প্রত্যেকেই একটি মনসব নিয়ে সৈন্য। দলের নায়ক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করতে হতো এবং মেধার বলে চাকরিতে কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষম হলে তিনি উচ্চ মনসবে উন্নীত হতেন এবং আমীরের পদমর্যাদা অর্জন করতে পারতেন। 

ফলে তিনি অভিজাত শ্রেণিভুক্ত হতে পারতেন। মুঘল আমল থেকে নবাবি সিরাজ-উদ-দৌলার সিংহাসনারোহণ পর্যন্ত অভিজাত শ্রেণিতে উত্তরণের ক্ষেত্রে এমনই প্রয়াস লক্ষ্য করা। যায়। 

এক্ষেত্রে মুর্শিদকুলি খানের কথা বলা চলে। তিনি রাজস্ব বিভাগের সামান্য একজন কর্মচারীর পদ থেকে বাংলার দেওয়ান নাজিম পদে উন্নীত হয়েছিলেন। 

তাছাড়া সুজাউদ্দিন খান আলীবর্দী খান প্রমুখ ও সামান্য অবস্থা থেকে অভিজাত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলার কর্ণধার হবার সুযোগ পান। 

এমনকি যোগ্যতার বলে বিভিন্ন উপাধি ধারণ করে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা অভিজাত শ্রেণিতে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে পারতেন। 

এক্ষেত্রে খানে খানান, মহৎ জঙ্গ, হাযবৎ জঙ্গ, শওকত জঙ্গ, বাবর জঙ্গ প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত ব্যক্তিরা বা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা অভিজাত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। 

বাঙালি সমাজে এই শ্রেণির সামাজিক মর্যাদাই ছিল প্রধান । সুবাদার বা নবাবেরা অনেকাংশে তাদের সামরিক প্রতিভা ও নৈপুণ্যের উপর নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেন। ফলে এই অভিজাত শ্রেণি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ঐ সময়ে বাংলায় বিভিন্ন বর্গের অভিজাত শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে। তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা অনেক সাফল্য অর্জন করে। 

পরবর্তীতে তারাই নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তার পতনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করান। সিরাজ মানুষ চিনতে ভুল করেছিলেন। রাজনৈতিক জটিলতায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ। যদি তোমাদের আজকের পলাশি যুদ্ধের প্রাকালে বাঙালি সমাজে সরকারি কর্মচারী অভিজাত শ্রেণির প্রভাব লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ