সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল
সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল

সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল

  • অথবা, কূটনৈতিক দক্ষতা হিসেবে সম্রাট আওরঙ্গজেবকে মূল্যায়ন কর।

উত্তর : ভূমিকা : সম্রাট আওরঙ্গজেব তার কূটনৈতিক দক্ষতার বলে ১৬৫৮ সালে সামুগড়ের যুদ্ধে জয়লাভ করে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি তার শাসনামলে সকল প্রকার অন্যায় অনাচার সমাজ থেকে দূরীভূত করেন। 

তার সময় সম্রাজ্যে সর্বত্র শান্তি বিরাজ করতো। এজন্য তাকে শান্তির দেবদূত বলা হয়। তাছাড়া তার দক্ষতা দূরদর্শিতা ছিল প্রশংসায়।

→ সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা : কূটনৈতিক দক্ষতায় সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত। নিম্নে সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল তা বর্ণনা করা হলো।

১. দক্ষ কূটনৈতিক : সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন দক্ষ কূটনীতিক। তিনি সামরিক বিদ্যায় অসাধারণ দক্ষ এবং কঠোর পরিশ্রমী শাসক। 

তার কূটনৈতিক বলে সকল প্রকার বিদ্রোহ সমন করে সাম্রাজ্যে শান্তির বাণী প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার কূটনীতিক চাতুর্য ছিল ম্যাকিয়াভেলির মতো।

২. সর্বত্র কূটনীতির প্রয়োগ : সম্রাট আওরঙ্গজেব সর্বত্র কূটনীতির প্রয়োগ করতেন। তিনি তার ভ্রাতাদের ও পুরা আকবরকে অসাধারণ ধূর্ততা ও চাতুর্যের দ্বারা পরাস্ত করেন। 

তিনি ধর্মপ্রাণ হলেও কূটনীতিতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে কুণ্ঠিত বোধ করতেন না। তার নীতিই ছিল 'উদ্দেশ্য সফল করার জন্য যেকোনো পন্থা অবলম্বন করা ।"

৩. দক্ষ শাসক : সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন পরিশ্রমী শাসক তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজকার্যে ব্যস্ত থাকতেন। কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি বিচার বিবেচনা করতেন। 

জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য প্রায় ৮০ প্রকার কর রহিত করেন তিনি বলেন, “নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য পরিশ্রম করতে আমি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি।”

৪. দক্ষ সেনাপত্তি : সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন দক্ষ সেনাপতি। তিনি জীবনে অনেক যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। সকল যুদ্ধেই তিনি জয়লাভ করেন। তিনি ছিলেন খুব পরিশ্রমী ও দক্ষ প্রশাসক। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাতে অটল থাকতেন।

৫. পাণ্ডিত্য : সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন নিষ্ঠাবান সুন্নি মুসলমান। কুরআন, হাদিস ও পারসিক সাহিত্যে তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল। তার পৃষ্ঠপোষকতায় ফতুয়া-ই-আলমগীর নামক মুসলিম আইন সম্পর্কিত একটি গ্রন্থ রচিত হয়েছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন মুঘল বংশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুটনীতিক। তিনি তার কূটনীতির বলে উত্তরাধিকার যুদ্ধে ভ্রাতাদেরকে পরাজিত করতে সক্ষম। 

এছাড়া যখন তিনি হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন তখন তারা যেভাবে বিদ্রোহী হয় তাতে অন্য কোনো শাসক হলে পরাজয় নিশ্চিত সংঘটিত হতো এবং এতে মুঘল বংশের পরিবর্তে ভারতের শাসন ক্ষমতা হিন্দুদের হাতে পরিগণিত হতো।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল । যদি তোমাদের আজকের সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটনৈতিক দক্ষতা কেমন ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ