মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর
মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর

মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর

উত্তর ভূমিকা : আওরঙ্গজেব সিংহাসনে আরোহণের পর বিভিন্ন নীতির কারণে সর্বনা বিতর্কিত ছিলেন। তিনি মুঘল বংশের ধ্বংসের জন্য দায়ী বলে কতিপয় ঐতিহাসিক অভিযোগে করেছেন। 

আওরঙ্গজেব তার নক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তিনি মুঘল বংশের পতনকে দমন করতে পারেননি। তার সময় রাজ্যের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।

মুঘল বংশ পতনের জন্য আওরঙ্গজেব দায়ী : বিভিন্ন ঐতিহাসিক আওরঙ্গজেবকে মুঘল সাম্রাজ্য পতনের জন্য দায়ী করেছেন। প্রকৃতপক্ষে মুঘলদের পতনের জন্য তিনি পারী কি-না তা নিম্নের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

১. ধর্মীয় গোঁড়ামি :-এ কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, তিনি ধর্মীয় ক্ষেত্রে অসহিষ্ণুতা ও সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচয় দেন। তিনি হিন্দুদের অনেক মন্দির ধ্বংস করেন। 

অভিযোগ করা হয় যে, সম্রাট আওরঙ্গজেব উদয়পুর রাজ্যে ২৩৫টি, অম্বরে ৬৬টি এবং মেবারে ২৪০টি মন্দির ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। 

তাছাড়া তিনি বহু হিন্দু রাজকর্মচারীকে রাজকার্য থেকে বহিষ্কার করেন এবং মুসলমানদের অধিকহারে রাজকর্মচারী ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ প্রদান করেন। ফলে হিন্দু পুনর্জাগরণ ও মারাঠা জাতির অভ্যুত্থান ঘটে।

তবে অনেক ঐতিহাসিক এ বক্তব্য মেনে নিতে পারেননি। তারা মনে করেন, আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মন্দির ধ্বংসের যেভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়, কেননা তিনি কেবল ঐ সকল মন্দির ধ্বংসের হুকুম দেন, যেগুলো সম্রাটের অনুমতি ছাড়া নির্মিত হয়েছিল। 

জিন্দাপীর হয়েও তিনি ভারতবর্ষে অর্থাৎ দারুল হারবকে দারুল ইসলামে রূপান্তরিত করেননি। আর মারাঠাদের উত্থান ছিল ইতিহাসের একটি অবশ্যম্ভাবী ঘটনা।

২. দাক্ষিণাত্য নীতি : কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে, আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতি মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য দায়ী। ঐতিহাসিক স্মিথের মতে, দাক্ষিণাত্য নীতি তার খ্যাতি ও দেহ উভয়েরই সমাধিস্থল।”

ঐতিহাসিক নাজমুল হাসান বলেন, “প্রতিকূল পরিস্থিতির দরুন তার দাক্ষিণাত্য নীতির ব্যর্থতা মুঘল সাম্রাজ্যের ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করে।” 

এর উত্তরে বলা যায় যে, দক্ষিণাত্যের ক্ষেত্রে তিনি তার পূর্বপুরুষদের অনুসৃত নীতি অনুসরণ করেন মাত্র। বরং তার উত্তরাধিকারীগণ তার নীতি থেকে বিচ্যুত হওয়ার ফলেই মুঘল সাম্রাজ্যকে বিপদগ্রস্ত করেন। কাজেই তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য দায়ী করা যুক্তিসঙ্গত নয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আওরঙ্গজেব তার অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব ও চরিত্রের গুণে যে বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয়েছিলেন সারাজীবন সংগ্রাম করে তিনি তা রক্ষাও করেন। 

কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা তিনি রোধ করতে পারেননি, বরং স্বীয় জীবদ্দশায় তাকে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আলামত দেখে যেতে হয়েছিল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের মুঘল বংশের পতনের জন্য আওরঙ্গজেবই দায়ী সমালোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ