১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর
১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর

  • অথবা, ১৮৫৭ সালের সংঘটিত ঘটনা প্রবাহ যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
  • অথবা, ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি আলোচনা কর। এটাকে কি ভারতে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা যায়? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও ৷

উত্তর : ভূমিকা : ১৮৫৭ সালে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়। এ বিদ্রোহের প্রকৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন মত আছে। এ বিদ্রোহ মূলত কোম্পানির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সিপাহিদের বিদ্রোহ ছিল। 

পরে এ সুযোগে ইংরেজদের দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত সংশ্লিষ্ট লোকজন বিদ্রোহে অংশ নেয়। ফলে সিপাহি জনতার সম্মিলিত আক্রমণে এ বিদ্রোহ একটি গণবিদ্রোহে রূপ নেয়।

— ১৮৫৭ সালের ঘটনার প্রকৃতি : ১৮৫৭ সালে সংঘটিত ঘটনা কি সিপাহি বিদ্রোহ ছিল নাকি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল এ নিয়ে ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতদের মাঝে নানা বিতর্ক রয়েছে। নিম্নে উভয় পক্ষের যুক্তি তুলে ধরা হলো:

→ সিপাহি বিদ্রোহের পক্ষে মত : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে যারা সিপাহি বিদ্রোহ হিসবে মত নিয়েছেন নিয়ে তাদের যুক্তি তুলে ধরা হলো:

১. Charles Raikes-এর মত : ইংরেজ বিচারপতি Charles Raikes Notes on the Revolt in Northern Wester | Province of India' গ্রন্থে লিখেছেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে একটি সিপাহি বিদ্রোহ। ব্রিটিশ কর্তৃত্ব শিথিল হবার ফলে ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল।

২. কিশোরীচাদের মত : ১৮৫৮ সালে ভারতীয় লেখক কিশোরীচাঁদ মিত্র লেখেন- এই বিদ্রোহ ছিল অবশ্যই কেবলমাত্র সিপাহিদের অভ্যুত্থান। এক লক্ষ সিপাহি এই বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল। এ বিদ্রোহে গণ-বিদ্রোহের ছিটেফোঁটাও ছিল না।

৩. L.E.R. Reese-এর মঞ্চে : L.E.R. Reese সিপাহি বিদ্রোহকে ধর্মান্ধ হিন্দু ও মুসলমানদের খ্রিষ্টধর্ম বিরোধী জেহাদ হিসেবে দেখেছেন সমসাময়িক ভারতীয়। 

যেমন স্যার সৈয়দ আহমদ খান, জনৈক সামরিক কর্মচারী দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের মতেও এটি ছিল সিপাহি বিদ্রোহ।

৪. ড. আর. সি. মজুমদারের মত : অধুনা প্রকাশিত ড. আর. সি. মজুমদারের The Sepoy Mutiny and The Revolt of 1857' গ্রন্থে বলেন, এ বিদ্রোহ প্রথমে সিপাহি বিদ্রোহ হিসেবেই শুরু হয়। কিন্তু পরে কোনো কোনো অঞ্চলে এটা ব্যাপক প্রসার লাভ করে। 

আবার অন্যত্র তিনি বলেন, এটি সিপাহি বিদ্রোহ ভিন্ন কিছু ছিল না। তার মতে, জাতীয় সংগ্রামের পেছনে সবসময় দেশপ্রেম, সুপরিকল্পনা, সংগঠন ও শৃঙ্খলাবোধের প্রয়োজন থাকে যেটি বিদ্রোহের সময় দেখা যায়নি।

৫. ড. সুরেন্দ্রনাথের মত : ড সুরেন্দ্রনাথ সেন 'Eighteen Fifty Seven' গ্রন্থে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ প্রথমে সিপাহিদের মধ্যে আরম্ভ হলেও সকল স্থানে এটি কেবল সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। 

এটি অযোধ্যা ও সাহাবাদ ব্যতীত অন্যত্র বিদ্রোহীদের প্রতি জনসাধারণের সমর্থন এমন কিছু ছিল না, যা দ্বারা একে জাতীয় সংগ্রামের পর্যায়ে উন্নীত করা যেতে পারে। 

তবে তিনি এ বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বলতে অস্বীকার করেছেন। যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, এটি জাতীয় সংগ্রাম নয় মূলত সিপাহি বিদ্রোহ ছিল।

৬. ভারতীয় শাসক জমিদারদের বিরোধিতা : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ভারতব্যাপী বিস্তৃত ছিল না। ভারতের বহু শাসক ও জমিদার শ্রেণি সিপাহি বিদ্রোহে ইংরেজকে দৃঢ় সমর্থ সিপাহিদের ডাকে ভুক্তভোগী অন্যান্য কৃষক-শ্রমিকরা তাদের সংগ্রামে যোগ দেয়। মূলত সিপাহিরাই বিদ্রোহের সূচনা ও পরিচালনা করে। যাতে বুঝা যায় এটি ছিল শুধু সিপাহি বিদ্রোহ।

৭. সেনাবাহিনীর বিরোধিতা : সিপাহি বিদ্রোহে সিপাহিদের মধ্যে বেঙ্গল আর্মি ছাড়া বাইরের অন্যান্য রেজিমেন্টগুলো কোম্পানির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। শিখ ও অর্থা সেনারা কোম্পানির প্রতি পূর্ণ আনুগত্য জানায় এবং দিল্লি ও লক্ষ্মৌ -এর বিদ্রোহ দমনে তারা মুখ্য ভূমিকা নেয়। 

ইংরেজ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণিও এই বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি। যাতে বুঝা যায় এটি শুধুমাত্র সিপাহিদের বিদ্রোহ হিসেবে পরিচিত।

→ স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে যুক্তি : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে অনেক পণ্ডিত ও ঐতিহাসিকগণ স্বাধীনতা আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন। নিচে তাদের যুক্তি তুলে ধরা হল :

১. জে. বি. নর্টনের মত : ইংরেজ লেখক জে. বি. নর্টন তার Topics for India Statesman' হচ্ছে লেখেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ একটি সামান্য সিপাহি বিদ্রোহ ছিল না। 

এ অভ্যুত্থান একটি গণ-বিদ্রোহের রূপ নিয়েছিল। জে. বি. মর্টনের বক্তব্যের সমর্থন জানান ডাক, উইলিয়াম কে, ম্যালসেনসহ প্রভৃতি ইংরেজ লেখক।

২. জাতীয়তাবাদীদের মত : ভারতের জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকদের অনেকেই এই মহাবিদ্রোহকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম হিসেবে অভিহিত করেছেন।

৩. রজনীকান্ত গুপ্ত : ঐতিহাসিক রজনীকান্ত গুপ্ত তার “সিপাহি যুদ্ধের ইতিহাস” গ্রন্থে স্বীকার করেছেন যে, সিপাহিরা জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই ইংরেজ শাসনের অবসান চেয়েছিল। বীর সাভারকার ১৮৫৭ সালের অভ্যুত্থানকে একটি জাতীয় যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

৪. শশীভূষণের মত : ঐতিহাসিক শশীভূষণে চৌধুরী তার "Civil Rebellion in the Indian Mutinies" গ্রন্থে ১৮৫৭ সালের অভ্যুত্থানকে শুধু সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় যুদ্ধ বলেই ক্ষান্ত হননি। তিনি এটিকে একটি গণবিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। যাতে বুঝা যায় এ বিদ্রোহ ছিল ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধ।

৫. কার্ল মার্কস-এর মত : কার্ল মার্কস New York Daily Tribune' পত্রিকায় ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ সম্পর্কিত প্রবন্ধে এটিকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। 

তিনি বলেন এ বিদ্রোহে শুধু ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং এটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিব্যাপ্ত হয়েছিল।

৬. স্বাধীনতা আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য নিহিত : পৃথিবীতে ে সমস্ত স্বাধীনতা আন্দোলন সংঘটিত হয় তা প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত জনগণ ও পরিবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে সমর্থন করাতে হবে এমন আশা করা যায় না। 

আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে বহু আমেরিকান যোগ দেয়নি। ইতালির স্বাধীনতা যুদ্ধে বহু ইতালিয়ান অস্ট্রিয়ার সমর্থক ছিল। স্পেন ও রাশিয়ার ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের প্রতি আনুগত্য জানায়।

জার্মানির ঐক্য আন্দোলনেও দক্ষিণ জার্মানির অনেকেই ফ্রান্সের অনুগত ছিল। আসলে একটি সকিনা, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ গোষ্ঠী সর্বদাই যেকোনো জাতির মুক্তি সংগ্রামে মুখ্য ভূমিকা নেয়। 

অন্যরা নিষ্ক্রিয় ও নৈতিক সমর্থন জানায়। ১৮৫৭ সালের ঘটনায় তাই ঘটেছিল। তাই এ ঘটনাকে স্বাধীনতা স্যাম হিসেবে অভিহিত করা হয়।

৭. নেতা নির্বাচন : স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনো নেতা ছিল না এটা সত্যিই ভ্রান্তিকর। মুঘল সাম্রাজ্যের গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের হিন্দু-মুসলমান সম্মিলিতভাবে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নেতা নির্বাচিত করেছিলেন। তিনিই ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা ও জাতীয়তার প্রতীক।

৮. জাতীয়তাবোধের মানদণ্ড : আধুনিক জাতীয়তাবোধের মানদণ্ডে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি বা স্বরূপ বিচার করা যায় না। 

উনিশ শতকের মধ্যভাগে ভারতবাসীর জাতীয়তাবোধ মাত্র অঙ্কুরে ছিল সে অবস্থায় যেসব লোক এই সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের নানা উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও তারা যে সকলে এদেশ থেকে ইংরেজ বিতাড়নের ব্যাপারে একমত ছিলেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। 

আর এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংগ্রামকে অবশ্যই জাতীয় সংগ্রাম বা স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে।

৯. জাতীয় অভ্যুত্থান : পশ্চিম বিহার থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখণ্ডে সিপাহি বিদ্রোহ ব্যাপক জনমত লাভ করেছিল। স্বয়ং বড়লাট লর্ড ক্যানিং সরকারি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, অযোধ্যা প্রদেশে প্রকৃতপক্ষে বিদ্রোহ এক জাতীয় অভ্যুত্থানের আকার নিয়েছে।

১০. উইলিয়ামের চিঠি : আত্মার গুপ্তচর বিভাগের প্রধান উইলিয়াম মুর ১৮৫৭ সালের ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলসনকে জানান, শুধু বিদ্রোহী সিপাহিরা নয় জনসাধারণ ও বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। 

এই বিক্ষুব্ধ মানুষেরা দিনের পর দিন আমাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হচ্ছে এবং এটি অভ্যুত্থানের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এটি ছিল ভারতীয়দের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

১১. রবার্টসনের প্রতিবেদন : বুলন্দ শহর জেলার তদানীন্তন ম্যাজিস্ট্রেট রবার্টসন তার এক প্রতিবেদনে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, সিপাহিরা বিদ্রোহ করতে পারে কিন্তু শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসীদের মানসিকতার এত দ্রুত পরিবর্তন কি করে এলো। 

তা আমি বুঝতে পারছি না। সুতরাং সিপাহিদের অসন্তোষের পাশাপাশি ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষের মনে যে ইংরেজ শাসন ও ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘুমায়িত ছিল তা বলা যায়। এতে বুঝা যায় এটি মূলত সিপাহিরা শুরু করলেও পরে ভারতের স্বাধীনতা বা মুক্তি সংগ্রামে পরিণত হয়।

১২. ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ : ১৮৫৭ সালের সংঘটিত বিপ্লবকে স্থানীয় সিপাহি বিপ্লব বলে তুচ্ছ জ্ঞান করা সমীচীন নয়। 

১৮৫৭ সালের বিপ্লব প্রথমে সিপাহিদের দ্বারা শুরু হলেও পরবর্তী পর্যায়ে এটি যে একটি জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপলাভ করে তা অনেক ভারতীয় ও ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের মতামত বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও অর্থনৈতিক প্রতিবাদ । এ দুর্বলতা যাই থাকুক না কেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গ্রাস থেকে ভারতকে উদ্ধার করার জন্য ভারতীয় জনগণের এটাই হয়ে উঠেছিল প্রথম মুক্তি বা স্বাধীনতা সংগ্রাম। 

উপমহাদেশের স্বাধীনতা লাভের এই প্রচেষ্টা ৯০ বছর পর বাস্তব রূপ লাভ করে। উল্লিখিত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যদিও আন্দোলন সিপাহিরা শুরু করেছিল পরে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয় ৷

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কি সিপাহি বিদ্রোহ না স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ